ঢাকা, ১১ মে ২০২৪, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

শঙ্কায় ঘুরপাক রাজনীতি আলোচনায় ভিসা নীতি

মুনির হোসেন
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার
mzamin

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঘটনাবহুল বছর ছিল ২০২৩। নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দলের নানা কৌশল, বিরোধী দলের আন্দোলন, নির্বাচন প্রশ্নে সংলাপের আলোচনা আর বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক ভিসা নীতি ঘোষণা ছিল রাজনীতিতে আলোচিত বিষয়। 
নির্বাচন সামনে রেখে বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল রাজনৈতিক সংলাপ ইস্যু। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রধান দুই দলকে সংলাপে বসতে বলে সুশীল সমাজসহ বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো দফায় দফায় পরামর্শ দেয়। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে শুরুতে সংলাপের ইঙ্গিত দেয়া হলেও শেষে দুই দলের শর্তের বেড়াজালে ভেস্তে যায় সংলাপের আলোচনা। 

চলতি বছর দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন। বছরের শুরু থেকেই রাজপথে সক্রিয় থাকে বিএনপি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ শেষে ঢাকায় এক সমাবেশ থেকে ১২ই জুলাই মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়। মূলত তারপর থেকে দলটি ও তার মিত্রদের আন্দোলন জোরদার হয়। আগস্ট থেকে বাড়তে থাকে আন্দোলনের তীব্রতা। কিন্তু ২৮শে অক্টোবরের পর ছন্দপতন হয় বিএনপি’র আন্দোলনের।

বিজ্ঞাপন
সরকারের কঠোর অবস্থানে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। সেই থেকে বন্ধ নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ৭-৮টি ছাড়া দেশের সব জেলা কার্যালয়েও ঝুলছে তালা। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের অনেকেই রয়েছেন কারাগারে। নেতাকর্মীদের ওপর চলছে ধরপাকড়। একইসঙ্গে চলমান রয়েছে বিভিন্ন মামলার রায় ঘোষণাও। যাতে দলটিকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন থেকে ছিটকে দিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে আওয়ামী লীগ। 

নানা পক্ষের বাধা আর আপত্তি সত্ত্বেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অংশ নিচ্ছে না। এ কারণে আওয়ামী লীগ তাদের ও মিত্রদের মূল প্রার্থীর বাইরে ডামি বা বিকল্প প্রার্থী দিয়েছে প্রায় সব আসনে। গত দুই নির্বাচনের মতো এবারো নানা নাটকীয়তার পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করেই নির্বাচন করছে জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া নির্বাচনে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। 

রাজনীতিতে আলোচনায় মার্কিন ভিসা নীতি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২০২৩ সালে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল মার্কিন ভিসা নীতি। এ ছাড়াও ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা ছিল আলোচনায়। সংলাপের মাধ্যমে সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন তিনি। যার জন্য চলে পিটার হাসের অবিরাম ছুটে চলা। একজন বিদেশি কূটনীতিকের এমন কার্যক্রম নিয়ে আপত্তি তুলে শাসক দল। অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধীরা ইতিবাচকভাবে নেন পিটার হাসের কার্যক্রম। এরইমধ্যে ২৪শে মে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এ ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অর্থ হলো- ভোট কারচুপি, ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানো, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা দান, রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, মিডিয়াকে মত প্রকাশে বাধা দেয়া। এসব কর্মকাণ্ডের জন্যও ভিসা নীতির প্রয়োগ হতে পারে বলে জানানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরে এসে ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে জানায় দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ। এদিকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে তৎপর ছিল অন্যান্য বিদেশি বন্ধুও। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদল দফায় দফায় দুই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

সরকার পতনে বিএনপিসহ বিরোধীদের কর্মসূচি
গেল বছর ১৯শে ডিসেম্বর ২৭ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। এরপর জানুয়ারি থেকেই রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সক্রিয় থাকে দলটি। শুরুতে এসব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠে নামলে সহিংস হয়ে ওঠে রাজনীতির মাঠ। দেশব্যাপী বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে ব্যাপক লোক সমাগম দেখা যায়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা নেতারাও নেমে আসেন রাজপথে। তবে এ কর্মসূচি পালন করতেও বাধা পায় তারা। বিএনপি’র অভিযোগ ছিল- কর্মসূচি পণ্ড করতে সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। নেতাকর্মীরা যেন বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে আসতে না পারে সেজন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। যদিও সরকারদলীয়রা বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। এক সময় ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি’র আন্দোলন ক্রমেই একদফার দিকে এগুতে থাকে। ১২ই জুলাই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। যেখানে নেতাকর্মীদের জন্য চমক ছিল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখা। উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের সামনে মহাসমাবেশ থেকে সরকার পতনে একদফা ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, বিএনপিসহ আরও প্রায় ৩৬টি রাজনৈতিক দল এই একদফা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরদিন সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা ঘোষণা করে দলটি। এরপর থেকে রাজপথে সক্রিয় হয় বিএনপি’র মিত্ররাও। সরকার পতনের একদফা দাবিতে সমমনা ৬০টি রাজনৈতিক দল নিয়ে পদযাত্রা, অবস্থান কর্মসূচি, গণমিছিল ও রোডমার্চ কর্মসূচি অব্যাহত রাখে বিএনপি। তবে ঘটনাবহুল রাজনীতির বছরের শেষে এসে ছন্দপতন হয় বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের। ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে অনেকটা আত্মগোপনে দলটির নেতারা। পুলিশ হত্যা ও প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের। সারা দেশে শুরু হয় ধরপাকড়। 

