অনলাইন
কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৭
স্টাফ রিপোর্টার কুমিল্লা থেকে
(২ মাস আগে) ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৭ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে আসা লোজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল মান্নান। এসময় তার বাড়ি ও ব্যক্তিগত অফিসে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আব্দুল মান্নানের সমর্থিত আওয়ামী লীগ কর্মী মো. ফারুক, রাশেদ, শাহজাহান, মনির হোসেনসহ অন্তত সাত-আট জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লাকসাম পৌরসভার আব্দুল মান্নানের বাড়ির পাশে গাজীমুড়া কামিল মাদ্রাসা মাঠ ও পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে লাকসামের গাজীমুড়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেন এবং সেখানে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে গেইট বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে আয়োজকদের সাথে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। হামলাকারীরা স্থানীয় এমপি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল মান্নানের লোকজন মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠান করতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি। তাই তাদেরকে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
তবে আব্দুল মান্নান জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শিহাব, রাসেল ও স্বাধীনের নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনুষ্ঠানে আসা লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ৭-৮ জনকে গুরুতর আহত করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাথায় ও হাতে-পায়ে কোপের আঘাতে গুরুতর আহত মনির হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা ঘটনাস্থলের অদূরে তার বাড়িতে এবং দৌলতগঞ্জ বাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং অফিস ও অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার-টেবিল নিয়ে যায়। তিনি ঘটনার সময় পকেটে লাইসেন্স করা পিস্তল থাকলেও তা বের করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
লাকসাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ বলেন, সকালে আব্দুল মান্নান তার ব্যক্তিগত অফিসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। বিকালে মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠানের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় মনির হোসেন নামের একজন আহত হয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত
এখন দেখেন যে হামলাকারীদের মধ্যে সরাসরি না হলেও দূরসম্পর্কের (দাদা-নানা সম্পর্কের হলেও হবে) কোন বিএনপি সংযোগ পাওয়া যায় কিনা? যদি পাওয়া যায় তো কেল্লা-ফতে! ৫০-১০০ আটক আর ৪০০০-৫০০০ অজ্ঞাতনামা মামলা সহজেই হয়ে যাবে, এছাড়াও নির্বাচনের আগে এটাকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে প্রচারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
অনুমতি না নিয়ে কোন অনুষ্ঠান করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রশাসন বাঁধা দিতে পারে কিন্তু শারীরিক ভাবে আক্রমণ খুবই ন্যাক্কারজনক ।
নাজমা মোস্তফা// হাদীস নিজে লেখেন ওরা তুলসীর রস কখনো বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেনি// বাংলাদেশে
খবরটি দেখে চমকে গেলাম। ভাবলাম এ আবার কোন নাটক। যদিও বিরোধীদলের এসব কাজ করার কথা নয়। তারপরও বলা যায় না, কপট বুদ্ধির কোন গোপন চাল কি না যে ছলবাজি তারা সাধারণত করে থাকে। স্থানে স্থানে বুঝে বুঝে আগুনে পুড়ে, ছলে বলে কলে কৌশলে দুর্বৃত্তরা আগায় ঠিকই। তবে আল্লাহর সাবধান বাণী মানবজাতির ঐ অপকর্মীদের প্রতি, “তোমরা করো ষড়যন্ত্র আমি করি পরিকল্পনা।” যাক্ শেষ পর্যন্ত দেখলাম এসব নিজেদের নিজেদের কামড়াকামড়ি। ঘটনা ঘটিয়ে একজন শংকটাপন্ন সর্বমোট ৭ জন আহত। যারা সৎ পথে চলে সততার অর্জনে আগায় তাদের জীবন ইহ ও পরকাল উভয়কুলই স্বার্থক ও গ্যারান্টিপ্রাপ্ত। এদের জন্য সুখবর বারে বারে এসেছে আল্লাহর তরফ থেকে। বলা হয়েছে তোমরাই হবে আ’লা। বুদ্ধিমানেরা ঐ অর্জন জমা করে আর বোকারা ওটি হারায়।
শিরোনামটি দেখে চমকে গেলাম। ভাবলাম এ আবার কোন খেল। বিশ^াস করতে পারছিলাম না যে বিরোধী কেউ এটি করার কথা নয়। তারপরও বলা যায় না উর্বর মস্তিষ্কের কারাবীরা কত কিছুই করতে পারে। পড়ে দেখি নিজেরা নিজেরা মারামারি। জন্মদিন পালন করতে গিয়ে নিজ দলের আহত মনির হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক। এতেও আবার প্রমাণিত হয় দাঙ্গা হাঙ্গামায় নামকরা একদলই আগুয়ান ঐ মাটিতে।
যুবলীগ নেতা কি মাদ্রাসার মালিক ? অনুমতি নেওয়ার অবশ্যই নিয়ম । তথাপি নিজের দলের মিটিং আক্রমণ না করাই ভাল ছিল।
এটাই এই দলের আসল চরিত্র। এই দলের সমর্থকরা এরকমই। ১০ জন মানুষ এক জায়গায় কথা বলতে গেলে যে কেউ বুঝতে পারবে এদের মধ্যে কারা এই দলের নেতা বা সমর্থক। ধন্যবাদ।
আমরা আমরাই তো
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]