প্রথম পাতা
নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা
এহ্সান মাহমুদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার
ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই হিসাবে নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিন থেকে চার মাস। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিপরীতমুখী। সরকার চাইছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন। আর বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দাবি তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকার। এ অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে? ভবিষ্যতই বলে দেবে তা। তবে এ অবস্থায় নির্বাচন ঘিরেও অনেকে দেখছেন অনিশ্চয়তা। ১০ দফার ভিত্তিতে গত বছরের ৩০শে ডিসেম্বর থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। চলতি বছরের ১২ই জুলাই থেকে এক দফার আন্দোলনে নামে দলটি।
বিএনপি বলছে তারা রাজপথেই চূড়ান্ত ফয়সালা করবে। বিপরীতে, আওয়ামী লীগ সংবিধান মেনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এবং ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ যখন নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা বার বার ঘোষণা করছে, রাজপথ দখলে রাখতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে মাঠে থাকছে তখন আগামী নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে। এরইমাঝে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর, রাজধানীর নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজন করা হয় ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালার। সেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছেন। মোটাদাগে তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে- পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র দেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের মাসুল দিতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারের উপস্থিতিতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একটা বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে, অন্য ৩০০ দলও যদি আসে তবু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না।
দেশের বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দলের এমন বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে সহসাই আপসমূলক সিদ্ধান্তে আসা যাবে কিনা, এটা নিয়েও রয়েছে নানা সন্দেহ। যদিও বিভিন্ন ফোরাম থেকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় যথাসময়ে আগামী নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব কিনা, ভোটগ্রহণ হলেও সেটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এই বিষয়ে লেখক ও শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যথাসময়ে আয়োজনের জন্য এক মাসের মধ্যে যদি শিডিউল দিতে হয়, তাহলে সেরকম পরিস্থিতি বর্তমানে দেশে বিরাজ করছে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে কমিশন কি প্রস্তুতি নেয়ার জন্য পিছিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন কিনা? কমিশন এখনো কোনো পরিষ্কার রোডম্যাপ দেয়নি। ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে কিনা এসব বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি।
এ ছাড়া পুলিশ, বিডিআর, আনসার কীভাবে থাকবে এসব বিষয় নিয়ে তো আলোচনাই হয়নি। সম্প্রতি (১৩ই সেপ্টেম্বর) কমিশন আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা, সেদিকে কেউ আলোচনায় যেতে চায় না। এই সময়ের বাস্তবতায় এইসব বিষয়গুলোর সুরাহা না করে নির্বাচন হয়ে যাবে এটা ঠিক বাস্তবতাকে নির্দেশ করে না। যদি মনে করা হয় ২০১৪ এবং ২০১৮-এর মতো শক্তি দিয়ে নির্বাচন করে ফেলা যাবে সেটা ভিন্ন বিষয়। তাহলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবে না। বিগত দুটি নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনটি করার পরে কি দেশ এইভাবে চালানো সম্ভব হবে? এমন প্রশ্নগুলো থেকেই যাবে।’
বিশেষ করে, এবার নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি তাগিদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিএনপি’র নেতৃত্বে গণতন্ত্রমঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন জোট ও সংগঠনের নিয়মিত কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষেও ২০১৪ কিংবা ২০১৮ এর মতো আরেকটি নির্বাচন করা কঠিন বলে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যে বোঝা যায়।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছিল বর্তমান ইসি। এক বছরে এইসব চ্যালেঞ্জ কতোটা পূরণ করা গেছে তার সদুত্তর মেলেনি কমিশনের কাছে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শামসুল হুদার নেতৃত্বে তৎকালীন ইসি জরুরি শাসনব্যবস্থায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করতে প্রথমবারের মতো একটি রোডম্যাপ উন্মোচন করেছিল। এরপরে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ এবং সিইসি কে এম নূরুল হুদার আমলেও যথাক্রমে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের এক বছরেরও বেশি সময় আগে নির্বাচনী রোডম্যাপ উন্মোচন করা হয়েছিল। ২০১৪ এবং ২০১৮ এর নির্বাচন নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
