অনলাইন
পর্যালোচনা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি প্রস্তাবনা
শহীদুল্লাহ ফরায়জী
(৩ মাস আগে) ৪ জুন ২০২৩, রবিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:২৬ অপরাহ্ন

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের অজুহাতে পঞ্চদশ সংশোধনী বহাল করায় বিদ্যমান সংবিধান অচল ও অনড় হয়ে পড়েছে। সময় এবং জনগণের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে এ সংবিধান। নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতিতে এক ভয়ঙ্কর সমাজ ও রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছে। এতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি গভীর সংকটে নিপতিত হয়েছে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূ-রাজনীতির সমীকরণ বদলে যেতে পারে। এই সংকটের ব্যাপকতা, সম্ভাব্য ফলাফল এবং পরিণতি বিবেচনায় না নিতে পারলে রাষ্ট্র বড় ধরনের অস্থিতিশীলতায় নিক্ষিপ্ত হবে, যা রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করার কারণ হয়ে উঠতে পারে। উদ্ভূত সংকটকে আজকের বাস্তবতায় পর্যালোচনা না করে শুধুমাত্র দলীয় বা ক্ষমতার অন্ধ আবেগে পাশ কাটিয়ে গেলে তা হবে রাষ্ট্রের আত্মহত্যা বা রাষ্ট্র ধ্বংসের শামিল।
এখন দু'ধরনের সংকটে রাষ্ট্র বিপর্যস্ত।
এক) অভ্যন্তরীণ,
দুই) ভূ-রাজনৈতিক ।
বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ সংকটের মূল উৎস ভোটার বিহীন নির্বাচন। ক্ষমতার উৎস জনগণ, সুতরাং নির্বাচনে জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ছাড়া প্রজাতন্ত্রের সরকার গঠিত হতে পারে না। সরকারের কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতা নেই, জনগণের সম্মতিই একমাত্র রাষ্ট্রের বৈধ ক্ষমতায়নের পথ। এই সম্মতি ব্যতিরেকে কোনো সরকার বৈধতা পেতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে গত দু'টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের সার্বভৌমত্ব অর্থাৎ জনগণ রাষ্ট্রক্ষমতা প্রদানে সম্মতির ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি।
সংবিধানের চেতনা এবং নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় যাওয়ার উপায় হিসেবে সরকার নির্বাচনকে ব্যবহার করছে। কিন্তু সংবিধান অনুসারে জনগণের সম্মতি গ্রহণে নির্বাহী বিভাগের চরম ব্যর্থতার উপর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কোনো ধরনের পর্যবেক্ষণ, নিরীক্ষণ বা নির্দেশনা প্রদান না করে নীরব এবং নির্লিপ্ত থেকেছে। ফলে গত ১০ বছর ধরে জনগণের প্রতিনিধিত্বহীন, সংবিধান বহির্ভূত সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশে বিরাজমান রয়েছে। প্রজাতন্ত্রে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একনায়কত্ব বা ভোটারবিহীন অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এটা কোনোক্রমেই রক্তস্নাত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, ভোটাধিকারের মর্যাদা রক্ষার্থেই মুক্তি সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। নির্বাচনের নামে অনির্বাচিত সরকার গঠিত হওয়ায় রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি বা সংবিধানের Basic Structure বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচন ব্যবস্থাকে জনগণের সম্মতি প্রদানের উপযুক্ত পরিবেশে না রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন বা রাতের আঁধারে রাষ্ট্রীয় সংস্থা দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার অপসংস্কৃতি, ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা দিতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে এর চেয়ে ক্ষতিকর অপপ্রয়াস আর হতে পারে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হচ্ছে আইন বা সংবিধান। যখন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সংবিধান বিরোধী কাজে সম্পৃক্ত করা হয়, তখন ন্যায়-সুশাসন আর আশা করা যায় না। ফলে রাষ্ট্র ক্রমাগত দুর্বৃত্তপরায়ন হয়ে ওঠে। অপচয়, দুর্নীতি ও অন্যায্য কাজ সরকারের কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ মৌলিক কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। এই নির্বাচনবিহীন সরকার গঠনে ভূমিকা গ্রহনকারীদের ক্ষমতা ও আধিপত্য সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। সমাজে অযৌক্তিক ও ভয়ঙ্কর মনন, অগভীর মনস্তত্ত্ব একটি জাতির ভবিষ্যৎকে নৈতিক ভাবে ঝাঝরা, ফোকলা ও অন্তঃসারশূন্য করে দিচ্ছে। এইসব বিষয় আমাদের উপলব্ধিতে আসছে না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার প্রশ্নটি ভূ-রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করে নতুন 'ভিসা নীতি' ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ জাতিসংঘ অবাধ নির্বাচন ও মানবাধিকার প্রশ্নে বারবার উদ্বেগ জানিয়েছে। কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অংশ গ্রহণকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। শাসকদের বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য ও অকূটনৈতিক সুলভ আচরণ ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।
