দেশ বিদেশ
বিএনপি’র ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের কী হলো- ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। বিএনপি’র ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের কী হলো? ফলাফল কী? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের সোনালী অর্জন সেগুলো হতো না। আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ, ওই লাশ এখন আমাদের দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশে ওই তত্ত্বাবধায়কের ইতিহাস জানা আছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ, ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ, ১৫ বছর আগের এই ঢাকা শহর, ১৫ বছর পরের এই ঢাকা শহর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আলোতে ঝলমল। কী পরিবর্তন তাকিয়ে দেখুন। আগামী মাসে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চলবে। কী অপূর্ব সুন্দর ঢাকা শহর। এই রূপান্তরের রূপকার কে? সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছে কে? আমাদের সাহস, আমাদের স্বপ্নের বর্ণিল ঠিকানা, কে তিনি? শেখ হাসিনা।
মার্কিন ভিসা নীতি আওয়ামী লীগ পরোয়া করে না উল্লেখ করে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ফখরুল সাহেব ‘ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে’ বলেছেন। আমরাও একই কথা বলেছি, একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য এটি অসম্মানজনক। তিনি (ফখরুল) কী ভুলে গেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ২০১২ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি লিখেছিলেন? র্যাবের ওপর স্যাংশন দিতে লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপি কাজ করেছিল। ভিসা নীতিসহ দেশের সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী। দেশকে ধ্বংস করতে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, সেই নির্বাচন কেউ বাধাগ্রস্ত করতে এলে রাজপথে প্রতিহত করা হবে। আমরা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আপসহীন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে আমরা এই পর্যন্ত এসেছি। আগামী নির্বাচনে বাধা দিতে এলে রাজপথে তাদের প্রতিহত করা হবে। সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।