অনলাইন
বিবিসিকে শ্রীরাধা দত্ত
ভারত সরকার আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না
অনলাইন ডেস্ক
(৪ মাস আগে) ২৮ মে ২০২৩, রবিবার, ৩:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১১ অপরাহ্ন

আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির ইস্যুতে ভারত সরকার কি বাংলাদেশে সরকারের পাশে থাকবে? এ প্রশ্ন এখন নানা জায়গায় আলোচিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সুরাহার জন্য বাংলাদেশ সরকার দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল যা তারা অস্বীকার করেনি। ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত সহযোগী দেশ। কোয়াডের সদস্য। খুবই ঘনিষ্ঠ একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। তাছাড়া, ভারতের বাজারও আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই লোভনীয়।
কিন্তু দিল্লি কি তাদের সেই কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে?
“আওয়ামী লীগ দিল্লির ওপর ভরসা করে এবং এখনও করবে, কিন্তু ভারতেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। ভারত কি আমেরিকাকে বলবে বাংলাদেশ নিয়ে তোমরা যা করছো সেটি ঠিক নয়? আমার মনে হয়না ভারত তা করবে,’ বিবিসি বাংলাকে বলেন ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত।
তিনি বলেন, “এটা ঠিক যে কূটনীতি বিভিন্ন চ্যানেলে হয়, ভারত হয়ত ট্র্যাক টু বা ট্র্যাক থ্রি চ্যানেলে একথা তুলবে, কিন্তু ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চাপ থাকলেও রোহিঙ্গা সংকটে নিয়েও ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর কখনই খোলাখুলিভাবে কোনো চাপাচাপি করেনি। তবে মিজ দত্ত স্বীকার করেন ভারত চায় আওয়ামী লীগের সরকার বাংলাদেশে থাকুক কারণ, তার মতে, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো সবসময় শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছেন যা নিয়ে দিল্লি কৃতজ্ঞ।
এ কারণে, তিনি বলেন, পরপর দুটো নির্বাচন নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠলেও ভারত চোখ বুজে ফলাফলকে মেনে নিয়েছে।“এটা ঠিক যে ভারত আওয়ামী লীগকে অন্ধের মত সমর্থন করেছে...কিন্তু আমেরিকা এখন যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে সেটা ভারতের জন্য চিন্তার জায়গা তো বটেই। মনে হচ্ছেনা আমেরিকানরা পেছোবে। সেখানে ভারত কী করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান।”
এর আগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ভারত যে বাংলাদেশের হয়ে আমেরিকার সাথে জোরালো কোনও দেন-দরবার করেছে তার কোনো প্রমাণ নেই।
তাছাড়া, মিজ দত্ত বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা নিয়ে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে সম্প্রতি চাপ তৈরি হয়েছে।
পাঠকের মতামত
India is in write way.
ভারত আমাদের এখন এমন প্রতিবেশী হয়েছে যে বাংলাদেশের আসামী কোট থেকে গুম হয়ে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায় এবং বিডিআর বিদ্রোহের কথা বাংলাদেশের মানুষ ভালো করে জানে এখানে যে ৫২জন চৌকোস অফিসার নিহত হয়েছিলেন। যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য একটা অন্যায়কে সমর্থন করে এর পরিণাম পরবর্তীতে ওরাই ভোগ করবে।
ভারত আমাদের এখন এমন প্রতিবেশী হয়েছে যে বাংলাদেশের আসামী কোট থেকে গুম হয়ে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায় এবং বিডিআর বিদ্রোহের কথা বাংলাদেশের মানুষ ভালো করে জানে এখানে যে ৫২জন চৌকোস অফিসার নিহত হয়েছিলেন। যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য একটা অন্যায়কে সমর্থন করে এর পরিণাম পরবর্তীতে ওরাই ভোগ করবে।
গনতন্ত্র দরকার, আওয়ামী লীগের সরকার ও দরকার।
ভারত চায় আওয়ামী লীগের সরকার বাংলাদেশে থাকুক কারণ, তার মতে, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো সবসময় শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছেন যা নিয়ে দিল্লি কৃতজ্ঞ।
পৃথিবীর ইতিহাস এ কোনো সৈরাচারী চিরস্থায়ী নয়,শুধু সময়ের কাছে বাধা !
গনতন্ত্রের জন্য ভারতের আমরা প্রসংশা করি,২০১৪ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সুষমা স্বরাজ যে ভূমিকা নিয়েছে এতে বাংলার জনগণের কাছে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমরা আশা করি গনতান্ত্রিক ভারত এবার বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক মানুষের পাশে থাকবে এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো উন্নয়নে তারা যত্নশীল হবে।
ভারত দুটো কারণে কখনো ও বিএনপি জামায়াত কে সাহায্য বা সমর্থন করবে না। ১) বিএনপি জামায়াত কখনও ভারতকে বন্ধু মনে করে না, সেটা ভারত খুব ভালো ভাবে জানে। ২) ভারতের সেভেন সিস্টার্স প্রদেশ গুলোর নিরাপত্তার কারণে বিএনপি জামায়াত কে কখনও সমর্থন দিবে না। সুতরাং বিএনপি জামায়াত পন্থী মানুষ দের লাফালাফিই সার।
অনেক বিজ্ঞজন এখানে ভারতের শুভ বুদ্ধির প্রত্যাশা করে বুঝাতে চেয়েছেন ওনারা অলরেডী সেই শুভ বুদ্ধির অধিকারী হয়ে গেছেন । আজ থেকে ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশকে একটু বাস্তবিক অর্থে মিলিয়ে দেখুন । পরিবর্তন টা কি দেখতে পান ? ১৫ বছর আগের তথা কথিত গণতন্ত্র আমাদের মৌলিক প্রয়োজন গুলোই কি পূরণ করেছিল । আজ বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটা স্ব অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে । সব অবকাঠামো উন্নয়ন গুলো আমাদের আগামীর আলোর বার্তা দিচ্ছে । এ অবস্থায় আপনাদের চাওয়া তথাকথিত গনতন্ত্র এ দেশটাকে আবার সেই ২০ বছর আগে অথবা দূর্ভাগ্যক্রমে আফগানিস্তান ও করে দিতে পারে । প্রকৃত দেশপ্রেমিক কখনো দলকানা হয়না , দেশকানা হয় ।
India blind & bold support to aowamilg vote rigging government, it's goes to against majority peoples freedom of democracy as we are citizen of bangladesh as independent nation . So our request is to india as a democratic country respect our majority peoples what they want & stay a way our internal matters for the sake of good relation & friendship.
