মত-মতান্তর
রহস্যের ফানুস উড়িয়ে চলে গেলেন সিরাজুল আলম খান
শরীফ আস্-সাবের
(৩ মাস আগে) ১২ জুন ২০২৩, সোমবার, ৫:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

চলে গেলেন সিরাজুল আলম খান। তার স্বপ্নের বাংলাদেশ যখন দু:স্বপ্নের আবর্তে আবর্তিত হচ্ছে, ভূরাজনীতির ঘোলাজলে দেশ যখন হাবুডুবু খাচ্ছে, রাজনীতি ও গণতন্ত্র যখন নিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, ঠিক তখনই এই ক্ষণজন্মা এবং বিতর্কিত রাজনীতিবিশারদ নীরবে চলে গেলেন ওপার জগতে।
রাজনীতির রহস্যপুরুষ হিসাবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান ১৯৪১ সালের ৬ই জানুয়ারী নোয়াখালির বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ দশকের শেষভাগ থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেন সিরাজুল আলম খান।
তিনি ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৩ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬২’র সরকার বিরোধী শিক্ষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর শাসন, শোষণ এবং নানাবিধ অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার সিরাজুল আলম খান একই বছর ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় গঠিত গোপন সংগঠন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেন, যা পরবর্তীতে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ মতবাদের ‘নিউক্লিয়াস’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এই নিউক্লিয়াসই ১৯৪৭-এর ভারতবিভাগ পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মত পাকিস্তানী নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালী জনগোষ্ঠীর জন্য একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রেরণা যুগিয়েছিল।
যখন দল মত নির্বিশেষে পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ নেতা ছিলেন জোড়াতালি দিয়ে এক পাকিস্তান রক্ষার পক্ষে, তখন পশ্চিম পাকিস্তানের কবল থেকে পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতা চেয়েছেন সিরাজুল আলম খান।
১৯৬১-৬৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধারণা করা হয়, সিরাজুল আলম খান মাওলানার ভাবশিষ্য ছিলেন। মাওলানা ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীকে প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’ জানানোর হুমকি দিয়েছিলেন। ১৯৬৪তে মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে নবগঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি পদে যোগদান করলে মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ সাময়িকভাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের এক সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবীনামা পেশ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয়পাত্র ছিলেন এবং রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকাংশ সময়েই তার মতামত জানতে চাইতেন। শোনা যায়, তিনি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রাক্বালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বক্তব্যটি সন্নিবেশ করার পরামর্শ দিয়ছিলেন।
সিরাজুল আলম খান ১৯৬৯ সালে কাজী আরেফ এবং আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উৎসাহ এবং নির্দেশনায় বিএলএফ-এ যুক্ত হন তোফায়েল আহমেদ ও শেখ ফজলুল হক মনি। একই সাথে বিএলএফ নেতৃত্বের প্রথম সারি থেকে সরে যান কাজী আরেফ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতে আশ্রয় নেয়া বিএলএফ-এর চার নেতা একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। চারটি সেক্টরে বিভক্ত হয়ে বিএলএফ বিভিন্ন ব্যাচে গেরিলা যুদ্ধের কলাকৌশলসহ ব্যপক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