গত বছর ঘোষিত ইসির রোডম্যাপে চ্যালেঞ্জ হিসেবে রাখা হয়েছিল ‘সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলা না করা’ বিষয়টি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপে ইসি’র প্রাথমিক উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল- দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সক্রিয় ও স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় ১৯ দফা কর্মপরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। ইসি ঘোষিত চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল- নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি, নির্বাচনের দায়িত্বে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, সকল রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক-পুলিশ-প্রশাসন কর্তৃক কোনো রকম বাধার সম্মুখীন না হওয়া, জালভোট, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই রোধ, প্রার্থী-এজেন্ট-ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে অবাধ আগমন, ভোটারদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি, পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিতকরণ এবং নিরপেক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োজিতকরণসহ আরও বেশকিছু বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্তি হলেও নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে কতোটা সক্ষম হয়েছে, এই বিষয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করা হয় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের সঙ্গে। তিনি মানবজমিনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ‘আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানে কমিশন কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা অনুভব করছে না।’ একইভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল আরেক নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানার কাছে। কমিশন কতোটা আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এই বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক মানবজমিনকে বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে তো কোনো বাধা নেই।’ সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনও ২০১৪ কিংবা ২০১৮ এর মতো হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা, এই বিষয়ে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটি কীভাবে হবে, এটা বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি কি ঠিকঠাক বলতে পারবেন?’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী মানবজমিনকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের আমলে কীভাবে নির্বাচন হয়েছে তা দেশের সাধারণ মানুষ দেখেছে। এমন আরেকটি নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা এটা একটা প্রশ্ন। বর্তমানে যে অবস্থা রয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছি। সেক্ষেত্রে যদি আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে সরকার এগিয়ে যায়, জনগণ তা প্রতিহত করবে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি মানবজমিনকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন ঘিরে আমি কোনো অনিশ্চয়তা দেখছি না। সময়মতো নির্বাচন হবে বলেই আশাকরি।’
একই বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর নেতা হাসানুল হক ইনু এমপি মানবজমিনকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এবং আইনগত দিক থেকে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। কমিশনের সক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনের। এখন যে অনিশ্চয়তার কথা বলা হচ্ছে সেটা রাজনৈতিক। কে নির্বাচন বানচালে কাজ করলো, কে সরকার উৎখাত করতে চাইলো, কে সরকারের পতন ঘটাতে পারলো বা পারলো না- এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো অনিশ্চয়তা বা সন্দেহ থাকার কথা নয়। তারা যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের যোগ্যতা, দক্ষতা ও সক্ষমতা রাখে। সুতরাং, এদিক থেকে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদ কোনো অনিশ্চয়তা অনুভব করে কিনা জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, ‘একানব্বই এর পর থেকে কেবল ওয়ান ইলেভেনের আমলে বিশেষ অবস্থায় নির্বাচন সময়মতো হয়নি। অন্য সময়ে যথাসময়েই নির্বাচন হয়েছে। এখন দেশে রাজনৈতিক যত বিরোধ থাকুক না