আমাদের রপ্তানির অন্যতম বাজার পশ্চিমা দুনিয়া। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে বাংলাদেশ চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে যা অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে চরম ঝুঁকিতে ফেলবে। উপরন্ত, বাংলাদেশ তিনটি পরাশক্তির পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সম্ভাব্য রণক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের শক্তিহীনতা এবং সংঘাত, সংঘর্ষ ও অনৈক্য ভূ-রাজনীতি ও কৌশলগত বিবেচনায় পরাশক্তি সমূহের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন অজুহাতে বাংলাদেশকে অযৌক্তিক আগ্রাসনের শিকারে পরিণত করতে পারে বা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হতে পারে।
চরম জাতীয় সংকটে ও বিপর্যয়ে, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রশ্নে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে
আবারো 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠন করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠনে তিনটি বিকল্প প্রস্তাবনা বিবেচনা করা যেতে পারে:
১) বিদ্যমান বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতি যদি বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং প্রধানমন্ত্রী যদি উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসম্মতি প্রদান করেন তাহলে সাংবিধানিক শূন্যতা উত্তরণে 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠনের বাধ্যবাধকতা হাজির হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠন করিবেন। দল মত নির্বিশেষে এই 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' সংবিধানের একাদশ সংশোধন আইন,১৯৯১ মোতাবেক নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং কার্যকর হবে। কারণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল রাজপথে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে এবং এ প্রশ্নে জনগণ রাজপথে রক্ত দিয়েছে। শুধুমাত্র এই একটি প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যমত্য ছিল এবং তা সমগ্র জাতি আনন্দ সহকারে গ্রহণ করেছিল। বিদ্যমান বাস্তবতায় 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠনে সংবিধানের একাদশ সংশোধনী উৎকৃষ্ট সমাধান এবং মীমাংসিত নজির।
অথবা
২) আপিল বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা (Review) করা। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ মোতাবেক আপিল বিভাগের কোনো ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা আপিল বিভাগের রয়েছে। Judicial Review বা বিচার বিভাগীয় সমীক্ষার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্বহালের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
Judicial review সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য । রাষ্ট্রের গভীর সংকট উত্তরণে সাংবিধানিক উপায় উদ্ভাবন করা সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অথবা
৩) সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধন আপিল বিভাগ কর্তৃক অসাংবিধানিক ও অবৈধ হলেও জাতীয় সংসদ ইহার বিবেচনা (Discretion) ও সিদ্ধান্ত অনুসারে আরো দু'টি সংসদের নির্বাচনকালীন সময়ে, নতুনভাবে ও আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হতে পারে বলে রায়ে উল্লেখ রয়েছে। যার ভিত্তিতে 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠন করা যেতে পারে।
Amicus curiae গণ প্রায় সকলেই তাঁহাদের সুগভীর জ্ঞান প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার বিবেচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বজায় রাখিবার পক্ষে আদালতে মত প্রকাশ করিয়াছিলেন।
তাঁহাদের আশঙ্কা ছিল, নির্বাচন কালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হইতে পারে।
কিন্তু আদালতের নির্দেশাবলি পালন না করে অর্থাৎ আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল না রেখে সরকার দেশকে এই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে এখনো রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে।
জনগণই সার্বভৌম। জনগণের অভিপ্রায় ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হচ্ছে সংবিধান। জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করাই হচ্ছে সংবিধানের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য।
রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং পরাশক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া থেকে
রাষ্ট্রকে রক্ষার উদ্দেশ্যে, সংঘাত-রক্তপাত এবং জিঘাংসার রাজনীতির অবসানে- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে বর্তমান সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বা সাংবিধানিক
প্রস্তাবনা দেশবাসীর বিবেচনার্থে পেশ করা হলো।
আমরা যদি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা স্থাপন করতে না পারি তাহলে চরম খেসারত দিতে হবে।
বিদ্যমান সংকট নিরসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রজাতন্ত্রের সকলের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঐতিহাসিক কর্তব্য সম্পাদনে আমরা ব্যর্থ হলে ইতিহাসের কাছেও ক্ষমার অযোগ্য হয়ে পড়বো।
লেখক: গীতিকবি
[email protected]
পাঠকের মতামত
বিএনপি বলে আমরা ক্ষমতা চাইনা, জনগনের ক্ষমতা জনগনকে ফেরত দিতে চাই অন্যদিকে আওয়ামীলীগ বলে জনগন আমাদের সঙ্গে আছে, বিযয়টা কোনভাবেই মাথায় ঢুকতে চায়না!!!
আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না, বর্তমান সরকারের অধীনে সংসদের নির্বাচিতদের নিয়ে একটা অন্তবর্তীকালীণ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হলে সমস্যা কোথায়? বিদেশিরা চাপ দিলেই কেন শেখ হাসিনা কে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে? এতে বিদেশিদের স্বার্থ কি?
I fully agree with Faraiji vai.. we must need interim neutral Govt for conducting free, fare and credible election. we have to remove all negative thinking about country & peoples welfare. But at first needed Rule of Law in everywhere...
I boldly support your statement and deeply believe who have patriotism for Bangladeshi nation must support.
একমত।
সম্পূর্ণ একমত ।
TULIP, PRODIP & AMAR AMIN @ shame to all you, all three to you are not a human on kinds of blind man, residual consumer of AL.
আমি জনাব শহীদুল্লাহ ফরাজীকে আমার আকুন্ঠ সমর্থন ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি । বাংলাদেশ সংবিধানের আওতায় বর্তমান অবস্থায় দেশবাসীকে সংকট উত্তরণের যে জ্ঞানগর্ভ পরামর্শ দিয়েছেন এ জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করি বাংলাদেশ সরকার বর্তমান অবস্থায় এমন প্রস্তাবনা বিচক্ষণতার সাথে বিবেচনা করে সম্মানজনক সমাধান গ্রহন করবেন ।
খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং সরকারকে সুপরামর্শ দিয়েছেন। কারণ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেই ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন যদিও ওইভাবে নির্বাচন করতে চাই না কারণ তাদের মধ্যে হারার ভয় আছে। ওরা ওদের তৈরি করা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায় জাগত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা দেখেছি। আমরা অনেকেই আছি যারা এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেনি। আমাদের পছন্দের প্রার্থী ও ছিল না সেখানে, তারপর রাতের আঁধারে ভোট গুলো হয়ে গেছে। এমনকি মৃত মানুষেরা এসে ভোট দিয়ে গেছে। এগুলো সত্য ঘটনা বলেই তাদের গায়ে এত চুলকানি থাকে। আর ওরাই নিজেদেরকে স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি বলে দাবি করে। এখন আমাদের প্রজন্ম দেচ্ছে আওয়ামী লীগের অবস্থা। কোন দিক দিয়েই তারা যোগ্য না। বিরোধী দলকে দমানোর সবচেয়ে বড় কৌশল হচ্ছে স্বাধীনতার বিপক্ষে শক্তি বলা। আর এই কৌশলী তারা অবলম্বন করছে। তাতে কোন লাভ হবে না বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেই হবে। এবং সেখানে জনগণ তার নিজের ইচ্ছামতো প্রার্থী বেছে নিবে।
তত্ব বধায়ক মানে যদি অরাজনৈতিনক কিছু উচ্চাবিলাসী লlলোক দের রাষ্ট্র বা নির্বাচন পরিচালনার জন্যে বসানো হয়। যারা দেশের জন্য কোন অবদান রাখে নি। সেই তত্বাবধায়ক চাই না। লেখক এখানে বার বার জনগন জনগন বলে আহাজারী করছেন। কথাটি উদেশ্য প্রনোদিত। এখানে বিএনপি জামাত আর কিছু ওয়ান ম্যান শো দলকে জনগন বলা একটি চাতুর্য ছাড়া কিছু নয়। দেশ গোল্লায় যাক কিন্তু এক খানা নির্বাচন চাই যাতে বুভূক্ষুরা তত্বাবধায়ক র সুজুগে ক্ষমতায় গিয়ে দেশটাকে আবার ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করুক সেটাই এখানে স্পষ্ট। দেশের স্বার্থ বিরুধী কাজে সামিল না হবার কারণে ভিসা কূটনীতি যে চলছে তা চতুর Developments মাথায় ঢুকছে না। উনার কাছে জিজ্ঞাসা দেশ কখন গণতন্ত্রে টই টুম্বুর ছিল। কখন সুশাসন ছিল ?দেশের সাধারণ মানুষ কি অতীতে ফিরে যেতে চায়??
বর্তমান সময় কিছু লোক নিজেকে অনেক জ্ঞানী ভাবে সময় সুযোগ বুঝে সার্থ হাসিল করতে চায়।স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শক্তিকে গোপনে সহয়তা করতে মরিয়া।
Well written for present situation. I agree with you. Thank you so much.
