প্রথম পাতা
সরকারের সমালোচনামূলক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ!
সালেহ্ উদ্দিন
৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারজনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকের দেশি-বিদেশি বাংলা ভাষাভাষী দর্শকদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তারা আগের মতো কনটেন্ট, বিশেষ করে সরকারের সমালোচনা সংক্রান্ত কোনো ভিডিও ক্লিপ দেখতে পাচ্ছেন না। এমনকি নিউজ ফিডে চলমান রাজনৈতিক ইস্যুর কোনো পোস্টও দেখা যাচ্ছে না। তাদের নিউজ ফিডে এখন ২০২১ এবং ২০২২ সালের পুরনো কনটেন্টগুলো ঘুরেফিরে আসছে। একই সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও ক্লিপেও ভরে গেছে। এগুলো রাজনৈতিক কারণে পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। ফেসবুকের এই নিয়ন্ত্রণ সরকার নিজে নাকি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ করছে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পদত্যাগী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্ষম হবে। তিনি বলেছিলেন, রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে যেকোনো ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে।
কিন্তু ফেসবুক বা ইউটিউবের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না, যেহেতু সেটা মার্কিন প্রতিষ্ঠান। সেখানকার স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে তারা পরিচালনা করে, তাই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের সমালোচনামূলক কনটেন্ট সরকার বন্ধ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করে থাকতে পারে।
এসংক্রান্ত বিষয়ে গত ২২শে অক্টোবর বিদেশি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। উচ্চ পর্যায়ের এক যৌথসভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা আগে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায়, বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যে তার সংস্থা সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রিন করার জন্য বিটিআরসি এবং এনটিএমসি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করছে।
ফেসবুকে নিয়ন্ত্রণের ফলে জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার মোস্তফা ফিরোজ, কায়সার কামাল, পিনাকী ভট্টাচার্য্য, গোলাম মোর্তোজা, ড. জাহেদ-উর রহমান, মনির হায়দার, শাহেদ আলম, ড. কনক সরওয়ার প্রমুখদের ভিডিও নিউজ ফিডে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অগ্রহী দর্শকরা শুধুমাত্র তাদের ফেসবুক ওয়ালে গেলে তা দেখতে পারছেন। এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার মনির হায়দার ও শাহেদ আলম জানান, তারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন দর্শকদের শত শত মেসেজ পাচ্ছেন। তারা অভিযোগ করছেন গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের কোনো ভিডিও ক্লিপ তারা পাচ্ছেন না। শাহেদ আলম বলেন, যেখানে আমার একটি ভিডিওতে কয়েক লাখ ভিউয়ার থাকতো সেখানে এটি হাজারে ঠেকেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ-উর রহমানও একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তিনি এটিকে সংবিধানে প্রদত্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেন তাহলে আমি হয়তো ফেসবুক বর্জন করবো। এভাবে নিয়ন্ত্রণ হলে বাংলাদেশে ফেসবুক তাদের জনপ্রিয়তা হারাবে এবং তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থও ক্ষুণ্ন হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার মনির হায়দার বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্ব সাংবিধানিক আদালতের। সাংবিধানিক আদালত হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নিষ্ক্রিয়তার কারণে সরকার জনগণের টুঁটি চেপে ধরেছে।
এর নাম নাকি গনতন্ত্র, এর নাম নাকি বাক স্বাধিনতা, এটাই নাকি গনতন্ত্র কায়েম করা। আসলে একেই বলে বাকশালি গনতন্ত্র।
বিরোধীদের যোগাযোগ বাড়ছে, মাঠে নামার তৎপরতা চলছে
আমিও সেই রকম অনুভব করছি।
আমার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে, কমেন্ট গুলি ডিলেট করে দেওয়া হচ্ছে। কোন কমেন্ট করলে উওরে বাজে অশ্লীল ভিডিও দিয়ে দেওয়া হয়। যাতে এই সব দেখে আর কেউ সমালোচনা না করে।
এটা ১০০% সত্ত্য আমি মালদ্বীপ থেকে এই সমস্যায় পড়েছি অনেকের কাছে এর সমাধান চেয়েছিলাম।ও আমার ফিড অশ্লীল ভিডিও আসতো না এখন আসতেছে
সবার আগে সময় টিভি ও একাত্তর টিভির কন্টেন্ট বাতিল করা দরকার
তিলকে তাল বানাতে ওরা খুব ওস্তাদ। সরকার বন্ধ করে থাকলেও সঠিক কাজটি করেছে।
সমালোচনা করা ভালো কিন্তু এমন সমালোচনা করা উচিত না রাষ্ট্র বিরোধীতার পর্যায়ে পরে।
যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠিকে পিষে ফেলার কামনা বাসনা শোষক গোষ্ঠীর ছিল, আছে, থাকবে। পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ যখন জেগে উঠে, তাকে দমিয়ে রাখা হয়। বা চেষ্টা করা হয়। ফেসবুক ভুল করছে।
যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠিকে পিষে ফেলার কামনা বাসনা শোষক গোষ্ঠীর ছিল, আছে, থাকবে। পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ যখন জেগে উঠে, তাকে দমিয়ে রাখা হয়। বা চেষ্টা করা হয়। ফেসবুক ভুল করছে।
এরা সবগুলো গুজব ব্যবসায়ী, সমালোচনামুলক কন্টেন্ট নির্মানের নামে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে সাধারনের মাঝে বিভ্রান্ত তৈরি করাই এদের উদ্দেশ্য
এইসব দেশ বিরোধী,দেশে এবং বিদেশে পলাতক গুজব বাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা আরো আগেই নেয়া উচিত ছিল।
এটা সত্য যে আমাদের কোন কিছুই আর এখন দেখতে পারি না। কমেন্ট গুলি ডিলেট করে দেওয়া হচ্ছে। বরং কোন কমেন্ট করলে প্রতি উওরে পন ভিডিও লিংক দিয়ে দেওয়া হয়। যাতে এই সব দেখে আর কেউ সমালোচনা না করে।
ঠিকই আছে, ফেসবুকের সুযোগ নিয়ে গুজব, মিথ্যা কন্টেন্টস, প্রপাগাণ্ডায় মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছিল। গুজবপার্টি এখন কান্না করছে।
আমি সেই রকম অনুভব করছি।