অনলাইন
ভারতের দ্বিতীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের মুখে অবসরের কথায় কৌতুহল
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১৪ ঘন্টা আগে) ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

ভারতে রাজনীতিবিদরা বয়স হলেও অবসর নেন না। অথচ ভারতের দ্বিতীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের মুখে অবসরের ঘোষণায় প্রবল কৌতুহল তৈরি হয়েছে। ভারতে মোদি-শাহ জুটির নাম একসাথে উচ্চারিত হয়। গুজরাটের রাজনীতি থেকে যে জুটির আবির্ভাব, সেই জুটি এখন দেশটির রাজনীতিতেও প্রবল প্রতাপশালী। অনেকেই মোদির উত্তরসূরি মনে করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে। অথচ ৬০ বছর বয়সের মাথায় অমিত শাহর মুখে শোনা গিয়েছে অবসরের কথা। স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই প্রকাশ্যে অবসরের পর তিনি কি করবেন সেই পরিকল্পনার কথা বলেছেন।
গত বুধবার গুজরাট, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নারীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। গুজরাটের আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সেই সভায় নারীদের সঙ্গে কথাবার্তার সময় তিনি নিজেই অবসর জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি বলেছেন, আমি ঠিক করেছি, অবসর গ্রহণের পর আমি বাকি জীবন বেদ ও উপনিষদ পড়ে কাটাব এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের (অর্গানিক ফার্মিং) জন্য সময় ব্যয় করব। তবে তিনি বেদ ও উপনিষদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা না করলেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের বিষয়ে অনেক কথা বলেছেন।
অর্গানিক ফার্মিং-এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে অমিত শাহ বলেছেন,রাসায়নিক সার দিয়ে যে ফসল উৎপাদিত হয়, তা খেলে অনেক রকমের অসুখ হয়। ক্যানসার হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, থাইরয়েডের সমস্যাও দেখা দেয়। এসব কথা আগে আমরা জানতাম না। এখন জানা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত ফসল খেলে কাউকে ওষুধ খেতে হচ্ছে না। তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জমির উর্বরতা শক্তিও বাড়িয়ে দেয়।
হঠাৎ করে অমিত শাহর মুখে অবসর নিয়ে বিজেপির রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অবসরের পরিকল্পনার কথা স্রেফ কথার কথা নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনীতির হিসেব নিকেষ। বিজেপিতে ৭৫ বছর পর্যন্ত রাজনীতি করার লক্ষন রেখা টেনে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেই। সেই হিসেবে মোদির সরে দাঁড়ালেন সময় এসে গিয়েছে। তাই রাজনীতির অন্দরে আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছে যে, মোদির অবর্তমানে বিজেপিতে প্রভাবশালী হিসেবে টিকে থাকা যোগী আদিত্যনাথের মত নেতাদের দাপটে সম্ভব হবে না বলেই কি তিনি মনে করছেন? তাই কি ক্ষমতার তখত ছেড়ে সরে দাঁড়ানোই সঠিক বলে ভাবছেন?