কেন, যথা সময়ে নির্বাচন হওয়াটা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই করতে হবে। এখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে, তারা করতে পারে। এখানে মনে রাখতে হবে- এর আগেও এদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরের দিনই দুটি বড় রাজনৈতিক দল সেই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই যে সংসদ ভালো চলবে, নির্বাচনের পরে আর সংঘাত হবে না- এটা বলা যাবে না। এখন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে, অথচ তারাই দুই দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনের ফলাফল অস্বীকার করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলও একই কাজ করেছিল। তাই বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনটি সময়মতো করে ফেলাও মঙ্গল। এই পদ্ধতির মধ্যে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেটা ঠিক করার জন্য লড়াইটা করা যাবে।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা তো দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি যে, অতীতে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তাতে নানারকম প্রশ্ন এবং সন্দেহ ছিল। এই মুহূর্তে আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন করে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনোই অনিশ্চয়তা দেখছি না। অবশ্যই ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমাদের সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। কোনো অপশক্তিই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা দেখছেন কিনা জানতে চাইলে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমাদের দলের অবস্থান বেশ স্পষ্ট, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না। যেখানে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা যায় না, তাদের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।
পাঠকের মতামত
সুস্থ ভোট হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এটি আওয়ামী লীগও জানে কিন্তু "আপন কর্মের রেকর্ড পড়ো" বললে আওয়ামী লীগ তার ডান হাতে কোন আমল দেখতে পাবেনা বিধায় পুর্বের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বেচে থাকতে চায়।তাদের আমল নামা এতই ভারী "ঘোর অন্ধকারে কিছুই দেখতে পায়না।
আর যাইহোক জনগণ সরকার পরিবর্তন চায়।
এখনো অনেক সময় আছে,বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ের সকল জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। বুঝাতে হবে তারা সরকারে গেলে বাজার মূল্য কমাতে সক্ষম হবে, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে,ব্যবসা চাকুরীসহ অন্যান্ন ক্ষেত্রে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। এদেশের ৯৯% জনগণ এখন সরকার পরিবর্তন চায়।
নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা তাদের যারা '' নির্বাচন হতে দেবোনা '' বলে ভয় দেখাচ্ছে ও ঘোষণা দিচ্ছে মার্কিনরা তাদের পক্ষে আছে / ফাক্রুল প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করেছে বলে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত /
রিপোর্টে এক ব্যক্তি এক দল সর্বস্ব নেতাদের ও মতামত নেয়া হয়েছে, পারিবারিক তন্ত্রের লেজুড়বৃত্তিধারীদের ও মতামত নেয়া হয়েছে অথচ সাংগঠনিকভাবে পুরোপুরি গনতন্ত্র মেনে যে দলটি নিজেদের আমির/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে সে জামায়াত ইসলামীর কারো মতামত না নেয়াটা স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় কিনা তা প্রশ্ন থেকেই যায়।
রিপোর্টে এক ব্যক্তি এক দল সর্বস্ব নেতাদের ও মতামত নেয়া হয়েছে, পারিবারিক তন্ত্রের লেজুড়বৃত্তিধারীদের ও মতামত নেয়া হয়েছে অথচ সাংগঠনিকভাবে পুরোপুরি গনতন্ত্র মেনে যে দলটি নিজেদের আমির/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে সে জামায়াত ইসলামীর কারো মতামত না নেয়াটা স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় কিনা তা প্রশ্ন থেকেই যায়।
বাংলাদেশের নির্বাচন, সুশাসন ও সামগ্রিক চিত্র সচেতন নাগরিকদেরকে আহত করে! বিব্রত করে!! এমন দেশ আমরা চাইনি। দেশটা ভালো থাকুক - এই কামনা করি সবসময়ের জন্য। অশুভ চিন্তা ও কর্মকান্ড ধ্বংস হোক।
অনেক দিন পর ভালো কোনো সংবাদ পেলাম যা খবর হিসেবে পড়ার যোগ্য। পড়ার সময় টুকুন লস হয়নি
বিএনপির বড় ব্যার্থতা হলো সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। জনগণের ভাবনা এরকম যে নির্বাচন কেন্দ্রিক সমস্যাটা রাজনৈতিক দলগুলোর, এটা জনগণের সমস্যা না। জনগন দ্রব্যমূল্য সহ তাদের দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে ব্যাস্ত। বিএনপির উপর জনগণের এই আস্থা হয়নি যে তারা ক্ষমতায় আসলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। ফলে নির্বাচন হয়ে যাবে, বিএনপির পক্ষে তা রোধ করা সম্ভব হবে না।
Shadhin Malik ekjon sob santa shushil