শেষের পাতা
ঢাকায় সিরিয়াল রেপিস্ট গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জুন ২০২২, শনিবার
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনায় শামীম হোসেন মৃধা (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ১১ই জুন ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ধর্ষক শামিম হোসেন মৃধাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত শামীম জানায়, পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ায় স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় এবং ঘটনার পরপরই ঢাকায় আত্মগোপন করে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, শামিম একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। ২০১৫ সালে ২৬শে জানুয়ারিতে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে হামলা করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ২০১৭ সালে ১লা নভেম্বর একই উপজেলার মাদ্রাসার ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রামদা দিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ২০২১ সালে ১০ই অক্টোবর আরেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌনপীড়ন করে। এসব ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা হয়।
তিনি আরও বলেন, শামিম ঢাকার বাবুবাজার ও গাবতলী এলাকায় সিএনজি এবং প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করে। ১৬ বছর বয়সে সে বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আত্মগোপনে চলে যাওয়া ছিল তার কৌশল। সে গ্রেপ্তার এড়াতে একস্থানে বেশি দিন অবস্থান করতো না। এছাড়াও তার নামে বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা ও মাদকসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। এর আগে ধর্ষণ ও অন্যান্য মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪-৫ বার কারাভোগ করেছে। শামিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত
Ashraful ধর্ষণ আইনের দুর্বলতা আছে । তাই আদালত আইন মেনে জামিন দেয়। আইন টি আরো কঠোর করা উচিত । তাছাড়া ধর্ষককে নপুংসক করার আইন সব চেয়ে উত্তম আমি মনে করি । সাংসদ গণ এই আইন করতে চান না।
দেশে ডিজিটাল আইনে সামান্য অপরাধের কারণ বছরের পর বছর জামিন পায় না আর হেতে এত আকাম কুকাম করার পরেও জামিন পায় কেমনে??