প্রথম পাতা
যে কারণে তৃণমূল বিএনপিতে ভিড়ছেন তৈমূর
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
আবারো আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এরআগে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইবার মেয়র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। এবার তিনি নতুন রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। নিজেই মানবজমিনের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমার তো একটা প্ল্যাটফর্ম লাগবে। বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে। আওয়ামী লীগ সুপ্রীম কোর্টে আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। আমার তো একটা জায়গা দরকার। রাজপথে ছিলাম রাজপথে থাকতে চাই। মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাই।
তৈমূর আলম খন্দকারের নতুন দলে যোগদান নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তার ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, বিএনপি তাকে গত দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। তিনি তো আর দল ছাড়েননি। তিনি আওয়ামী লীগেও যাবেন না। তাহলে এখন তার পরিচয় কি? কোন ব্যানারে তিনি রাজনীতি করবেন? তার রাজনৈতিক জন্ম রাজপথে। যেহেতু বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে, তাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। তিনি সেখানেই যাচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে থাকবেন বলে আমরা আশা করি।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের সন্নিকটে আকস্মিকভাবে তৈমূর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা ডালপালা ছড়াচ্ছে। যদিও তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেছেন, তিনি একা নন। বিএনপিতে কোনঠাসা হয়ে পড়ে অনেকেই তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিবে। বিএনপি’র সাবেক নেতা শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে, তিনিও তাদের সঙ্গে থাকছেন। তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেয়ার জন্য বিএনপি’র অনেক নেতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও দাবি করেন তৈমূর আলম খন্দকার।
সূত্রমতে, ২০০৩ সালে তৈমুর আলমকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৭ সালে বিএনপি’র বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলে প্রথমবারের মতো তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আইনি লড়াই চালিয়ে যান তৈমূর। পরে ওই বছরের ১৮ই এপ্রিল যৌথবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দেয়া হয়। যার মধ্যে একটি মামলায় ১২ বছরের জেল হয় তৈমুরের। ২০০৯ সালের মে মাসে মুক্তি পান তৈমূর। ওই বছরের জুন মাসে তৈমূরকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি গঠন করা হয়। বছরের শেষের দিকে ২৫শে নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে তৈমূর আলম জেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন। একইসঙ্গে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ১৮ দলীয় ঐক্য জোটের আহ্বায়ক করা হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমূর। বিএনপি প্রথমদিকে তাকে সমর্থন দিলেও ভোটের মাত্র ৭ ঘণ্টা আগে দলীয় চেয়ারপারসনের নির্দেশে তিনি নির্বাচন থেকে সরে আসেন। ওই সময় তৈমূর আলম মন্তব্য করেন তাকে গোসল ছাড়া বিএনপি কোরবানি করে দিয়েছে। পরে তৈমূরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি থেকে সরিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়। এতে করে তৈমূরের শূন্যতায় জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক তৎপরতায় ভাটা পড়ে। পরবর্তীতে জেলা বিএনপি’র গতি ফেরাতে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তৈমূর আলমকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আললমগীর। সদস্য সচিব করা হয় অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে। এরই মধ্যে ২০২২ সালের ১৬ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার মেয়র প্রার্থী হন। দল তাকে প্রথমে ইঙ্গিত দিলেও পরবর্তীতে নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করে। কিন্তু এই নির্দেশনা না মেনেই তৈমূর নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। এ ঘটনায় দল তাকে বহিষ্কার করে। এর দেড় বছর পর নতুন রাজনৈতিক দলে নাম লেখালেন তিনি।
পাঠকের মতামত
মিঃ তৈমুর আলম। মনে রাখবেন- তৈমুর ছাড়া বিএনপি চলবে কিন্তু বিএনপি ছাড়া তৈমুর অচল। আপনি বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। বড় পদের লোভে হয়তো পরলোক গমনকারী নাজমুল হুদা'র পদাক্ষ অনুসরণ করতেছেন। হুদা কি না করেছিল। হুদার কথা কে এখন কে জিগায়? হুদা মরে গিয়েও হুদাই কালো অধ্যায়ের আলোচনায়। এই আলোচনা মির্জা জাফরের, সিরাজউদোল্লার নয়। আপনি তো জানেনই ৩ ছাত্রের ক্লাসে চেকেন্ড হয়ে কোন লাভ নেই। বিএনপি মানে মহাসাগর। দুই একটি পুটি মাছের বিপথে যাওয়াতে কোন সমস্যা নাই।
তৈমুর সাহেবের বূঝা উচিৎ, তাকে তৈমুর বানিয়েছে বি এন পি, তাকে পিছনের ইতিহাস দেখা উচিৎ৷ এবং আরো ভাবা উচিৎ
He will die who will jump from running Train.
Please don't join in BNF. If join this party, you will destroy. You should wait & work with BNP.
একটি বড় দলের সাথে কিছু জটিলতায় জড়িয়ে গেছেন দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলে যাওয়া মানে আপনি দলটির ভাঙ্গন চান। একজন সৎ মানুষ হলে তার জন্য সৎপথ সামনে আসবেই। বিপদ অবস্থায় মানুষকে ধৈর্য্য ধরতে বলা হয়। তৃণমূল বিএনপি আর বিএনএফ এরা সবকটা নামই দুর্বত্তের অপর নাম। এসব সম্মানের নাম নয়। আপনি তো সমাজের জনতার জন্য কাজ করতে চান। এতে আপনার বা আপনাদের মত দুর্বৃত্তদের আরো ভালো করে চেনা যাচ্ছে। এটি কখনোই বড় সম্মানের অর্জন নয়। বরং কলংকের দাগচিহ্ন জিয়ার নামের সাথে আপনার চরিত্রে লেপে দিলেন, যা আপনার এতদিনের গৌরবের কাজের সাথে কলঙ্ক হয়ে থাকবে।
হায় ব্রুটাস ,শেষ পর্যন্ত তুমিও ।
এই সময়ে এ রকম ঘটনা দূর্ভাগ্যজনক। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী নাটক দেখার জন্য। ধন্যবাদ।
মানুষ যত পায় তত চায়! বিএনপি যত দিয়েছে তাতে সে কখনো সন্তুষ্ট ছিলো বলে মনে হয় না! এখন সে গাদ্দারি সংগঠনের হয়ে সরকারের তল্পিবাহক হতে চায়! এরা দলের জন্য যতটা ইতিবাচক,তার চেয়ে নেতিবাচক! এরা দল থেকে বের হয়ে গেলেই ভালো!
Lovi Manush.