শেষের পাতা
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের ছুটি নিয়ে নানা আলোচনা
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৭ নভেম্বর ২০২৩, সোমবারওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের আচমকা ছুটির রহস্য উন্মোচিত হয়নি। তিনি কী কারণে, কোথায় অবস্থান করছেন সে সম্পর্কেও সেগুনবাগিচার তরফে খোলাসা করে কিছু বলা হয়নি। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে থাকা জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিকের ‘হোম লিভ’র প্রাপ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্যাংশন, ভিসা নীতি, গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যখন ঢাকার ঘনিষ্ঠ আলোচনা চলছে, সেই সময়ে পোড়খাওয়া কূটনীতিক মোহাম্মদ ইমরানের অনুপস্থিতি অর্থাৎ দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থানের সিদ্ধান্তে পেশাদার অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যদিও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মনে করেন রাষ্ট্রদূতের ফিজিক্যাল উপস্থিতি খুব একটা জরুরি না।
সচিবের ভাষ্যমতে, ‘রাষ্ট্রদূত ছুটিতে গেলেও জরুরি প্রয়োজনে প্রযুক্তির সুবাদে তাকে যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। এখনকার দিনে যেখানেই তিনি থাকেন না কেন, তিনি ২৪ ঘণ্টাই কানেকটেড (যুক্ত)। সুতরাং, রাষ্ট্রদূত যেকোনো জায়গা থেকে মিশনের যেকোনো কাজে নজর রাখতে পারবেন। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’
সদ্য দিল্লি ফেরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের ছুটি নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, রাষ্ট্রদূত ইমরানের এটা মঞ্জুরি ছুটি।
নির্বাচন সন্নিকটে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে যখন বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন বার্তা আসছে, এমন সময়ে রাষ্ট্রদূতের ছুটি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটা হয়তো অনেকের অতি আগ্রহের ফল।
স্মরণ করা যায়, গত ২২শে নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে রয়েছেন রাষ্ট্রদূত ইমরান। তার অনুপস্থিতিতে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মাহাদী হাসান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাষ্ট্রদূতের ছুটি কবে শেষ হবে অর্থাৎ তিনি পুনরায় কবে কর্মস্থলে ফিরবেন? সেই দিনক্ষণ উল্লেখ নেই স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নোট ভারবালে। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদূতের ফেরার বিষয়টি পরবর্তীতে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হবে।