সালথায় কথিত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

 ফরিদপুরের সালথা উপজেলা যুবদলের নেতা পরিচয় দিয়ে নিজ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছেন মাহফুজ খান নামে যুবক। এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, সালিশ বাণিজ্য ও থানায় দালালি করা তার পেশা। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে নানাভাবে হুমকি ও হয়রানি করা হয়। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না স্থানীয় সাংবাদিকরাও।
সমপ্রতি উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হায়দার খানের ছেলে কথিত যুবদল নেতা মাহফুজ প্রতিপক্ষের জমি দখল ও জোর করে মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিক হারুন-অর-রশীদ তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি কথিত যুবদল নেতার নজরে এলে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সাংবাদিককে হুমকি দেন। সাংবাদিক হারুন-আর রশিদ বলেন, মাহফুজের নামে জমি দখল ও জোর করে গাছ কাটার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আমি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছি। পোস্টে আমি লেখেছি- সালথায় পদবিহীন এক যুবদল কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের জমি দখল ও মেহগনি গাছ কেটে নেয়ার হুমকির অভিযোগ! কোর্টে অভিযোগ দায়ের।
এরপর মাহফুজ আমাকে ফোন করে বলেন, তুমি পত্রিকা ও ফেসবুকে কী লিখবা তা আমার কাছে থেকে জেনে ও শুনে লিখবা। আরও সাংবাদিক আছে তারা তো আমার বিরুদ্ধে কিছু লিখে না। তুমি তোমার ফেসবুক পোস্ট এখন ডিলেট করবা। তা-না হলে তোমাকে দেখে নিবো। তুমি ফেসবুকে মিথ্যা পোস্ট দাও, তুমি সরজমিন এসে যাচাই-বাছাই করে নিউজ করো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মাহফুজের বিরুদ্ধে একই উপজেলার সেনহাটি গ্রামের হারুনার রশিদ (৪০) নামের এক ব্যক্তি তার জমি জোর করে দখল ও মেহগনি গাছ কেটে নেয়ার হুমকি প্রদানের অভিযোগে আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৭ই জুলাই অভিযোগটি আদালতে দাখিল করেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা। আমি রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনো অন্যায় অপকর্ম করিনি। আপনি সরজমিন এসে দেখতে পারেন। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেন, দলীয় পরিচয়ে সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা স্বাধীন সাংবাদিকায় বিশ্বাসী। তাই নেতাকর্মীদের আরও সংযত হওয়ার অনুরোধ করবো। সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, হুমকির বিষয়ে ওই সাংবাদিক থানায় অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।