শেষের পাতা
সরকারের উন্নয়ন প্রচার
এমপি পুত্র সুজনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
মো. রেজাউল প্রধান, ঠাকুরগাঁও থেকে
১৬ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সারা দেশে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে চিহ্নিত টানা সাতবারের নির্বাচিত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ দবিরুল ইসলামের সুযোগ্য বড় ছেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমির উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন। যিনি বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুরসহ ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা, এতিমখানা ও গরিব-দুঃখী মানুষের সহযোগিতায় করেছেন প্রচুর অর্থ ব্যয়। অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সুনাম। দলমত নির্বিশেষে ঠাকুরগাঁওয়ের যে কেউ তার কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসেনি। দানবীর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় তার আদর্শ ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আগামীতে বাবার পাশাপাশি সুজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন হরিপুর-বালিয়াডাঙ্গীর দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ। তিনি সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরতে প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
তার ফেসবুক আইডিতে অনেকে মন্তব্য করে লেখেন- ‘সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এভাবেই জনগণের মাঝে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন সুজন ভাই।’ অনেকেই আবার লেখেছেন- ‘এ দেশটাকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। তাই উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে আপনি পিছুপা হবেন না। এলাকার উন্নয়নের জন্য বাবার পাশাপাশি আপনার মতো ভবিষ্যতে ত্যাগী ও নিঃস্বার্থবান নেতারই দরকার আছে।’ মামুন সরকার নামে একজন ফেসবুক আইডিতে মন্তব্য করে লেখেন, ‘সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় হোক মানবতার ফেরিওয়ালার। মোজাম্মেল নামে এক ব্যক্তি বলেন, বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে যেভাবে তিনি হরিপুর-বালিয়াডাঙ্গীর দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গেছেন তা এলাকার জনগণ আজীবন মনে রাখবেন। ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও সব সময় সাধারণভাবে চলাফেরা করার পাশাপাশি বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মী, গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনার জন্য প্রতিদিন সকালে নিজ বাড়ির উঠানে বসে থাকতেন সুজন।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের নির্বাচনী এলাকায় টানা সাতবারের মতো আগামীতেও আওয়ামী লীগের জয়ের লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে দলকে সুসংগঠিত করতে হরিপুর-বালিয়াডাঙ্গীর প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে উঠান বৈঠক করে সকল ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন। অধ্যাপনা দিয়ে পেশা জীবন শুরু করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পিতার হাত ধরেই ছাত্রাবস্থায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৫ সালে নির্বাচিত হন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। ১৯৯৮ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৪ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচত থাকাবস্থায় ২০২০ সালে পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সুজন ১৯৭৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের নির্বাচিত এবং বর্তমান এমপি আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার শৈশব কেটেছে বড়বাড়ি গ্রামে।
লেখাপড়ায় তিনি যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি দুরন্তপনায় মাতিয়েছেন গ্রাম। বড়বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ শেষ করে বালিয়াডাঙ্গী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতে যান। ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও কলকাতা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসেন। দলকে সুসংগঠিত করতে কলকাতায় অধ্যয়নরত অবস্থায় ছুটিতে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে দলের জন্য কাজ করে গেছেন। এ ব্যাপারে মাজহারুল ইসলাম সুজন মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছি, বিএনপি’র শাসনামলে দুইটি জননিরাপত্তা মামলায় ৫১ দিন কারাবরণ করেছি। একজন দলীয় নেতা হিসেবে দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুরসহ এ জেলার গরিব, দুস্থ, অসহায় নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো ইন্শাআল্লাহ।