অনলাইন
মার্কিন শ্রম নীতি
প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে সরকার, চটজলদি প্রতিক্রিয়া নয়
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৯ মাস আগে) ২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশসহ দুনিয়াব্যাপী শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত নতুন শ্রম নীতির প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে ঢাকা। স্পর্শকাতর এ ইস্যুতে চটজলদি কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা। যদিও সদ্য ঘোষিত বাইডেন প্রশাসনের বৈশ্বিক ওই নীতি বাংলাদেশ সরকার, জনগণ বিশেষতঃ গার্মেন্ট শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বহুগুণে। বস্তুতঃ শ্রম অধিকার হরণ, শ্রমিকদের ভয়–ভীতি প্রদর্শন এবং নানাভাবে তাদের হয়রানি ও নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরাসরি বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিধান রয়েছে নতুন ওই শ্রম নীতিতে।
সরকারি সুত্র মতে, বাংলাদেশে মার্কিন শ্রম নীতির নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে এখনই করণীয় নির্ধারণে অব্যাহতভাবে তাগিদ দিচ্ছেন ক্ষতির আশঙ্কার মুখে থাকা ব্যবসায়ীরা। তবে উদ্ভূত আচমকা পরিস্থিতিতে চটজলদি কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো কিংবা করণীয় নির্ধারণে এখনই হুটহাট কোনো কিছু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা।
সূত্রমতে মার্কিন শ্রম নীতির সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সরকারকে স্যানসিটাইজ করতে দেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল গঠিত হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ ওই ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। তারা এরইমধ্যে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যক্তিগতভাবে এবং দলগতভাবে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন তারা।
সরকারের একাধিক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, মার্কিন শ্রম নীতিটি কান্ট্রি স্প্যাসিফিক নয়। অর্থাৎ এতে বাংলাদেশের শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এটি কেবলমাত্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না। বরং বিশ্বের যেখানেই শ্রম অধিকার হরণের ঘটনা ঘটছে বা ঘটবে সেখানেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন তা কঠোরভাবে কার্যকর করবে।