খেলা
নাসুমকে হাথুরুর চড় পাপন বললেন ‘ডাহা মিথ্যা’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে এখনো চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই ব্যর্থতার কারণ জানতে গঠন করেছে একটি বিশেষ কমিটি। মাঠে ব্যর্থতার পাশাপাশি বের হয়ে আসবে দলের অভ্যন্তরের নানা ঘটনাও। এরই মধ্যে খবর প্রকাশ হয়, দলের স্পিনার নাসুম আহমেদকে চড় দিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এ নিয়ে সমালোচনা কম নয়। এখনো মুখ খুলেননি নাসুম-হাথুরু এমনকি বিসিবি’র কেউ। তবে গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমন ঘটনাকে ডাহা মিথ্যা বলেই অবিহীত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না (নাসুমকে চড় মারার ঘটনা)। আমি কোনোদিনই শুনিনি এমন কিছু। আমি এ ধরনের কোনো কথাই শুনিনি একটা টিভিতে প্রচার করার আগে। এখানে প্রথম একটা জিনিসই আমি বলেছি উনাদের যারাই আমার সঙ্গে কথা বলে, এখানটায় বলা হয়েছে আমি জানি।’
যদিও এ নিয়ে অনেকটা ধারাবাহিকভাবেই সংবাদ প্রচার করা হয়। এর মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কলকাতায় হেড কোচকে গিয়ে শাসিয়েছেন, এমন দাবিও করা হয়। তবে এ সবকিছুকেই অস্বীকার করেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে। আমি গিয়ে আবার কোচকে খুব শাসিয়েছি। এরকম কিছু। আমি আসলে অনুষ্ঠানটা দেখিনি। আমি তো জানি এটা ডাহা মিথ্যা, এরপর আর তো আমার কিছু বলার নাই। যে জিনিসটা মিথ্যা, সেটা নিয়ে কথা বলবো কেন।’ এ ধরনের ঘটনায় ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে কি না এমন প্রশ্ন করা হয় বিসিবি সভাপতির কাছে। তিনি তখন বলেন, ‘আমি এটা তো বলতে পারবো না। এ প্রশ্ন আমাকে করাটা কঠিন। ’
মুশফিকের পাশে বিসিবি
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে দারুণ এক জয় পায় বাংলাদেশ। পরে ঢাকা টেস্টেও দারুণ লড়াই করে টাইগাররা। কিন্তু প্রথম ইনিংসের পরই মুশফিকুর রহীমের একটি আউট নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে ভিন্ন সংবাদ। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় টিভির দাবি মুশফিক যেভাবে আউট হয়েছে তা ফিক্সিং ছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে মুশফিকের বিরুদ্ধে ‘ফিক্সিংয়ের সন্দেহ’ করে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি হয়। এরই মধ্যে আইনি নোটিশও পাঠান দেশের ক্রিকেটের এই সাবেক অধিনায়ক দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা। গতকাল এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘জিনিস বদলাচ্ছে। একটা সময় ছিল মিথ্যা কিছু তথ্য দিলেই আপনার মানুষ বেশি খেতো। এটা একটা গ্রহণযোগ্য ছিল। আপনারা তো সাংবাদিক, খোঁজ নিয়ে দেখেন; এ সমস্ত মিথ্যাচার করতে করতে আস্তে আস্তে মানুষ কিন্তু উল্টা কথাও বলছে যে এরা তো ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য নামছে। ধারাবাহিকভাবে। আমরা জানি এটা। আমরা এটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। জানুক, তারপর বিসিবি’র যা করার তা তো করবেই। উদারতা না। বাস্তবতা মানুষের কাছে স্পষ্ট এমনিতে হয়ে যাচ্ছে। আপনারা হয়তো একটা গ্রুপকে দেখছেন, আমাদের কাছে অন্যান্য গ্রুপরা নিয়মিত পাঠাচ্ছে। সবকিছুর একটা সীমা আছে, যখন সেটা অতিক্রম করে যায় তখন মানুষ বোঝে এটা সাংবাদিকতা নাকি অন্য কিছু।’