খেলা
ওয়ানডে বিশ্বকাপ
বাংলাদেশের সেরা যারা
সৌরভ কুমার দাস
৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। এরপর আরও ৫টি বিশ্বকাপ খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সে টাইগার জার্সিতে সাকিব আল হাসান তাক লাগিয়েছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সিতেও সবখানে তার আধিপত্য। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা যারা এক নজরে দেখে নেওয়া যায়-
সর্বোচ্চ রান
২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন সাকিব। প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। ওই ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় টাইগাররা। এখন পর্যন্ত ৪ বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ৪৫.৮৪ গড়ে তার সংগ্রহ ১১৪৬ রান। যেখানে রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি ও ১০টি ফিফটি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এই অলরাউন্ডের অবস্থান ৯ নম্বরে। ৪৫ ম্যাচে ২২৭৮ রান নিয়ে এই তালিকায় সবার শীর্ষে ভারতীয় কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার।
এই তালিকায় বাংলাদেশের হয়ে দুই নম্বরে আছেন মুশফিকুর রহীম। সাকিবের সমান ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৮.১৩ গড়ে ৮৭৭ রান। সবমিলিয়ে ৩৬ নম্বরে থাকা মুশফিকের ফিফটি ৬টি আর সেঞ্চুরি ১টি।
এই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না থাকা তামিম ইকবাল সমান ম্যাচে করেছেন ২৪.৭৫ গড়ে ৭১৮ রান। বিশ্বকাপে কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও ৪টি ফিফটি আছে তার। সবমিলিয়ে এই তালিকায় তার অবস্থান ৫৪ নম্বরে।
সর্বোচ্চ উইকেট
এখানেও বাংলাদেশের জার্সিতে সবার উপরে সাকিব আল হাসান। ২৯ ম্যাচে ৫.১১ ইকোনোমিতে এই বাঁহাতি স্পিনারের সংগ্রহ ৩৪ উইকেট। ২৯ রানে ৫ উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। ইনিংসে ১ বার করে নিয়েছেন ৪ ও ৫ উইকেট।
মাত্র ১ বিশ্বকাপ খেলা মোস্তাফজুর রহমান এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া এই বাঁহাতি পেসারের সংগ্রহ ৮ ম্যাচে ২০ উইকেট। ওভার প্রতি তিনি রান খরচ করেছেন ৬.৭১। ৫৯ রানে ৫ উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের আসরে দুইবার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ২ বিশ্বকাপ (২০০৭, ২০১১) খেলা স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকেরও শিকার ২০ উইকেট। তবে তিনি ম্যাচ খেলেছেন ১৫টি। সবমিলিয়ে দুজনেই এই তালিকায় ৫৯ নম্বরে। আর ৩৯ ম্যাচে ৭১ উইকেট নিয়ে সবার উপরে অজি কিংবদন্তী গ্লেন ম্যাকগ্রা।
সর্বোচ্চ ক্যাচ
২ বিশ্বকাপ খেলা সৌম্য সরকার এই তালিকার শীর্ষে। ১৩ ম্যাচে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে ১৪ ক্যাচ ধরেছেন তিনি। এর মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪টি ক্যাচ ধরেছেন। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ক্যাচ ধরার তালিকায় ১৭ নম্বরে সৌম্য। ২৯ ম্যাচে ১২ ক্যাচ নিয়ে এই তালিকায় বাংলাদেশের জার্সিতে দুই নম্বরে তামিম ইকবাল। এবারের আসরে দলে না থাকা এই ওপেনার সবমিলিয়ে এই তালিকায় ২৬ নম্বরে। ৪৬ ম্যাচে ২৮ ক্যাচ নিয়ে এই তালিকায় সবার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩টি ক্যাচ ধরেছেন তিনি।
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল
২৯ ম্যাচে ২৮ ডিসমিসাল নিয়ে এই তালিকায় বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম স্থানে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এরমধ্যে ২১টি ক্যাচ ও ৭টি স্টাম্পিং। সবমিলিয়ে এই তালিকায় ৮ নম্বরে তিনি। ১৪ ম্যাচে ৬ ডিসমিসাল নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দুই নম্বরে ২০০৩ বিশ্বকাপের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। যেখানে ৪টি ক্যাচ আর ২টি স্টাম্পিং। সবমিলিয়ে ৫৮ নম্বরে তিনি। এবারের বিশ্বকাপ খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিকের পরে রয়েছে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। ১৭ ম্যাচে ২২ ডিসমিসাল তার। যেখানে ২০টি ক্যাচ আর ২টি স্টাম্পিং। সবমিলিয়ে ১১ নম্বরে রয়েছেন তিনি।
আর ৩৭ ম্যাচে ৫৪ ডিসমিসাল নিয়ে সবার উপরে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী কুমার সাঙ্গাকারা। যেখানে ৪১টি ক্যাচ আর ১৩টি স্টাম্পিং।