ভাল পরামর্শ।
খুবই চমৎকার ও যোগ্উপযোগী লেখা।বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের সর্বস্তরের দলীয়করণ করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার যদি আবারও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায় এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।
পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।।
শর্ত একটাই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। ভোট চোরর অধীনে দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
এই ধরনের স্বচ্ছ নিরপেক্ষ আলোচনা দেশ ও জাতি রক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনাকে
জাতি সংঘের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
TULIP আপনি কোন লিঙ্গের মানুষ বুঝতে চাই না। মনে রাখবেন, সমাজে ভালো লোক ২/৪ জন এখনও আছে যারা আপনাদের মত হালুয়া রুটি খাওয়ার ধার ধারেনা কিন্তু দেশ নিয়ে চিন্তা করেন।তাই তারা রাষ্ট্র বা সমাজ যখন বিপদে পড়ে তখন তাড়া ব্যাথিত হোন এবং বিপদ থেকে উত্তরণের জন্য তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন মাত্র। সেটাও আপনাদের সহ্য হয় না। কি সেলুকাজ জাতি আমরা!
এটা বুঝতে কারো অসুবিধা আছে যে কেবল ক্ষমতার একক উৎস থেকে সাংবিধানিক সকল সংশোধন ইচ্ছে পূরণের জন্য হয়েছে । এখন সেই একক উৎস থেকে "ইচ্ছে পূরণ হয়েছে" এমন অনুধাবন থেকে যদি সংশোধনের উদ্দ্যোগ নেয়া হয় তবে নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সকল প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা সঠিক পথে আসবে।
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংসদ ভেঙ্গে দিলে প্রধানমন্ত্রি আবার তার দায়ীত্ব পালনে অসম্মতি জানাতে হবে কেন,এতে ত স্বয়ংক্রীয় ভাবেই প্রধানমন্ত্রী দায়ীত্বচ্যুত হয়ে যায়। তখন আপদকালীন বা দুর্যোগকালীন সরকার গঠিত হবে দেশের বিদ্যমান সকল দল মত পথের মানুষের সর্বসম্মতিতে। সুপ্রীমকোর্টও এখন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নয় যে জনগণের স্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে দায়ীত্ব পালন করবে। নিরপেক্ষ অন্তরবর্তিকালীন সরকার গঠিত হলে সুপ্রীমকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতিকেও তার দায়ীত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন বিজ্ঞ প্রাজ্ঞ দল নিরপেক্ষ বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। তবেই হয়তো সম্ভব হবে দেশে আইনের শাসন এ্ববং স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। পুলিশ র্যাব বাহিনী প্রশাসন বিচার বিভাগ সহ নির্বাহী বিভাগের টপ টু বটম এখন আওয়ামী দুর্বৃত্তদের দখলে। এ জঞ্জাল পরিস্কার না করে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব। অতএব বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এসব বিষয়াদীকে পুঙ্খানুপুঙ্খ গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর নিরপেক্ষ পদক্ষেপই উপহার দিতে পারে দেশ বিদেশে গ্রহনীয় একটা সুন্দর নির্বাচন।
সময় উপযোগী মন্তব্য! আশা করি উক্ত পরামর্শ গ্রহণপূর্বক, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে!!
সহমত পোষণ করছি।
চরম জাতীয় সংকটে ও বিপর্যয়ে, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রশ্নে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে আবারো 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' গঠন করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
এখনও সময় আছে,দেশের সার্বভৌমত্বের খাতিরে,জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন বুদ্ধিজীবিদের এগিয়ে এসে এরকম অপশনগুলো বিবেচনায় নেয়া এবং সবার কাছে গ্রহনযোগ্য একটা সমাধান বের করা।
যতই বিএনপি জামায়াত কে পাম মেরে ফুলিয়ে দেন ভাই তারা ক্ষমতায় আসলে আপনাদের পাত্তাও দিবে না। ক্ষমতার হালুয়া রুটি খাওয়ার জন্য তাদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা আর কোন্দল শুরু হয়ে যাবে, তখন আপনাদের মত মানুষেরা কে কোথায় ছুটে যেয়ে পড়বেন, তার ঠিক থাকবে না।
Well written, Constitution is ineffective if it doesn't reflect the desire of mass people of the nation. Supreme Court's proactive role can be a way out of the current crisis. For the shake of sovereignty, Bangladesh must be run by the legitimate elected people's representatives.
দেশপ্রেমিক রাজনীতিক এবং সাধারণ মানুষের এই সময়ের মনের কথা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে একটা ফাঁদ। সরকার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এমনভাবে দলীয়করণ করেছে যে, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে অসম্ভব। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের একান্ত অনুগত। যা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।
আমি আপনার লেখা গুলোর সাথে এক মত পোষণ করছি।
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]