শেষের পাতা
শাহবাগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান পুলিশের বাধা
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
৫ জুন ২০২৩, সোমবার
দু’ মুঠো ভাত আর একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই, এই তো চাই। যাদের ন্যূনতম ভাতা তাও বাড়েনি বাজেটে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী তাদের দাবি নিয়ে যেতে চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। শাহবাগে পুলিশি বাধায় থেমে যায় তাদের পথচলা। ছবি: জীবন আহমেদ
মাসিক ভাতা বৃদ্ধি ও যোগ্যতা অনুসারে কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তাসহ ১১ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। গতকাল সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেতে বেলা ১১টার দিকে সরকারপ্রধানের কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে কয়েকজন প্রতিবন্ধী এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
এ সময় সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই দফায় বাধা পাওয়ার পর তারা ফের জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা ন্যূনতম মাসিক ৫ হাজার টাকা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি মাসিক ২ হাজার টাকা চান প্রতিবন্ধীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে তারা বলেন, আমাদেরকে কথা দেয়া হয়েছিল ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা ৩ হাজার টাকা করা হবে। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করা, দারিদ্র্য সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে ওই টাকায় ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে পারি না আমরা। তারা বলেন, শিক্ষা উপবৃত্তি দেয়া হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা মেলে না। অথচ উপবৃত্তি দরকার শিক্ষা সামগ্রীর ন্যূনতম খরচ মেটানোর জন্য।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিশেষ নীতিমালা (কোটা) চান প্রতিবন্ধীরা। বলেন, আমরা নিজ নিজ যোগ্যতার ভিত্তিতে সমাজে সম্পৃক্ত হতে এবং মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। অথচ চাকরির ক্ষেত্রে দৃষ্টি, শ্রবণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নানারকম বঞ্চনার শিকার হতে হয়। ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোটা তুলে দেয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। এজন্য অনতিবিলম্বে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ন্যূনতম ১০ শতাংশ কোটা নিশ্চিত করা হোক।
নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকারি কোনো গ্রেডে বা শ্রেণিতে প্রতি বছর কতোজন প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তার তালিকা ৩রা ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবসে ঘোষণা করতে হবে। কর্মসূচি থেকে উত্থাপিত ১১ দফা দাবিগুলো হলো- মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা করা; প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভাতা দুই হাজার টাকা করা; সরকারি চাকরিতে বিশেষ নীতিমালা; হাজার কোটি টাকার প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তা তহবিল গঠন; প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উন্নয়ন অধিদপ্তরকে কার্যকর করা; ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট ও সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে দোভাষী নিশ্চিত করা; শিক্ষা ও চাকরির নিয়োগে শ্রুতিলেখক নীতিমালা; প্রবেশগম্য অবকাঠামো ও গণপরিবহন নিশ্চিতে অর্থ বরাদ্দ; রাজনৈতিক দলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংবেদনশীল বাজেট করা। অবস্থান কর্মসূচিতে পিএনএসপি, এনজিডিও, কৃষ্টি, বি-স্ক্যান, জাতীয় বধির সংস্থা, জাতীয় অন্ধ সংস্থা, এসডিএসএল, ডিডিপি-বাড্ডা, ইউবিপিইউএস-উত্তর বাড্ডা, জাগরণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থাসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
পাঠকের মতামত
দেশটা শুধু একা সরকারের না দেশটা সবার তাই সবাই মিলেমিশে জারজার জায়গা থেকে ভালো ভাবে চললেই সব কিছু কিন্তু ঠিক হয়ে যায়
Truth is - a thief can’t help another thief. As such, a disabled person cannot do the alike. The law enforcement agency is just doing the right job for their dimes !
ভোটারবিহীন গণতন্ত্রের আবস্তা কি দারুন !
১৬ কোটি মানুষকে নাকি প্রধানমন্ত্রী খাওয়ায় তাহলে ১৬ কোটি মানুষকে বিদ্যুতের কষ্ট দিচ্ছে কে? সহজ উত্তর এখন কথায় চিড়া ভিজবে না। বিদ্যুত এর দাম ৪ গুন দেই তাহলে বিদ্যুত পাবো না কেন
বাংলাদেশের পুলিশ কি ভাবে বুঝবে নাগরিকের মৌলিক চাহিদার অপূর্ণতা কতটুকু পীড়াদায়ক কেননা বাংলাদেশের বেশীরভাগ পুলিশের কোন চাহিদারই অপূর্ণতা থাকেনা। এই দেশে পুলিশের মত রোজগারের সহজ শতপন্হা আর কোন নাগরীকের নাই। সুতরাং তাদের কাছ থেকে মানবিকতা কি ভাবে আশাকরি ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীতো দাবী দাওয়া শুনতে চায়ের দাওয়াত পর্যন্ত দিয়ে রেখেছেন। তাহলে অতি উৎসাহী প্রজাতন্ত্রের পুলিশ কেন বাধা হয়ে দাঁড়বেন। বল প্রয়োগের ট্রেনিংটাতো বিরোধী দলের জন্য বিগত পনের বছর ধরে বরাদ্ধ রাখতে হয়েছে। এবার মানবিক হোন প্লিজ!
INTERNATIONAL HUMAN RIGHTS DECLARATION অনুসারে মত প্রকাশের জন্য মানুষদের সভা সমাবেশ করতে দিতে হবে, আর যে কোন মুল্যে মানুষ হয়ে উঠতে হবে
পৃথীবিতে জলে স্থলে যে বিপর্যয় ঘটিতেছে,ইহা মানুষের কৃতকর্মের ফল-কুরানের বানী। অতএব পাপ কর্ম-অন্যায়-অবিচার-জুলুম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।সর্বক্ষমতার অধিকারি সৃস্টি কর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে,আমীন।
আওয়ামীলিগ এখন অভিশপ্ত দল, এই দল টিকে থাকলে দেশ-জাতি বাচবে না। তাই তাদের রাজনীতিতে বেচে থেকে লাভ কি?
এরা যদি বাংগু প্রগোতিশীল হতো তাহলে সব করতে পারতো
This is torture! The Bangladesh Police will be put on trial for inhumane behaviour towards the handicapped people. Where is the Human Rights Commission of Bangladesh?