ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক্টিভিটিস সেনাবাহিনীর নেই

স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুন ২০২৩, সোমবার
mzamin

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খুবই মানবিক। সারাবিশ্বে মানবিকতার জন্য বিখ্যাত। জাতিসংঘে অনেকদিন ধরে আমরা কিন্তু এক নম্বর শান্তিরক্ষাকারী দেশ। এটা অর্জনের পেছনে যে সমস্ত গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো-আমাদের মানুষের প্রতি দরদ ও সহনশীলতা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনো কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেই। এটা আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি। আমরা হার্ডলাইনে গেলেও এমনভাবে যাবো যে আমাদের ওপর কোনো চাপ আসবে না। 

গতকাল দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান রিজিয়ন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের ক্ষতি করছে, দেশের জনগণের ক্ষতি করছে, সেটাকে রোধ করতে গিয়ে কোথাও যদি আমাদের একটু শক্ত অবস্থানে যেতে হয় অবশ্যই যাবো। কিন্তু সেটি আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য না। আমরা প্রাথমিকভাবে সবকিছুর সমাধান চাই।

বিজ্ঞাপন
মরণ কামড় কেউ দিলে আমরাও তা প্রতিহত করবো এটাই স্বাভাবিক। 

তিনি বলেন, আমাদের সৈন্যরা, আমাদের অফিসাররা যে লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি আশাবাদী-যে অভিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো। আপনারা জানেন এই অঞ্চলটা খুবই দুরূহ অঞ্চল। একটা পাহাড় এখান থেকে দেখা যাচ্ছে খুবই কাছে কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। আমরা সবখানেই যাচ্ছি। যেসব জায়গায় সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাঁটি ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে সেগুলো আমরা দখল করেছি। তাদের মূল ঘাঁটি, মূল প্রশিক্ষণকেন্দ্র দখল করেছি।  

তারা এখন আর এই এলাকায় নেই। এখন হয়তো জনগণের সঙ্গে মিশে কিছু কিছু রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের ভেতরে থাকবে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তারা ভূমিকা রাখবে। এটাই আমাদের কাম্য।  আমরা আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। ধারাবাহিকভাবে আমরা এলাকা আরও পরিষ্কার করবো। দেশের প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি তারাও আস্তে আস্তে তাদের কার্যক্রমগুলো করতে থাকবে। সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান আমরা অনেকটা শেষ করে এনেছি। আশা করছি সঠিকভাবে আমাদের দায়িত্বটা শেষ করতে পারবো। 

পাহাড়ি জঙ্গলে শক্তিশালী বোমা আইইডি পুঁতে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, আইইডি একটি নতুন মাত্রা। আইইডি মাটির ভেতর কোথায় পুঁতে রাখা হয়েছে এগুলো ডিটেক্ট (শনাক্ত) করা খুবই ডিফিকাল্ট (কঠিন)। খুব জঙ্গলাকীর্ণ রাতের অন্ধকারে বের করা আরও কঠিন। এ বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে। আইইডি শনাক্তে প্রয়োজনে ডগ স্কোয়াডসহ অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হবে। আমি আশা রাখছি, ভবিষ্যতে আইইডিতে হতাহতের সংখ্যা কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যদি আত্মসমর্পণ কিংবা আলোচনায় বসতে চায়, এ বিষয়ে পদক্ষেপ কী হবে- জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, অবশ্যই, কেউ যদি আসতে চায় তাদের স্বাগত। শান্তিতে যা সমাধান হবে সেটা সহিংসতায় কেন যাবো?

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বান্দরবান রিজিয়ন পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান রিজিয়ন সদর দপ্তরের সব স্তরের সেনাসদস্যদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, বিজিবি মহাপরিচালক এবং ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার,  সেনাসদর ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বান্দরবান রিজিয়ন সদরদপ্তরের সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 
 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status