ঢাকা, ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

বাংলারজমিন

আখাউড়ায় রেলওয়ের দেড় শতাধিক বাসায় থাকে বহিরাগতরা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
mzamin

পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের রেলওয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য নির্মিত দেড় শতাধিক বাসায় বসবাস করে বহিরাগতরা। রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেয়ে আম জনতাই বেশি থাকেন এসব কোয়ার্টারে। প্রতিটি বাসাতেই রয়েছে রেলওয়ের বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ। অথচ এসব বাসায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের লাখ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করছে সরকার। এসব অবৈধ বসবাসকারীদের অনেকে জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক কার্যকলাপে। রেলওয়ের বাসায় মাদক সেবন ও মাদক বিক্রি হয় বলেও অভিযোগও রয়েছে। চুরির ঘটনাও ঘটছে মাঝে-মধ্যে। ফলে বিনষ্ট হচ্ছে রেলওয়ে কলোনির সুষ্ঠু পরিবেশ। অভিযোগ আছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ‘ম্যানেজ’ করে রেলওয়ের বাসায় বসবাস করছেন বহিরাগতরা। জানা গেছে, রেলওয়ে কলোনিতে ২৬৬টি কোয়ার্টার রয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ আছে ১১০টি। নন এলোট বা বরাদ্দহীন ১৫৬টি বাসায় বহিরাগতরা অবৈধভাবে বসবাস করছে। এরমধ্যে কুমারপাড়া কলোনিতে ৭২টি, পূর্ব কলোনিতে ৪২টি, পশ্চিম কলোনিতে ২৪টি, স্টেশন কলোনিতে ১০টি এবং হরিজন কলোনিতে ৮টি বাসায় অবৈধ বসবাসকারী রয়েছে। এসব বাসায় বসবাসরতরা অবৈধভাবে রেলওয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। রেলওয়ের বাসাকে দোকান বানিয়ে ব্যবসা করছে কয়েকজন প্রভাবশালী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ের বাসায় অবৈধ বসবাসকারী লোকজন বিভিন্ন পেশায় জড়িত। এরমধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিকের কাজ করে। কেউ  কেউ  ব্যবসা করে। কেউ অটো চালায়। আবার কিছু রেলওয়ে কর্মচারী বরাদ্দ না নিয়ে বাসায় থাকছে। রেলওয়ের বাসায় বসবাসকারী এক নারী বলেন, এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে ৪-৫ বছর ধরে রেলের বাসায় থাকি। মানুষের বাসায় কাজ করে খাই। বাসা ভাড়া লাগে না। বিদ্যুতের লোক এসে মাসে মাসে কিছু টাকা নিয়ে যায়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, তিনি রেলওয়েতে চাকরি করতেন। এখন অবসরে আছেন। পরিবার নিয়ে রেলওয়ের একটি বাসায় থাকেন। বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ মাসিক কিছু টাকা দিতে হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী/কার্য মিথুন কুমার দাস বলেন, রেলওয়ে কলোনির ১৫৬টি বাসায় অবৈধভাবে ভবঘুরে ও বহিরাগতরা বসবাস করছে। উক্ত অবৈধ বসবাসকারীগণ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপসহ মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ পতিতাবৃত্তি কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। এসব অবৈধ বসবাসকারীদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ ও বেঙ্গল পুলিশকে আমি ৩ মাস আগে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কারও কাছ থেকে বাসা ভাড়া উঠানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। বিদ্যুতের সংযোগের দায়িত্ব আমার অফিসের নয়। বিদ্যুৎ বিভাগের। এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী প্রকৌশলী (এইএন) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি সেই কমিটির প্রধান। তদন্তক্রমে বাসাগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবো। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান করা হবে।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status