ঢাকা, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

ক্যান্সারের প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি করোসল ফলের চাষ ফুলবাড়ীয়ায়

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে

(১ বছর আগে) ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৩০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় ক্যান্সারের প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি করোসল ফলের চাষ হচ্ছে। করোসল ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে পরিচিত। করোসল অ্যানোনা মিউরিকাটা গোত্রের একটি ফল যা অনেক ক্ষেত্রেই  কেমোথেরাপির কাজ করে থাকে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি অন্যতম। উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে 'কিষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ' নামের একটি কৃষি খামারের উদ্যোক্তা ড. আবু বকর ছিদ্দিক মূলত, দেশী, বিদেশি ফল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।

কৃষি কাজের পাশাপাশি একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক তিনি। তাঁর এ প্রচেষ্টা তরুণদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রায় ছয় একর জমিতে মানবদেহের উপকারী ঔষধি-ফলজ-বনজ ১৬৫ প্রকারের প্রায় ৩ হাজার গাছ রয়েছে। সরজমিনে ড. আবু বকর ছিদ্দিক এর বাগান ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ফলের সমারোহ, এ যেন ফলের রাজ্যে এসেছি। প্রতিনিয়ত ৬ জন শ্রমিকের সঙ্গে তিনিও কাজ করেন। ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে এ ফলের পক্ষে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। অনেক দেশেই এ ফলটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল হিসেবে পরিচিত।  

ড. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ২০১৭ সালে আমাকে একজন ফোন করে তার বোনের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য এই করোসল ফলটি চায়। তার বোনের ক্যান্সারের চিকিৎসার পর সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দেশে নিয়ে কেমোথেরাপি না দিয়ে করোসল ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আমি নিজেও এই ফল সম্পর্কে কিছু জানতাম না। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে করোসল বিষয়ে কিছুটা জানতে পারি। পরবর্তীতে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় চারা বা বীজের সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেই। আমার এক বন্ধু সাড়া দেন, তখন তিনি থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে আমাকে করোসলের ৪০টি বীজ দেন। ৪০টি বীজ বপন করায় চল্লিশটি চারা হয়। আমি বিনামূল্যে ৩২টি চারাগাছ বিতরণ করি, বাকি ৮টি চারা আমি আমার বাগানে লাগাই। 

তিনি আরও বলেন, বাজারে এর দাম ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা কেজি, আমি এই ফল বিক্রি করবো না, চিকিৎসার জন্য যে কেউ চাইলে আমি তাকে দিব। হঠাৎ করে করোসল গাছের পাতার চাহিদা রেড়ে যায়। আমি আজকে পর্যন্ত ৭০ জনের কাছে নিজে টাকা খরচ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পার্সেল পাঠাই, এখন গাছ মরা গাছের মতো হয়ে গেছে আবার গাছও বাঁচাতে হবে। প্রতি গাছে ১২টি পাতা রেখে বাকি সবগুলো পাতা বিতরণ করে দিয়েছি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. হারুন আল মাকসুদ বলেন, আমি চিকিৎসা শাস্ত্রে এমন কিছু পাইনি, তবে করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়, যা কেমোথেরাপির মতো কাজ করে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। নিয়মিত এই ফল খেতে পারলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status