ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

নির্বাচন কবে, নির্ভর করছে ঐকমত্য প্রতিবেদনের ওপর

অনলাইন ডেস্ক

(১২ ঘন্টা আগে) ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:০২ অপরাহ্ন

দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম ‘নির্বাচন কবে, নির্ভর করছে ঐকমত্য প্রতিবেদনের ওপর’। এতে বলা হয়,   আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এক যৌথ বিবৃতিতে যে ঘোষণা এসেছিল, তার বাস্তবায়ন হবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন বা জুলাই সনদের ভিত্তিতে।

গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটা জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁর দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। কোন কোন জায়গায় আলোচনা আটকে যাচ্ছে, তা–ও জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

মনির হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি সংস্কারের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভবিষ্যতে কোনো দল চাইলেই যাতে সংবিধান পরিবর্তন করে ফেলতে না পারে, সে ধরনের বিধান এবং নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। এসব সংস্কার নিশ্চিত করেই নির্বাচন করার পক্ষে মত দেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি এবং নারী আসনে সরাসরি ভোটের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের কয়েক দফা আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত ঐকমত্য হয়নি। এসব ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের আপত্তি আছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়েছিল। সে বিষয়টি নিয়েও গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। বিটিভি নিউজে সরাসরি সম্প্রচার করা কমিশনের আলোচনা তিনি দেখেন ও মনোযোগ দিয়ে সবার বক্তব্য শোনেন। দলগুলো সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে যাচ্ছে, এটাকে তিনি খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তিনি আশা করেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আলোচনার ভালো অগ্রগতি হবে এবং লন্ডনে দেওয়া ঘোষণা বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৩ জুন লন্ডনে ওই বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

অবশ্য লন্ডন বৈঠকের ঘোষণার পর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান তৎপরতা না থাকায় বিএনপির নেতাদের মধ্যে একধরনের সংশয় তৈরি হয়েছিল। গত বুধবার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দেন, যা পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব গণমাধ্যমকে জানান।

এ জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) নির্দেশ দিয়েছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব কাজ গুছিয়ে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক ব্যাপার।’


বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'গণিত ও ইংরেজির দুর্বলতায় এসএসসিতে বেড়েছে অকৃতকার্য'। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ কম। মূলত ইংরেজি ও গণিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় সার্বিক ফল খারাপ হয়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী, পাস করে ১৩ লাখ, ফেল করে ছয় লাখ। জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪৩ হাজার কম। বরিশাল বোর্ডে সবচেয়ে খারাপ ফল দেখা গেছে, যেখানে গণিতে প্রায় ৩৫ শতাংশ ও ইংরেজিতে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। একজন কৃষকের কন্যা সানজিদা ভালো ফল করলেও গণিতে ফেল করেছে, কারণ হিসেবে উঠে এসেছে শিক্ষকের দুর্বলতা ও মানহীন প্রাইভেট ক্লাস। শিক্ষা বোর্ড জানায়, এবার খাতা মূল্যায়ন ও পরীক্ষার হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করায় প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে। শিক্ষকদের দক্ষতার অভাব রয়েছে, বিশেষ করে ইংরেজি ও গণিতে। ব্যানবেইসের তথ্যে দেখা যায়, ইংরেজি ও গণিত শিক্ষকদের অধিকাংশেরই নিজ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেই। গ্রামের স্কুলগুলোয় শিক্ষক সংকট বেশি, বেতন কম হওয়ায় ভালো শিক্ষক সেখানে যেতে চান না। এ বছর ছাত্রীরা পাসের হার ও জিপিএ ৫-এ ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। পাসের হার সর্বোচ্চ রাজশাহীতে, সর্বনিম্ন বরিশালে। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ফলাফল কমার পেছনে রাজনৈতিক চাপ না থাকা ও বাস্তব মূল্যায়নের প্রভাব রয়েছে।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'ভোটের ট্রেনে ওঠার তোড়জোড়'। প্রতিবেদনে বলা হয়,বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার মধ্যে আলোচনা চলছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার পর বিএনপি, জামায়াত, বাম দলসহ অনেকেই তা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। বিএনপি বলছে, তারা লিবারেল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং মনে করে নির্বাচন নিয়ে আর জটিলতা হবে না। জামায়াত জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত হলে তাদের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই। নতুন দল এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন দল নির্বাচনি প্রচার ও প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজে ব্যস্ত। এদিকে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসন পুনর্নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধন, পোস্টাল ব্যালট, ইভিএম বাতিলসহ নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। কমিশন প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার কার্যকর করতে যাচ্ছে এবং নির্বাচনি অনিয়মে আসন বাতিলের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের হলফনামায় আরো তথ্য যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধর্মান্তরিতদের এনআইডি সংশোধনের সমস্যাও সহজ করা হবে। সব মিলিয়ে, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, এই সম্ভাবনায় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছে। কেউ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন মানবে না বলছে, কেউ আবার দ্রুত নির্বাচিত সরকার গঠনের কথা বলছে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, 'How tender rules and a lone bidder stall a $2.5b power plant' অর্থাৎ, 'টেন্ডারের নিয়মের কারণে কীভাবে একজন দরদাতা ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র আটকে দিতে পারে'। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের দুই দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পটুয়াখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও এখনো চালু হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো দীর্ঘমেয়াদি কয়লা সরবরাহকারী খুঁজে না পাওয়া। এখন পর্যন্ত তিনবার টেন্ডার ডাকলেও প্রতিবারই সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি মাত্র কোম্পানি ইয়ংতাই এনার্জি অংশ নিয়েছে এবং তারা অত্যধিক দাম চেয়েছে। এতে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। অনেক কোম্পানি টেন্ডার কিনলেও বেশিরভাগই অংশ নেয়নি, কারণ টেন্ডারের শর্ত এত কঠিন ছিল যে বেশিরভাগ যোগ্য কোম্পানিই বাদ পড়ে যায়। বিশেষভাবে কয়লাখনির মালিকের সরাসরি অনুমতিপত্র চাওয়া হয়েছে, যা টেন্ডারের প্রথম ধাপে পাওয়া কঠিন। এসব শর্ত এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন শুধু ইয়ংতাইই উপযুক্ত হয়। এমনকি মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিও হঠাৎ বদলে দেওয়া হয়, যা অন্য কোম্পানিগুলোর জন্য অপ্রস্তুতির কারণ হয়। অনেকে সন্দেহ করছে পুরো প্রক্রিয়াটিই পরিকল্পিতভাবে একটি কোম্পানির জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফলে এখন কয়লা না থাকায় ১,৩২০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে, আর এতে যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে এবং দেশের বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এখন আলোচনায় এসেছে, পাঁচ বছরের বদলে এক বছরের জন্য স্বল্পমেয়াদি কয়লা সরবরাহের চুক্তি করার কথা। বিদ্যুৎ বোর্ড জানিয়েছে, টেন্ডারের শর্ত শিথিল করে আবার নতুন করে ডাকা হবে যাতে প্রকল্প চালু করা যায়।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'জনসমক্ষে অবর্ণনীয় নৃশংসতা'। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে জনসমক্ষে ভয়াবহ ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী সোহাগকে। কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করে, ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে এবং পরে মৃতদেহের ওপরও বর্বরতা চালায়। আশপাশে বহু মানুষ থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। আনসার সদস্যরাও নিষ্ক্রিয় ছিল। সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশের পর ঘটনাটি সামনে আসে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোহাগের পুরোনো বন্ধু মহিন ও রবিনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মহিন ব্যবসার ভাগ চাইলেও সোহাগ তা মানেননি। আগের দিন তার গুদামে গুলি চালানো হয় এবং পরদিন মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বহু কষ্টে ব্যবসা দাঁড় করান। পরিবারে স্ত্রী, একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। পুলিশের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় খুনের সংখ্যা ১৩৬, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সমাজে অস্থিরতা ও সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, 'Covid vaccine uptake slows down' অর্থাৎ, 'কোভিড টিকা গ্রহণের গতি কমেছে'। প্রতিবেদনে বলা হয়,  গত চার বছর ধরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর বাংলাদেশে এখন সংক্রমণ অনেকটাই কমে গেছে। মৃত্যুর খবর নেই, হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডগুলো খালি পড়ে আছে, নতুন রোগীও খুব কম। বেশিরভাগ এলাকা করোনা-মুক্ত হলেও ঢাকায় কিছু সংক্রমণ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শান্ত অবস্থা আসলে অনেকটা বিভ্রান্তিকর। টিকা নেওয়ার হার, বিশেষ করে বুস্টার ডোজ, দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এখন অনেক দিন এমন যাচ্ছে যে, দৈনিক এক হাজারেরও কম মানুষ টিকা নিচ্ছে। এর পেছনে টিকার ঘাটতির চেয়ে বেশি কাজ করছে মানুষজনের গা-ছাড়া ভাব, ভ্রান্ত ধারণা এবং টিকা নিয়ে আগ্রহ কমে যাওয়া। দেশে ১৫ কোটির বেশি প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রায় সাত কোটির মতো বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টিকা না নিলে ভবিষ্যতে ঝুঁকি বাড়বে। কারণ নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস বিশ্বে এখনও ছড়াচ্ছে। প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যেই ৩১ শতাংশ সংক্রমণ দেখা গেছে। ঢাকায় এখনও সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ। বিদেশফেরত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক কোটির কাছাকাছি, কিন্তু আগতদের টেস্ট ও নজরদারি কমেছে। ফলে নতুন ভ্যারিয়েন্ট চুপিসারে দেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, করোনা পুরোপুরি শেষ হয়নি। টিকা ও সচেতনতা জারি রাখতে হবে, নইলে আবার ভয়াবহ ঢেউ ফিরে আসতে পারে।

৩৫ ভাগ শুল্ক ইস্যুতে দুই শর্তের মুখে দেশ’-এটি যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়তি শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিন বাংলাদেশকে দুটি শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রথমটি হচ্ছে, তৈরি পোশাকসহ ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে তাদের দেশে বিনিয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া আলোচনায় উঠে আসা অন্য বিষয়ের বেশির ভাগেই একমত দুই দেশ। ৯ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলা, গম ও জ্বালানি তেল আমদানি বাড়ানো ও বোয়িং বিমান কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা  এ তথ্য জানান। ইউএসটিআরের সঙ্গে এই আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো বাড়তি ৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক থেকে অব্যাহতি নিশ্চিত করা, যা ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে কার্যকর হতে যাচ্ছে। এদিকে বৈঠকে ইউএসটিআর কর্মকর্তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকের পারিশ্রমিক এবং কারখানার পরিচালন ব্যয় বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করে একটি টি-শার্ট উৎপাদনের পর তার বিক্রয় মূল্য বাংলাদেশে উৎপাদিত একই টি-শার্টের তুলনায় অনেক বেশি হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের বেশি মূল্য দিয়ে পণ্য কিনতে হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ খুব বেশি উপযোগী হবে না বাংলাদেশের জন্য। তবে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এছাড়া বোয়িং বিমান কেনার প্রক্রিয়া শুরু এবং এপ্রিল থেকে তরল গ্যাস এলএনজি এবং গম আমদানি বাড়ানো হয়েছে। শ্রম অধিকার নিশ্চিত প্রসঙ্গে সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার একটি শ্রম আইন প্রণয়ন করেছে। শ্রম আইন বিধিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন। যা শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করবে।

 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status