দেশ বিদেশ
সাহানা সিরাজসহ ‘রত্নগর্ভা মা’ পুরস্কার পেলেন ৩৫ জন
স্টাফ রিপোর্টার
১২ মে ২০২৫, সোমবার
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সন্তানদের যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ জন নারীকে ‘রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-২৪’ পদক প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল মা দিবসে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ শাখায় ‘রত্নগর্ভা মা’ সম্মাননা পান সাহানা সিরাজ। তিনি কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের সহধর্মিণী। দুই সন্তানের সফল মা হিসেবে অবদানের জন্য তাকেসহ মোট ৩৫ মাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। সন্তানদের যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছরেই সফল মায়েদের এই পুরস্কার দিয়ে আসছে আজাদ প্রোডাক্টস লি.। এ বছর মোট ৩৫ জন নারীকে ‘রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-২৪’ পদক তুলে দেয়া হলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডাস্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, অভিনেতা ও নির্মাতা আবুল হায়াত, সবুর খান প্রমুখ। শাইখ সিরাজ বলেন, ২০০৫ সালে আমার মা ‘রত্নগর্ভা মা’-এর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, একই আয়োজনে কুড়ি বছর পর আমার স্ত্রী ‘রত্নগর্ভা মা’ সম্মাননা পাচ্ছেন, এটা সত্যিই অন্যরকম ভালোলাগার।
এ সময় তিনি একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সন্তানদের বিখ্যাত হওয়ার জন্য গড়ে তোলার চেয়ে মানবিক গুণসম্পন্ন করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ২৫ জন নারীকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে এবং ১০ জনকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ‘মাইড্যাড ওয়ান্ডার ফুল’ ক্যাটাগরিতে একজন বাবাকে দেয়া হয় এই পুরস্কার।
‘আমার মা আমার ভালোবাসা’ এই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে ২০০৩ সাল থেকে আজাদ প্রোডাক্টসের পক্ষ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ২২তম বছরের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে সম্মানিত হওয়া মায়েরা হলেন: মারতুজা নুসরাত, মোছা. ফরিদা বেগম, রাশিদা বেগম, নাসিমা মান্নান চৌধুরী, বিবি মরিয়ম, রোকেয়া খানম, পিয়ারা বেগম, আফরোজা পারুল, রোকসানা আক্তার, হাসিনা আক্তার, বেগম সালেহা করিম, ফাতিমা নার্গিস, আঞ্জুমান আরা বেগম, সালমা আলম, মোছা. জোবেদা খানম, মোছা. রাজিয়া বেগম, মোছাম্মৎ মাহমুদা বেগম, কিশোয়ার জাহান, মোসা. ফাতেমা বেগম, সুরাইয়া চৌধুরী, রাবেয়া পারভীনবানু, আদরিনী সরকার, হাছিনা আক্তার, মনোয়ারা বেগম, এডভোকেট হালিমা আক্তার।
বিশেষ ক্যাটাগরিতে যারা রয়েছেন: সাহানা সিরাজ, মোসা. মুসলিমা খানম রানা, স্মৃতিকণা বড়ুয়া, খাদিজা খন্দকার, ফাতেমা আলম শাহানা, শাহানা আকতার চৌধুরী, অলকা ঘোষ, শামছুন্নাহার হোসেন, মোছা. ফরিদা বেগম, সৈয়দা দিলরুবা খানম। এ ছাড়াও মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল ক্যাটাগরিতে আরেফিন বাদল সম্মানিত হয়েছেন।
আজাদ প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেসব মায়েরা কঠিন শ্রম ও মন্ত্রমুগ্ধ দীক্ষা দিয়ে সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করেছেন, দেশে বিদেশে আলোকিত ও বিকাশিত করেছেন প্রতি বছর তাদের সম্মাননা দেয়া হয়ে থাকে।
পাঠকের মতামত
এই পুরস্কারের মাধ্যমে অন্যান্য মায়েদের ছোট করা হয়। কারণ যে সব সন্তানেরা ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় তারা তাদের জীবনে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় করে প্রতিষ্ঠত হয়। সব মায়েরাই তাদের সন্তানকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চায়। কিন্ত সন্তানের ব্যর্থতার কারণে প্রতিষ্ঠিত ও ভালো মানুষ হতে পারে না তাতে মায়েদের কোনো ব্যর্থতা নাই।
এই ৩৫ জন নারী ‘রত্নগর্ভা মা' আক বাকী সব মায়েরা 'কয়লাগর্ভ' মা তাই না!!! মাতো মা ই আবার এর গর্ভ বিভাজন করার মানে কী?