রেফারিকে গালি দিয়ে শাস্তির মুখে মরিনহো

ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে ছিল এএস রোমা। ইতালিয়ান দলটিকে প্রথম ইউরোপা লীগ শিরোপা জেতানোর অপেক্ষায় ছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সেভিয়ার কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন চূর্ণ হয় মরিনহো এবং রোমার। ট্রফি বঞ্চিত হয়ে ম্যাচ শেষে ‘পক্ষপাতী রেফারিং’ নিয়ে ক্ষোভ ঝারেন রোমা কোচ। অভিযোগ উঠেছে, ম্যাচের পর রেফারিকে গালিগালাজও করেন মরিনহো। বিষয়টির তদন্তে নেমেছে উয়েফা। 

গত ৩১শে মে বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় সেভিয়া-এএস রোমার মধ্যকার ইউরোপা লীগের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে ড্র হয়। এরপর টাইব্রেকারে রোমাকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে সেভিয়া। ৪০টি ফাউলের সেই ম্যাচে মোট ১৪টি হলুদ কার্র্ড দেখান রেফারি অ্যান্থনি টেইলর, ইউরোপা লীগের কোনো ম্যাচে যা সর্বোচ্চ। তাছাড়া হলুদ কার্ডপ্রাপ্ত বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ছিল রোমার।

মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে রেফারি অ্যান্থনির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় রোমা কোচ মরিনহোর। সে সময় অ্যান্থনিকে গালি দিয়ে পর্তুগিজ কোচ বলতে থাকেন, ‘তুমি একটা মর্যাদাহীন লোক, তুমি একটা মর্যাদাহীন লোক।’ 
ম্যাচ শেষে মুভিস্টারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রেফারি অ্যান্থনি টেইলরকে নিয়ে মরিনহো বলেছিলেন, ‘রেফারিকে দেখে স্প্যানিশ মনে হয়েছে। একের পর এক হলুদ কার্ড দেখিয়ে চলেছিলেন তিনি। আমাদের ম্যাচে রেফারির এমন প্রভাবে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, নতুন কিছুই নয়। তবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে তা আশা করিনি।’ 
মরিনহো বলেছিলেন, ‘যখন তার  (সেভিয়ার এরিক) লামেলাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেয়া উচিত ছিল, সে তা করেনি। এরপর লামেলা পেনাল্টি থেকে গোল পেলো। এটা অবিচার।’

মার্কা জানিয়েছে, অ্যান্থনি টেইলরকে গালি দিয়ে উয়েফার শৃঙ্খলাবিধির ৫৫ অনুচ্ছেদের অবমাননা করেছেন হোসে মরিনহো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি পেতে পারেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে তার ওপর। উয়েফা জানিয়েছে, সংস্থাটির এথিক্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি বডি (সিইডিবি) যথাসময়ে মরিনহোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
শুধু মরিনহো নয়, দুই ক্লাবই ইউরোপা লীগের ফাইনালে উয়েফার নানা শৃঙ্খলাজনিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়েও তদন্ত করছে উয়েফার এথিক্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি বডি।