বাংলারজমিন
কাঁচা চা পাতা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে ডিসিকে চিঠি দিলেন পঞ্চগড়ের চা চাষিরা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৯ জুন ২০২৩, শুক্রবারকাঁচা চা পাতা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে সকল অংশীজনদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন চা চাষিরা। গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করা হয়। চা চাষিদের পক্ষে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দিদারুল আলম, মানিক উদ্দীন, আনিসুজ্জামান প্রামাণিক নূতন, ইকবাল হোসেন, ছিদ্দিকুর রহমান ও হাবিবুর রহমান। ওই চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীসহ বাণিজ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনের নেক নজরে পঞ্চগড় জেলার সমতলে চা শিল্প সফলতা লাভ করেছে। কিন্তু সমতলের সম্ভাবনাময় চা শিল্প আজ কঠিন সময় পার করছে। কমিটি নির্ধারিত দরকে উপেক্ষা করে কারখানা মালিকরা নিজেদের মনগড়াভাবে পাতা ক্রয় করার জন্য জেলার চা চাষিদের সমূহ ক্ষতি হচ্ছে। চিঠিতে তারা জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় চা বোর্ড, চা কারখানা মালিক ও চা-চাষিদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে সংকট নিরসনের দাবি জানান।
চা-চাষি আনিসুজ্জামান প্রামাণিক নূতন জানান, চা কারখানাগুলো কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটির নির্ধারিত ১৮ টাকা কেজি দরে পাতা না নিয়ে বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ টাকা দরে কাঁচা চা পাতা কিনছে। এছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে তারা কারখানায় আনা কাঁচা চা পাতার শতকরা ৩০-৪০ শতাংশ কেটে রাখছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার দাম পড়ে ১০ টাকারও কম। অথচ এক কেজি কাঁচা চা পাতা উত্তোলনসহ উৎপাদন খরচ পড়ে ১৫-১৬ টাকা। চা চাষিদের অস্তিত্ব রক্ষায় আমরা জাতীয় চা দিবসে কাঁচা চা পাতার দাম সর্বনিম্ন ৪০ টাকার নির্ধারণ, পঞ্চগড়ে সরকারিভাবে চা কারখানা প্রতিষ্ঠা করাসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। আমরা জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে চলমান সংকটের সমাধান হবে।