তবে, বিএলএফ-এর প্রধান দুই নেতা, সিরাজুল আলম খান এবং আব্দুর রাজ্জাক এর সঙ্গে অপর দুই নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং শেখ ফজলুল হক মনির মধ্যে চলছিল এক ঠাণ্ডা লড়াই। বিশেষ করে, শেখ মনির সঙ্গে সিরাজুল আলম খানের শীতল সম্পর্কের বিষয়টি প্রায় সকলেরই জানা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিএলএফ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে তাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকলেও মুক্তিযুদ্ধকে প্রাধান্য দিয়ে তারা একসঙ্গে কাজ করে গেছেন। তবে, স্বাধীনতার পর তাদের এই শীতল সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তাদের এই বচসার সুরাহা না করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক পর্যায়ে সিরাজুল আলম খানের মতাদর্শ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ছাত্রলীগের এক অংশকে সমর্থন না করে শেখ মনি সমর্থিত ছাত্রলীগকে সরাসরি সমর্থন দিলে সিরাজুল আলম খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা ঘটে।
শেখ ফজলুল হক মনিকে দায়িত্ব দিয়ে যুবলীগ গঠন এবং শেখ মনি সমর্থিত ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক সম্যক স্বীকৃতি প্রদানের অব্যবহিত পরেই সিরাজুল আলম খানের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে গঠিত হয় 'জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল’ (জাসদ)। সিরাজুল আলম খান জাসদের কোনো আনুষ্ঠানিক পদে না থাকলেও তার নীতি ও নির্দেশনায়ই জাসদ পরিচালিত হত বলে অনেকে মনে করেন।
নতুন দল গঠন এবং গণবাহিনীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পরোক্ষ নেতৃত্ব ছাড়াও সিরাজুল আলম খান সেনাবাহিনীর মত একটি পেশাদার বাহিনীর ভিতরেও তার আদর্শীক প্রভাব সৃষ্টি করেছিলেন এবং কতিপয় সেনা কর্মকর্তার সহায়তায় তৈরি করেছিলেন ‘বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’।
এছাড়াও কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরে কথিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লবে তার সম্পৃক্ততা ও উদ্দেশ্য অনেকটাই রহস্যাবৃত। ৭ই নভেম্বরের সেনা অভ্যুত্থান জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া সত্বেও জাসদের রাজনীতির প্রতি জিয়াউর রহমানের অবিশ্বাসজাত বৈরিতা এবং ১৯৭৬ সালে সিরাজুল আলম খানের গ্রেফতার দেশে জাসদ রাজনীতিকে দ্রুত সঙ্কোচন ও পতনের দিকে নিয়ে যায়। দীর্ঘ পাঁচ বছর আটক থাকার পর ১৯৮১ সালে সিরাজুল আলম খান' জেল থেকে বেড়িয়ে আসেন। সেই সাথে সমাপ্তি হয় বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে তার আনুষ্ঠানিক সংশ্লিষ্টতার। যদিও অনেকে মনে করেন, তিনি আমৃত্যু অনেক সরকারী ও বেসরকারি দলের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং আমলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে নানাবিধ উপদেশ প্রদান করে গেছেন। তার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এই জাতীয় বেশ কিছু পোস্ট অনেকেরই নজর কেড়েছে।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই যিনি ছিলেন আওয়ামী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, তিনি কেন আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলেন? নতুন দলই বা কেন গঠন করতে হলো তাকে? এই প্রশ্ন দু’টির বিস্তারিত জবাব তিনি দেন নি কখনো। তাঁকে নিয়ে লেখা বই দু’টিতেও (মহিউদ্দিন আহমদের 'প্রতিনায়ক' ও শামসুদ্দিন পেয়ারার 'আমি সিরাজুল আলম খান') এই সব প্রশ্নের তেমন কোনো সন্তোষজনক ব্যখ্যা বা জবাব মেলেনি। তিনি একবার শুধু বলেছিলেন, 'আর কোনো উপায় ছিল না'! তবে, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দায়, গণবাহিনীর অপরিণামদর্শিতার দায়, খালেদ মোশাররফ এবং কর্নেল তাহেরসহ অগণিত সেনা-ছাত্র-জনতার অকালমৃত্যুর দায় তিনি স্বীকার করেননি কখনও।
