বাংলারজমিন
অর্থের অভাবে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে শিশু সৈকত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারজন্মের পর থেকে শিশু সৈকতের চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও ময়লা জমে দু’চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যতা আর অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করতে না পেরে চিরতরে অন্ধ হতে চলেছে সৈকত। তার চোখের আলো ধরে রাখতে প্রয়োজন দ্রুততম সময়ে উন্নত চিকিৎসা। এতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অথচ নিরাপত্তা প্রহরী পিতা ও ঝিয়ের কাজ করা মাতার সেরকম সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় সৈকতের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। শিশু সন্তানকে অন্ধত্ব থেকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় পরিবারটি।
তাকে প্রথমে সিরাজগঞ্জের চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিএনএলডিও (লিআইএফ) রোগটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে শিশু সৈকতের একটি চোখের অস্ত্রোপচারের পরও শিশুটির চোখ ভালো হয়নি। পরে আবারো ঢাকার ফার্ম গেটের ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দু’টি চোখের অপারেশন সম্পন্ন করতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার বেশি খরচ হবে বলে জানান চিকিৎসকেরা। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন বাড়িতে।
শিশুটির মা সালমা বেগম জানান, কোনো উপায় না পেয়ে স্থানীয়ভাবে হোমীওপ্যাথিক চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এই চিকিৎসায়ও কোনো উন্নতি দেখছি না। এহন তো দেহি আমার চোখের সামনেই আমার ছেলে অন্ধ হচ্ছে। আমি কিছুই করতে পারছি না। তাই প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের আমার সন্তানের চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে সাহায্য চাই। ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চোখের দৃষ্টি ফিরে আনতে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। এই চিকিৎসায় ব্যয় হবে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মতো। এ অবস্থায় সাহায্য ছাড়া সৈকতের চোখের চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব।