অনলাইন
আদালতে উপস্থিত সেই কলেজছাত্রীসহ মুশতাক, মিললো জামিন
অনলাইন ডেস্ক
(৪ দিন আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৮ অপরাহ্ন

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির বহিষ্কৃত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ(৭০) আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। এ সময় তিনি আদালতে ১৮ বছর বয়সী স্ত্রী ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন। মুশতাকের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় গত ৪ঠা জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। আজ উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
গত ১লা আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। এ মামলার অন্য আসামি হলেন অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজখবর নেয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছু দিন পর আসামি মুশতাক কুপ্রস্তাব দেয়।
এতে আরও বলা হয়, ভিকটিম এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করতে থাকেন। গত ১২ই জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। এর পর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।