ধারণা করা হয়, গণিতের ছাত্র সিরাজুল আলম খান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে মাওলানা ভাসানীর সান্নিধ্যে এসে বাম দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং মার্ক্সবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মার্ক্সীয় তত্বের সঙ্গে তিনি মাওবাদেরও দীক্ষা নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে তিনিই প্রথমবারের মত ‘সমাজতন্ত্র’ ধারণাটির সাথে ‘বৈজ্ঞানিক’ শব্দটি জুড়ে দেন যা মার্ক্সীয় ‘দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ’ এর আলোকে অতীতের ঐতিহাসিক বিবর্তন এবং বর্তমানের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে একটি সামাজিক আন্দোলনের আবহ সৃষ্টি করে। জাতি, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে তিনি শুধু সচেতনই ছিলেন না, এ বিষয়ে তিনি পড়াশুনাও করেছেন প্রচুর, যা তাঁর লেখা ‘স্বাধীনতাঃ সশস্ত্র সংগ্রাম এবং আগামীর বাংলাদেশ’ বইয়ের একাংশে ফুটে উঠেছে।
ষোড়শ শতকে মুসলিম সুলতানদের রাজত্বকালে শ্রী চৈতন্যের আবির্ভাব নিয়ে বইটিতে তিনি খুব সহজভাবে বলেছেন, ‘বাঙালির অচল, অনড়, নির্জীব অথচ কৌলিন্যভিত্তিক সমাজে মুসলিম শাসন ও সুফি সাধকদের সাম্যভিত্তিক ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রভাব আবেদন সৃষ্টি করলো। এসময় লক্ষ লক্ষ হিন্দু জনসাধারণ মুসলমানিত্ব গ্রহণ করে। অন্যদিকে হিন্দুদের মধ্যে চাহিদা থাকার কারণে শ্রী চৈতন্যের দর্শনের মধ্যে দিয়ে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে একটি ঐক্যের সুর যেমন ধ্বনিত হয়েছে, ঠিক তেমনটি জাতপাত, উঁচুনিচু, ভেদাভেদ ঘুচিয়ে একটি নবচেতনার উন্মেষ ঘটে’।
এই ঐক্য বেশিদিন স্থায়ী না হওয়ায় তিনি দুঃখ করে বলেছেন, ‘শাসকদের প্রচারিত ইসলাম এবং জনগণের বোধের গভীরে যে ইসলাম, তা মোটেও এক নয়। তেমনি হিন্দুধর্মের উঁচু বর্ণের মানুষের সঙ্গে চৈতন্যদেব প্রচারিত নবধর্মের মধ্যে রয়ে গেল দূরত্ব’। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাঙালি ভিন্ন অপরাপর সকল জাতিসত্তার স্বীকৃতি এবং পরিচর্যার বিষয়েও সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
রাজনৈতিক মহলে কখনো সমাদৃত কখনো বিতর্কিত, কখনো নন্দিত কখনো নিন্দিত সিরাজুল আলম খান দেশে এবং বিদেশে আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব ও মতাদর্শের ক্ষেত্রে তাঁর একটি নিজস্ব ভাবমূর্তি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে সকল দল ও মতের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে ছিলেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অব্যবহিত পরে সিরাজুল আলম খান দেশ পরিচালনার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরাবরে তের দফা একটি প্রস্তাবনা দাখিল করেছিলেন। সর্বদলীয় এবং সার্বজনীন জাতীয় সরকার গঠন ছিল এই প্রস্তাবনার অন্যতম প্রধান দফা।
এছাড়া তিনি সুশাসনের স্বার্থে গোটা দেশকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করে ফেডারেল সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং এলাকা ভিত্তিক জনপ্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি শ্রম, কর্ম ও পেশা ভিত্তিক দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের একটি রাজনৈতিক’ মডেল প্রনয়ন করেন। তিনি জেলা ও থানা (উপজেলা) পর্যায়ে স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার পদ্ধতি চালু করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। অনেকে বলে থাকেন, এরশাদের প্রশাসনিক ও বিচারিক বিকেন্দ্রীকরন এবং উপজেলা পদ্ধতির ধারণাগুলিও তাঁর কাছ থেকে ধার করা হয়েছিল। এই সকল বিষয়ে তিনি লেখালেখিও করেছেন প্রচুর। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে ‘স্বাধীনতাঃ সশস্ত্র সংগ্রাম এবং আগামীর বাংলাদেশ’, ‘বাঙালির তৃতীয় জাগরণ’ এবং ‘শাসনতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক রূপরেখা’ অন্যতম।
সিরাজুল আলম খানের তিরোধান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি রহস্যময় অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটালেও তাঁর দাদাগিরির পূর্ণাঙ্গ চিত্র এবং জানা-অজানা অনেক ঘটনা, দুর্ঘটনা ও তখাকথিত ষড়যন্ত্রে তাঁর স্বার্থ ও সংশ্লিষ্টতা সাধারণ্যের চোখের আড়ালেই রয়ে গেলো।
লেখক- কবি, শিক্ষক ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ
মন্তব্য করুন
মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন
মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]