অনলাইন
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ
ওরা আমার এক ভোট ছিনতাই করে নিয়ে গেছে
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১৩ অপরাহ্ন

বিভিন্ন কারণে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতায় বেশি প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বাছাইয়ে বাদপড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আজ তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ও এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর সমস্যার কারণে প্রার্থিতা বাতিলের কথা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, এক শতাংশ ভোট না থাকায় বাতিল হয়েছে তার মনোনয়ন। তিনি বলেন, আমি তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করেছি। মনোনয়নপত্রে সমস্ত কাগজপত্র আমি জমা দেই। নির্বাচন অফিস থেকে ১০ জন ভোটারের তদন্ত করতে যায়। গোপালপুরের নয়জন ভোটারের সবকিছু ঠিক পায়। ভুয়াপুরে একটি ভোটারের বাড়িতে যখন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সহকারে স্থানীয় চেয়ারম্যান যায়, তখন ওই ভোটার ভয় পান। আমার প্রতিপক্ষের লোকজনের কাছে ওই ভোটার জিম্মি আছে। আগে স্বীকৃতি দিলেও এখন সে অস্বীকার করছে। এই কারণে টাঙ্গাইল রিটার্নিং অফিসার আমার মনোনয়ন বাতিল করেছে। ওরা আমার এক ভোট ছিনতাই করে নিয়েছে। আশা করি আমি প্রার্থীতা ফেরত পাব।
এক শতাংশ ভোটার না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা: তহমিনা আখতার মোল্লারও। তার দাবি স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, এমপির জনপ্রিয়তা তলানিতে। তার প্রভাবে আমার ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা ২ পৃষ্ঠার মধ্যে ১ পৃষ্ঠা গ্রহণ করেনি নির্বাচন অফিস।
খুলনা-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মেজর ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ১২ তারিখে সকালে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি। এরপর ওইদিন ৩টায় মনোনয়ন জমা দিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন অফিস থেকে বলছে আমার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া । সিলি ম্যাটার, আশা করি দ্রুতই আমি প্রার্থীতা ফিরে পাব।
খুলনা ৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ২৬ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দেখিয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যে মিটারে বকেয়া দেখানো হয়েছে সেটি আমি ব্যবহার করি না। ইনটেনশনালি আমারটা বাতিল করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
আপনি কি এখন টের পেয়েছেন আপনার ভোট ছিনতাই হয়েছে। যদি নির্বাচন হয়ও, কোটি কোটি ভোটারের ভোট ছিনতাই হবে। যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাঁদের ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেনা উপনির্বাচনের মতো। তাঁদের ভোট ছিনতাই হবে- ভুত এসে যদি ওইসব ভোটারের ভোট দিয়ে যায়, তাহলে বেশি ভোট কাস্ট দেখানো যাবে। যতো বেশি ভুতুড়ে ভোট পড়বে ততো বেশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রমাণ করা যাবে। কারণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দ্বিতীয় ভার্সন হলো, যতো ভোট ততো অংশগ্রহণমূলক। কিন্তু, ভুতুড়ে ভোট কাস্ট করা সম্ভব হলেও ভোটার উপস্থিতি দেখানো সম্ভব হবে না। ভোট ছিনতাই কবে থেকে শুরু হয়েছে বেশি গবেষণার বিষয় নয়। নিকট অতীতে চোখ ফেরালে ভোট ছিনতাই স্মৃতির ফলকে ভাস্কর হয়ে ওঠে। পরপর দুটি নির্বাচনে ভোট ছিনতাই হয়েছে। আমার আপনার মতো কোটি কোটি ভোটারের ভোট ছিনতাই হয়েছে। হোক। তবু ভালো। কষ্ট করে কেন্দ্রে যাওয়া আসার ঝক্কি সামলাতে হয়নি। যাতায়াত খরচা তো আছেই। সেটাও বেঁচে গেছে। যাঁরা আমাদের এই উপকারটুকু করেছেন, আমি অন্ততঃ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা আছে আগামীতেও আমাদের এই উপকার করতে তাঁরা ভুলে যাবেননা।
দেশের বেশিরভাগ মানুষের মনে আঘাত করে মনোনয়ন পত্র কিনে আপনার পচা বিবেক কে বিক্রি করে দিয়ে দেশের কোটি কোটি ভোটার যারা ১৫ বছর ভোট দিতে পারে নাই ,তাদের সাথে গাদ্দারি করেছেন. তারা তো মাত্র আপনার এক ভোট ছিনতাই করে নিয়ে গেছে
চলিতেছে সার্কাস!
Good Idea