খেলা
পুরনো বন্ধুকে না চেনার ভান করলেন রোনালদো, অতঃপর...
স্পোর্টস ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
তারকাখ্যাতি পাওয়ার আগে মানবেতর জীবন-যাপন করতেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্ষুধা পেলে প্রায়ই চলে যেতেন স্থানীয় ম্যাকডোনাল্ডসের শাখায়। আশায় থাকতেন ফ্রি বার্গারের। রেস্তোরাঁর কয়েকজন কর্মচারী ক্রিস্টিয়ানোকে খাবার দিতেনও। কয়েক বছর আগে শৈশবের ঘটনাগুলো নিজেই বলেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। স্পোর্টিং লিসবনে সেসময় রোনালদোর এক সতীর্থও তার সঙ্গে খাবার খেতে যেতেন। সম্প্রতি বৃটিশ দৈনিক ‘দ্য সান’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানোর সেই পুরনো বন্ধু ফ্যাবিও পেইম। তবে তাকে চিনতে পারছেন না খোদ সিআরসেভেন।
২০১৯ সালে টকটিভির পিয়ার্স মরগ্যানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর ঘটনা জানিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলেছিলেন, ‘রাত একটু গভীর হলে, সাড়ে দশ বা এগারোটা বাজলে প্রচণ্ড ক্ষুধা পেতো। যে স্টেডিয়ামের পাশে আমরা থাকতাম সেখানেই একটা ম্যাকডোনাল্ডস ছিল। প্রায়ই আমরা পেছনের দরজায় গিয়ে নক করতাম আর বলতাম, কোনো বার্গার আছে? এডনা ও বাকি মেয়ে দুজনের (ম্যাকডোনাল্ডসের কর্মচারী) মমতা ছিল অবিশ্বাস্য।’
সম্প্রতি দ্য সানের ক্রীড়া বিভাগ সানস্পোর্টকে রোনালদোর পুরনো সতীর্থ ও বন্ধু ফ্যাবিও পেইম বলেন, ‘রাতে আমরা ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়ে পরিত্যক্ত বার্গার চাইতাম, যেগুলো আর বিক্রয়যোগ্য নয়। প্রায় প্রতি রাতেই আমরা বার্গার খেতে যেতাম।’
পেইম বলেন, ‘আমরা বন্ধু ছিলাম। তাকে বেস্ট ফ্রেন্ড বলতে না পারলেও সে আমার বন্ধু ছিল।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যাবিও পেইমের প্রকাশ পেলে রোনালদো কমেন্ট বক্সে লিখেন, ‘এই লোকটা কে?’ সঙ্গে জুড়ে দেন কয়েকটি চোখের ইমুজি।
রোনালদোর কমেন্টের পর ফের সানস্পোর্টের সঙ্গে কথা হয় ফ্যাবিও পেইমের সঙ্গে। চেলসির হয়ে এক মৌসুম খেলা এই সাবেক ফুটবলার বলেন, ‘আমি এই বিষয়টিকে আর বড় করতে চাই না। আমার মনে হয় না, ক্রিস্টিয়ানো বাস্তবিকভাবে কথাটা বলেছে। আমার মনে হয়, এটা কৌতুক ছিল। তবে এটার ভালোও একটা দিক আছে। মানুষ আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে আবার। রোনালদোর কারণে আমি আবার পরিচিতি পাচ্ছি।’
ফ্যাবিও পেইম বলেন, ‘আমরা বন্ধু ছিলাম। কোনো বৈরিতা ছিল না। একসঙ্গে খেলেছি। আমি রোনালদোর বড় একজন ভক্ত। আশা করি শিগগির তার সঙ্গে দেখা হবে।’
স্পোর্টিং লিসবনের যুবদল থেকে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ফ্যাবিও পেইম। সেই সময় রোনালদোর মতো পেইমকেও সম্ভাবনাময় তরুণ বিবেচনা করা হতো। গোলডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, উদীয়মান তারকা হওয়ায় ভোগবিলাসী জীবন শুরু করেন ফ্যাবিও পেইম। নেশা-পার্টি করেই অবসর কাটাতেন এই খেলোয়াড়। ড্রাগস মামলায় কারাবাসও করতে হয়েছে পেইমকে। পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে মাত্র এক ম্যাচ খেলা ফুটবলার ২০১৮ সালে অবসরে যান। ২০০৮ সালে চেলসিতে ধারে খেলতে যান তিনি।
এক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে ফ্যাবিও পেইম বলেছিলেন, ‘নিজের প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রমের সুবাদে আজ এই অবস্থানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু যখন আমি খেলতাম, যদি রোনালদোর মতোই চেষ্টা করতাম, হয়তো তার চেয়েও ভালো করতাম আমি। যদি কৌশলের কথা বলেন, আমি রোনালদোর চেয়ে ভালো ছিলাম। আমায় ছোট রোনালদিনহো ডাকা হতো।’