বিশ্বজমিন
জাপান সাগরে চীন-রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া
মানবজমিন ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:১০ অপরাহ্ন
জাপান সাগরে যৌথভাবে আকাশ ও সমুদ্রে মহড়া দেবে চীন ও রাশিয়া। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৌশলগত জলপথে নিরাপত্তা কৌশলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই মহড়ায় জাপান সাগরে রাশিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হতে চীনের একটি ‘ফ্লোটিলা’ রোববার যাত্রা করেছে। এই মহড়ার কোডনাম দেয়া হয়েছে ‘নর্দান/ইন্টার্যাকশন-২০২৩’। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক আগ্রাসনের পর চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে এই মহড়াকে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য বার বার আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অব্যাহতভাবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে বেইজিং। সাম্প্রতিক সময়ে চীন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু চীন তার মনোভাব কতটা পরিবর্তন করেছে তা স্পষ্ট। কারণ, তারা এখনও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের চীন সফর শেষ হতে না হতেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে শনিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, জাপান সমুদ্রে যৌথ নৌ ও বিমান বাহিনীর মহড়া দেবে রাশিয়া। চীন সরকার পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা সামরিক পর্যবেক্ষকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই মহড়ায় এবারই প্রথম রাশিয়ার দুটি বাহিনী একসঙ্গে অংশ নিচ্ছে। জাপান সাগরে এই মহড়ায় আছে রাশিয়ার দুটি যুদ্ধজাহাজ গ্রোমকিই এবং সোভারশেনিই। এর আগে তারা সাংহাইতে চীনের নৌবাহিনীর সঙ্গে আলাদা প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তার অধীনে আছে কিভাবে মুভমেন্ট করতে হবে, যোগাযোগ রাখতে হবে এবং সমুদ্রে উদ্ধারকাজ করতে হবে।
অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সাংহাইয়ে যাওয়ার পথে এসব জাহাজ তাইওয়ান ও জাপানকে অতিক্রম করেছে। এর ফলে তাইপে ও টোকিও রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের দিকে নজর রাখে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সামরিক আগ্রাসন চালানোর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা দেন, অংশীদারিত্বে কোনো সীমা থাকবে না।