বাংলারজমিন
সিলেটে সম্পত্তি দখল করতে সন্ত্রাসী কাণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারসিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে আত্মীয়দের ভূসম্পত্তি অন্যায়ভাবে দখল করতেই আওয়ামী লীগের দোসর স্থানীয় বাসিন্দা তাজুল ইসলাম টিপুবক্স ও তার সহযোগীরা উঠেপড়ে লেগেছেন। এরই অংশ হিসেবে গত ২৪শে জুন কদমতলীর মাহমুদ কমপ্লেক্সে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন তিনি। বুধবার বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন মদিনা মার্কেট এলাকার নিবাসে মরহুম মাহমুদ আলীর ছেলে মো. আব্দুল মনির। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- আমরা দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার বাসিন্দা ছিলাম। পরে মদিনা মার্কেট এলাকায় স্থানান্তর হই। আমার মামাতো ভাই কদমতলী এলাকার মরহুম মো. আফরোজ বক্সের ছেলে টিপু বক্স আমাদের ৮৪ শতক জায়গা ও এর উপর স্থাপিত মার্কেট-দোকানপাট জবরদখল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি গত ২৪শে জুন শতাধিক ভাড়াটে গুণ্ডা-সন্ত্রাস নিয়ে মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে টিপু বক্স এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় আমরা জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আব্দুল মনির জানান- কদমতলি এলাকায় ১০৯৯, ১১০০ ও ১১০১ নং দাগে মোট ১১৮ শতক ভূমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতক জায়গা তার বাবা মাহমুদ আলী মৌরসি সূত্রে পেয়েছেন। বাকি ৬৮টি শতক জায়গার মধ্যে ১৯৫৩ সালে তৎকালীন জায়গার মালিক আবদুর রহিমের কাছ থেকে ৩৪ শতক জায়গা টিপু বক্সের দাদা জহির বক্স এবং ৩৪ শতক জায়গা চাঁন মিয়া ও আব্দুর রউফ নামক মালিকের কাছ থেকে মাহমুদ আলী ক্রয় করেন। মাহমুদ আলীর মৃত্যুর পর আব্দুল মনিররা ১০ ভাই-বোন এই ভূ-সম্পত্তির মালিক হন। পরবর্তীতে ওই জায়গায় মার্কেট ও দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা গড়ে তুলেন তারা। তারা মদিনা মার্কেট এলাকায় বসতি গড়লে আত্মীয়তার সূত্রে কদমতলির তাদের অংশের মার্কেট ও দোকানপাট দেখভাল করতেন মো. আফরোজ বক্স। ১৯৯০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে পরবর্তীতে তার ছেলে-ভাতিজারা এগুলো দেখাশুনা করতেন। ওই সময় তারা নিয়মিত ভাড়াও প্রদান করতেন মনিরদের। কিন্তু ২০০০ সালের দিকে টিপুবক্সসহ তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে লোভ দেখা দেয় এবং আব্দুল মনিরদের পুরো ৮৪ শতক জায়গা ও এর স্থাপনাগুলো দখলের পায়তারা শুরু করেন। বিগত সরকারের সময়ে টিপু বক্স আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে জায়গার দাগ নম্বরের রেকর্ড ভুল দেখিয়ে একটি পর্চা বের করে নেন। বিষয়টি জানতে পেরে মনিরের পরিবারের পক্ষ থেকে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন সংবাদ সম্মেলনকারী মো. আব্দুল মনির। সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ছালেহা বেগম, পিয়ারা বেগম, হাজেরা বেগম, মো. আব্দুল মোমিন, মো. আব্দুল মান্নান, আহত বেলাল আহমদ, আব্দুল হক ও নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।