প্রথম পাতা
নেতিবাচক বার্তা মনে করছে না আওয়ামী লীগ
কাজী সোহাগ
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে নেতিবাচক বার্তা বলে মনে করছে না আওয়ামী লীগ। তাদের বক্তব্য, নিজেদের সক্ষমতার অভাবে যদি কেউ পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাতে না পারে সেটা তাদের বিষয়। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে তো তাদের এ নিয়ে কোনো পরামর্শ দেয়া হয়নি। তবে পূর্ণাঙ্গ দল আসলে তারা দেখতে পারতো সরকার কি ধরনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংবিধান মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ দু’জনের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি।
মানবজমিনের পক্ষ থেকে দলটির দু’জন সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, দলের বক্তব্য কি তা আমি জানি না তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, তারা নির্বাচনটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আগে তারা বলেছিল পর্যবেক্ষক পাঠাবে এখন আবার বলছে সবখানে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। পাঠাবে তবে লিমিটেড। আসলে এটার ডিটেইলস আরও বুঝতে হবে কি হয়েছে।
তিনি বলেন, উনারা বলেছেন, একটি পূর্ণাঙ্গ টিম পাঠানোর বিষয়টি আর্থিক। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যে বরাদ্দ, সেটা না থাকার কারণে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে, তারা পরবর্তীতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সক্ষমতার প্রশ্ন থাকতে পারে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নাও থাকতে পারে। যেহেতু কথাটা বলেছে পূর্ণাঙ্গ তার মানে আংশিক পাঠাচ্ছে। সুতরাং এই জায়গাটায় আমি নেতিবাচক কোনো বার্তা দেখি না।
আবদুর রহমান বলেন, পর্যবেক্ষক পূর্ণাঙ্গ আর অপূর্ণাঙ্গতা কি। তার মানেটা কি। সংখ্যাগত পর্যাপ্ততা, না পূর্ণাঙ্গতা নাকি তাদের কর্তব্য পালনে অপূর্ণাঙ্গতা। এখনই এ ব্যাপার নিয়ে কোনো ধরনের নেতিবাচক বার্তা আছে বলে মনি করি না। বিষয়টি নিয়ে মানবজমিনের প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর আগে একটা টিম পাঠিয়েছিলো। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে প্রথম তাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছিল। আমার কাছে এখন যেটা মনে হচ্ছে, তারা এটাতে আশ্বস্ত হয়েছে যে, বাংলাদেশে একটি ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন অবশ্যই হবে। এ কারণেই হয়তো তারা আসছে না। সরকারের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে বলে মনে করি। কারণ প্রথম থেকেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই। যারাই পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে চেয়েছে আমরা সবাইকেই ওয়েলকাম করেছি। সে কারণেই আমি বলবো হয়তো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এই সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে। পাশাপাশি এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপক্ষে নির্বাচন সম্ভব বলে তারা মনে করছে। এ বিষয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশ কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কলোনি? এখন কি আমরা ১৯৪৭ সাল পূর্ববর্তী কালে ফিরে গেছি? আমরা কি ইইউকে পর্যবেক্ষক পাঠাতে নিষেধ করেছি? জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই দেশের সবকিছুর মালিক দেশের জনগণ। বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্র। প্রজাতন্ত্রের জনগণ সব কিছু নির্ধারণ করবে, বিদেশিরা নয়। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
পাঠকের মতামত
মতামত নাই
পশ্চিমারা এটি স্পষ্ট করছে, একবার নয় বার বার ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন দিতে হবে। তার মানে এর গুরুতর অভাব স্পষ্ট হওয়াতেই এটি বলছে। চশমখোররা বুঝেও না বোঝার ভান করছে, জেগে ঘুমাচ্ছে। রিজার্ভ লুট, ব্যাংক লুট, এস আলমের লুট, গুগল মেধাবীর কোটি কোটি বিলিয়নের সাড়ে হাজারী লুট, সব দেউলিয়াত্ব ছাপিয়ে দেশটির সব নেতিবাচক বার্তা হজম করে রাশিয়াতে ভোট দেয়া শিখতে যাওয়ার হাস্যকর সংবাদ। অবৈধের দৃষ্টিতে উন্নয়নের সিড়িতে পা রাখা। ২০ ঘন্টার কষ্ট যাত্রার পাওয়া স্যাংশন, সেলফি বানিজ্যে ঘাটতি বাজেট পুষিয়ে বেওকুফের শূণ্যে সৌধ নির্মান। যার চোখে লজ্জা নেই তারে বলে চশমখোর। এত লুটের অধঃপতনের পরও তারা চশমখোর হয় না, তাজ্জব ব্যাপার, ডিজিটাল নয়, ২০২৩ এর সাইবার চশমখোর এরা।
দেশের সবকিছুর মালিক দেশের জনগণ। মিথ্যায় আকন্ঠ ডুবা এ সরকার কি এসব কথা মনে করে বা অনুসরণ করে? নিকট সময়ে তার কি কোন প্রমাণ আছে? মিথ্যায় আকন্ঠ ডুবা এ সরকার কি এসব কথা মনে করে বা অনুসরণ করে? নিকট সময়ে তার কি কোন প্রমাণ আছে? চেরের দেশে পর্যবেক্ষক লাগে, সাধুর দেশে ওসব লাগে না। বাংলাদেশের অলিতে গলিতে চোরেরা ঘাপটি মেরে দেশ চালায়। এজন্যই প্রজাতন্ত্রের জনগণ সব কিছু নির্ধারণ করার দিন শেষ। এত এত সাগরচুরির পরও তাদের চুরি ডাকাতীর সখ মেটে না। ৩০ লাখ প্রাণের উপর চড়ে এ হায়াহীন অবৈধ সরকার ফের জাতির কলিজায় মরণ কামড় দিতে চায়।
১৭ কোটি মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। এদের লোভ লালসার খেসারত ১৭ কোটি মানুষকে বহন করতে হবে আগামীতে। ভোট চুরির বৈধতা পেতে এই দিগন্ত থেকে ঐ দীগন্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কেন ভোট চুরি করতে হবে ???
মন্তব্য করুন
প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন
প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]