প্রথম পাতা
দীপ্ত টিভি’র খবর প্রচার বন্ধ
অভ্যুত্থান নিয়ে অবমাননাকর প্রশ্ন, তিন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে অবমাননাকর’ প্রশ্ন করার জেরে দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলের তিনজন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে দীপ্ত টিভি’র দুইজন এবং এটিএন বাংলার একজন সাংবাদিক রয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে দীপ্ত টিভি’র সংবাদ প্রচারও বন্ধ রয়েছে। টেলিভিশনটির স্ক্রলে অনিবার্য কারণবশত সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ তাদের একজন সাংবাদিককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিয়েছেন।
চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা হলেন- দীপ্ত টেলিভিশনের মিজানুর রহমান, মাহমুদ শাওন এবং এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ফজলে রাব্বি।
এটিএন বাংলা কর্তৃপক্ষের নোটিশে বলা হয়েছে, যথাযথ পেশাগত দায়িত্ব পালন না করায় ফজলে রাব্বিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
দীপ্ত টিভি কর্তৃপক্ষের নোটিশে দুই সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ এক ফেসবুক বার্তায় জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে অপেশাদার আচরণ করায় সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দীপ্ত টিভি’র খবর প্রচার নিজেরাই বন্ধ করেছে: মাহফুজ
এদিকে মঙ্গলবার ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভি’র সংবাদ কার্যক্রম তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে, সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিত্বের ছয় মাসে কাউকে আমরা কল দেইনি। দীপ্ত টিভি’র সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। এখন মানুষ ভাববে, এটা সরকার করেছে। এখানে সরকার কিছু বলেনি বা কাউকে কলও দেয়া হয়নি।
মাহফুজ আলম বলেন, আমি গত বছরের জানুয়ারিতে একটি টিভি চ্যানেলে চাকরির জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে ১৩ হাজার টাকা বেতন দেয়া হবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই টাকায় ঢাকা শহরে একজন মানুষ চলবে কীভাবে, পরিবারকে কী দেবে।
সোমবার সচিবালয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশি শর্টফিল্ম ‘আলী’র প্রদর্শনীর আমন্ত্রণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়ে প্রশ্নের জেরে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে সংশ্লিষ্ট টিভি কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দুই সাংবাদিক। বিচারের আগে শেখ হাসিনাকে খুনি বলা যাবে কিনা এমন প্রশ্ন করেছিলেন আরেক সাংবাদিক। এসব প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনেই প্রতিক্রিয়া দেখান উপদেষ্টা ফারুকী। এ ছাড়া ওই সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসার পর ছাত্র আন্দোলনের অনেকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পাঠকের মতামত
জুলাই এর ঘটনা সবাই প্রত্যখ্য করেছে, এখনো ইতিহাস হয়নি যে, যার যাহা ইচ্ছা বলে যাবে
Action from the authorities justified
এতো রক্তাক্তের পরও শেখ হাসিনাকে খুনি বলা যাবে কি না? তা নিয়ে প্রশ্ন? এ তো নিরবে কাঁদার চেয়ে হেসে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে নাা।