অনলাইন
অবশেষে কারামুক্ত হলেন মুফতি আমির হামজা
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তিনি বলেন, কারাগারে মাওলানা আমির হামজার জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর যাচাই বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত ৪ঠা ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০২১ সালের ২৪শে মে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা এলাকার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হামজাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসির একটি দল। পরের দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একই বছরের ৩১শে মে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি সংসদ ভবনে তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনার মামলায় স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
পুলিশের দাবি, আমির হামজা ওয়াজ মাহফিলের নামে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে ছড়ানো তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদে উসকানিমূলক, যা শুনে কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি নাশকতার মামলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান আমির হামজা।
সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় ২০২১ সালের ৫ই মে সাকিব নামে একজনকে আটক করা হয়। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিব ছাড়াও আলী হাসান ও মাহমুদুল হাসান গুনবী নামে দুজনকে আসামি করা হয়।
সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব কথিত বক্তা আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখের উগ্রবাদী-জিহাদি হামলার বার্তাসংবলিত ভিডিও দেখেন এবং উগ্রবাদে আসক্ত হন।
কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজকারী আমির হামজার জন্ম ১৯৯১ সালে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কোরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স করেন তিনি।
পাঠকের মতামত
আলহামদুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে জালিমের কারাগার থেকে প্রিয় মানুষটি মুক্ত হলো,যারা মিথ্যে বানোয়াট ও প্রহসন মূলক মামলায় শায়েখ কে অপমান করেছিলো আল্লাহ পাক তুমি তাদেরকে এর চেয়ে বড় অপমান করিও
আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
কি ধরনের মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা এই রিপোর্ট থেকেই বোঝা যায়। হে আল্লাহ, এই জালিমদেরকে পরিবার সহ তোমার জিম্মায় নিয়ে যথাযথ শাস্তির ব্যাবস্থা করুন। আমিন!
আলিমদেরকে জেলে বন্দী করছো তুমি হাসিনা মনে রাখবে আজ হক আর কাল হক এর জবাব হবে খুব ভয়াবহ ভাবে ইনশাআল্লাহ
বায়বীয় অজুহাতে হুজুর কে এতদিন কারা ভোগ করতে হল। আল্লাহ নিশ্চয়ই একদিন এই জালিমের বিচার করবেন।
আলহামদুলিল্লাহ
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা সকল ক্ষমতার অধিকারী। নিশ্চয়ই তিনি সুবিচার করবেন। আল্লাহ হামজাকে হেফাজত করুন।
জামিনের অর্ডার হয়েছিল কবে তাতো জানতে পারলাম না।
আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। মুফতি মাওলানা আমির হামজার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাঁর সাথে সাথে জুলুমকারীদের আল্লাহ অবশ্যই বিচার করবে ইনশাআল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ। যারা বিনা দোষে এই সম্মানিত ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়েছেন, আল্লাহ যেন শুধু তাদেরকেই নয় তাদের বংশ পরস্পরকেও কঠিন শাস্তি দেন।
হে আল্লাহ আপনি অনেক জালেম জাতি ধ্বংস করেছেন, তার তুলনায় এই জালেম গুলি খুব সামান্য। এই জুলুম কারীদের আপনি সঠিক বিচার করবেন ইনশাআল্লাহ
জনাব আমির হামজার বক্তব্য আমি শুনতাম। “পুলিশের দাবি, আমির হামজা ওয়াজ মাহফিলের নামে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন”। কিন্তু সাধারন শ্রোতাদের অনেকের সাথে কথা বলেছি। আমি নিজেও বিচার বিবেচনা করে এধরনের কোন বিষয় লক্ষ্য করি নাই। আমাদের মোহাদ্দেছ, মুফতি পুলিশ বাহিনী ওনার কথায় বিভ্রান্তিকর তথ্য কিভাবে পেলেন তা আল্লাহই ভালো জানেন।
আলহামদুলিল্লাহ । একইসাথে লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করছি যে আমাদের এই নির্দোষ দেশে নির্দোষ মানুষকে সাজা ভোগ করতে হলো। আমরা অক্ষম, হে আল্লাহর প্রিয় মানুষ। আপনি ক্ষমা না করলে আমরা কোথাও ক্ষমা পাবো না। আমাদের অক্ষমতার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইছি।
আল্লাহ এই তরুণ বক্তাকে সুস্থতা দান করুন নেক হায়াত দান করুন এবং যাদের কারণে উনার জীবনের ২.৫ টি বছর জীবনের খাতা থেকে চলে গেল তাদের কে দুনিয়াতে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আমিন
জালিমের খাঁচা থেকে মুক্ত বাতাসে আমির হামজা হুজুর
বিচার আল্লাহকে দিলাম......
আলহামদুলিল্লাহ । একইসাথে লজ্জা ও দুঃখ প্রকাশ করছি যে আমাদের এই নির্দোষ দেশে নির্দোষ মানুষকে সাজা ভোগ করতে হলো। আমরা অক্ষম, হে আল্লাহর প্রিয় মানুষ। আপনি ক্ষমা না করলে আমরা কোথাও ক্ষমা পাবো না। আমাদের অক্ষমতার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইছি।
ইনশাআল্লাহ মুমিনদের জয় সুনিশ্চিত আর আল্লাহ জালিমদের শিখর কেটে দিয়েছেন
আলহামদুলিল্লাহ্
Alhamdhulillah
ALHAMDULILLAH,,,,