বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে ‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়ের’ দাবি

কোনো তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান রুগ্‌ণ হলে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং মালিকের জন্য একটি কার্যকর এঙিট পলিসি প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বিজিএমইএ’র নির্বাচনী জোট ফোরাম। পাশাপাশি নতুন কোনো মন্ত্রণালয় না করে বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে ‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়’ গঠন করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের একটি স্বচ্ছ, গতিশীল, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গঠনে ও শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় শক্তিশালী ও পেশাদার ভূমিকা রাখবে ফোরাম। 
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২৫-২৭ সালের বিজিএমইএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পোশাক মালিকদের একটি প্ল্যাটফরম ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এ সময় ফোরাম মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদ, ইভিন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী সহ প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও জিডিপিতে বড় অবদান, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় উৎস, কর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নে খাতটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এটিও সত্য, ৪৫ বছরের বেশি সময়ের যাত্রায়, এখনো টেকসই হয়ে ওঠেনি খাতটি। এখানে, বিজিএমইএ’র যতটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখার কথা সেটি বিগত দিনে হয়নি। উল্টো একটি গোষ্ঠী সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু উদ্যোক্তা, মালিকরা সবসময়, একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ চেয়েছেন। তিনি বলেন, এবার একটি গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা পাওয়া গেছে। ফলে, সাধারণ সদস্যরা আশা করছেন, সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা সবসময়, সংগ্রাম করে গেছি, একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ভোটের আয়োজন করতে। আমরা মনে করি এবার মালিকদের আশার প্রতিফলন হবে। 
প্যানেল লিডার জানান, ফোরাম থেকে ৩৫ পরিচালক পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। ব্যবসা রয়েছে এমন উদ্যোক্তা, তরুণ নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা এসব বিবেচনা করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রার্থীরা পর্ষদে এলে, তাদের হাতে নতুন বিজিএমইএ গড়ে উঠবে। আমরা দৃঢতার সঙ্গে, আগামীর পথে পোশাক খাতকে নিয়ে যেতে চাই।
পোশাক খাতের অগ্রযাত্রা, উন্নয়ন ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করাসহ ৯টি কৌশলগত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ফোরাম নেতারা। অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বাড়তি নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা, ব্যাংক ও কাস্টমস হয়রানি নিরসন, রুগ্‌ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষ নীতি সহায়তায় আদায়, অনিয়ন্ত্রিত কারণে রুগ্‌ণ প্রতিষ্ঠানের এঙিট পলিসি চূড়ান্ত করা।
ফোরাম প্যানেল লিডার জানান, এবার এমন একটি প্যানেল দেয়া হয়েছে, যারা কেবল পরিচালক হতে পর্ষদে আসতে চান না। শিল্পের জন্য কাজ করবে, কার্ডধারী পরিচালক কিংবা বিজিএমইএ আর দলীয় কার্যালয় হবে না। মালিকদের সমস্যা সমাধানে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল অঞ্চলভিত্তিক গড়ে তোলা হবে। আর আমরা নেতৃত্ব পেলে, প্রত্যেক পরিচালককে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা হবে। ফোরাম পর্ষদে গেলে ব্যক্তি স্বার্থে কাজ করবে না বলে জানান তিনি। নেতারা বলেন, ফোরাম নেতৃত্ব পেলে, সংগঠনটি মালিক, শ্রমিক সবাইকে সম্মানের সঙ্গে দেখবে, রাজনৈতিক বিবেচনা এখানে স্থান পাবে না। বিজিএমএইএ হবে, মালিকদের আস্থার নাম।