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ: 
বছরের শুরু থেকেই বিএনপিসহ বিরোধীদের লাগাতার কর্মসূচি ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিদেশিদের চাপে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ। ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও ২০২৩ সালের মতো কঠিন সময় পার করতে হয়নি ক্ষমতাসীন দলকে। একদিকে বিএনপিসহ রাজপথের বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলা অন্যদিকে মার্কিন ভিসা নীতিসহ বিদেশি চাপ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বেশ বেকায়দায় পড়ে দলটি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি বিক্ষুব্ধ করে তোলে সাধারণ মানুষকে। যেটি মোকাবিলা করা বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল শাসক দলের জন্য। বিএনপি অংশ না নিলেও বছরের মাঝামাঝিতে সিটি নির্বাচন ঘিরেও উত্তাপ ছিল রাজনীতিতে। বিশেষ করে গাজীপুরে দলীয় বিদ্রোহীকে মোকাবিলা ও বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় বেকায়দায় ছিল দলটি। এদিকে আগস্ট থেকে বিএনপিসহ বিরোধীরা আন্দোলন জোরদার করলে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকতে হয়েছে ক্ষমতাসনীদের। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের ওপর ক্ষোভ তৈরি হয় জনসাধারণের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে ২৮শে অক্টোবর। আগ থেকেই আশঙ্কা ছিল ২৮শে অক্টোবর রাজনৈতিক সংঘাতের। হয়ও তাই। সংঘর্ষে নিহত হয় পুলিশ কনস্টেবলসহ কয়েকজন। এরপর থেকে বিএনপিহীন রাজপথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরপর নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষণা হলে সামনে আসে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যু। কিন্তু কোনোরকম আনুষ্ঠানিক সরকার গঠন করেনি ক্ষমতাসীনরা। কেবল পদত্যাগ করে টেকনোক্রেট কোটায় নিয়োজিত মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্রদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় মাঠ। দলের হয়ে যারা মনোনয়ন পাননি তাদের নির্বাচন করার গ্রিন সিগন্যাল দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এতে নির্বাচনী মাঠে উজ্জীবিত দেখা যায় নেতাকর্মীদের। তবে এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন জায়াগায় ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

নাটকের বৃত্তে জাতীয় পার্টি:
কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঘরোয়া বক্তব্যে সোচ্চার ছিল সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। ২০২৩ সালে এসে এর তীব্রতাও বাড়ে। নিয়মিতই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারের কঠোর সমালোচনা করতেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বিএনপি’র সঙ্গেও চলে তাদের বোঝাপড়া। দুই দল নিজেদের বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অংশও নেয়। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে শুরু হয় নাটকীয়তা। ভোটে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি অস্পষ্ট রাখে জাতীয় পার্টি। যদিও মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন আড়ালে চলে যান চেয়ারম্যান জিএম কাদের। দলের হয়ে কথা বলেন মহাসচিব চুন্নু। সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় চলে গোপন বৈঠক। নির্বাচনে অংশ নিতে বেশকিছু আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ছাড় চায় দলটি। একপর্যায়ে ২৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ছাড় নিয়ে নির্বাচনে মাঠে নামে জাতীয় পার্টি। তবুও দলটির নাটকীয়তা শেষ হয়নি। দলের প্রধান উপদেষ্টা ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ তার কয়েকজন অনুসারীর নির্বাচনে অংশ না নেয়া ছিল আলোচিত বিষয়। 

আসন সমঝোতা নিয়ে ১৪ দলে টানাপড়েন: 
এদিকে দীর্ঘদিনের মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয় আওয়ামী লীগের। দফায় দফায় বৈঠকেও সন্তোষজনক সমাধানে আসতে পারেনি ১৪ দল। বিষয়টি নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ দলের শরিকরা। একাদশ সংসদে শরিকদের ১১টি আসনে ছাড় দিলেও দ্বাদশ সংসদে দেয়া হয়েছে কেবল ৬টি। এরমধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টিকে ২টি, জাসদকে ৩টি এবং জেপিকে ১টি করে আসন দেয়া হয়েছে। আদর্শিক জোট হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিলেও শরিক নেতারা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে হতাশ।


 

পাঠকের মতামত

লিফলেট বিতরন করে ইলেকশন আর আটকাতে পারবে না বিএনপি-জামাত জোট। বরং নৌকাকে আটকানোর জন্য ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রতিপক্ককে ভোট দেওয়ার প্রচারনা করুন

Muhammed Nuruzzaman
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৭:১৩ অপরাহ্ন

ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিবে না। এইটা হলো তাদের ফাঁকা আওয়াজ।

Jahangir
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৮:০১ অপরাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status