"A friend in need is a friend indeed!"
ভারতের উচিত জনগণের পক্ষ নেওয়া
আমার মনে হয়না, ভারত তার অভ্যেস ত্যাগ করতে পারবে!
India, the self-declared " MASTAN " of our subcontinent, should realize that majority of Bangladeshis don't like the policies of Indian Gov. As soon as the Hasina regime is kicked out from the power, most of the treaties signed by her with India will be null and void.
ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা কোন দল বা গোষ্ঠীর সাথে নয়
ভারতের খেলা শেষ এবার মার্কিনিরা শেষ চেষ্টা করবে মূলতঃ ভূরাজনৈতিক কারনে।
ভারত গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্র। আশা করি আর নীল নকশার নির্বাচন সমর্থন করবেনা। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
Really !!!!Time will tell how this plays out, so let's see what happens.
শেখ হাসিনার শুধু দেশকে ধ্বংস করেননি, নিজ দলটাকেও ধ্বংস করে দিয়েছেন। যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন, তারা সারা জীবন শেখ হাসিনাকে অভিসম্পাত করে যাবে।
বিশ্বের কোন দেশেরই উচিত হবেনা গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে স্বৈরশাসক দুস্কৃতিকারী আওয়ামী সরকারকে সুরক্ষা দিতে কাজ করা। বাংলাদেশের ৯৫% জনগণ আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন দুর্বৃত্তায়ণ জুলুম নিপীড়ণ নির্যাতনে অতিষ্ট। আওয়ামী অপশাসন থেকে মুক্ত হতে যেকোন দেশ বা সংস্থার যেকোন উদ্যেগকে বাংলাাদেশের জনগণ শ্রদ্ধাভরে সাধুবাদ জানাবে। ভারত এ সত্যকে যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবে দেশ জনগণের ততই মঙ্গল হবে।
ভারতের উচিত জনগণের পালস বুঝে চলা। আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
Pls,আামাকে ভোট দিতে দিন।সেই প্রযুক্তি সংযুক্ত করুন যাতে আামার ভোট আন্য কেউ দিতে না পারে।মহামান্য সুপ্রিমকোটকে আাবেদন করছি, সরকারের নিকট জানাতে চান, এক জন ভোটারের নিরাপত্তাওভোটাধিকার সংরখ্খনে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভারত বাংলাদেশের গনতন্ত্রের দিকে নজর দেয়না। শুধু মাত্র একটি গুষ্টিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এতে বাংলাদেশের গনতন্ত্র হুমকির মুখে পরতে পারে।
ভারতের মত বৃহত্তর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিভাবে প্রতিবেশী দেশে বিশেষ একটি দলের হয়ে নির্লজ্জের মত কাজ করে! ভাবতেও লজ্জা লাগে! ভারত বাংলাদেশে যেভাবে অবৈধ খাওয়া খেয়েছে, ভারতকে এসবের রক্তবমি করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ভারত মুখে যা বলে অন্তরে বিশ্বাস করে অন্যটা। সুতরাং ভারতের কথা বিশ্বাস করি না।
ভারত জেনেশুনে কেন বাংলাদেশের মানুষের মতামতের বাইরে যাচ্ছে আমার বুঝে আসেনা। সরকার আসবে এবং যাবে কিন্তু জনগণ যদি সমর্থন না করে একটি পার্টির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে সামরিক লাভ হবে মাত্র।
দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় এখন আমেরিকা-চীন সবচাইতে বড় খেলোয়ার।ভারত যুগ যুগ আওয়ামী লীগ কে সমর্থন করে বাংলাদেশে জনগনের সাথে অন্যায় করেছে।অবস্হাদৃস্ঠে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত এখন দুধভাত।
ভারতের এ কথা যদিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবুও ভারতের উচিত জনগণের পালস বুঝে চলা। আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
ভারতের উচিত বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে কথা বলা। আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করে দেওয়াটা অন্যায়। এবারও একতরফা, লোকদেখানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কে সমর্থন করলে ভারতকে ভবিষ্যতে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ অধিকতর ঘৃণা করবে এখনকার চেয়েও....
খুব ভালো হইছে
I think India should not take side of any party but should stand for Bangladesh.
It will be very good for Bangladeshi people .
ভারতকে তেতো ঔষধ খেতে হবে।
এই ৫২ বছরে ভারত কখনত্ত বাংলাদেশের মানুষের সাথে বা এই রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে নাই। তারা সব সময় সম্পর্ক বজায় রেখেছে আওয়ামী লীগের সাথে, এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল। এখন যদি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয় তাহলে দুই দেশের জনগণের জন্যই ভাল।
আশাকরি ভারত আওয়মিলীগকে অন্যায় সমর্থনকরবে না। কারন আওয়ামিলীগের জন সমর্থন এখন সুন্যের কঠায়। তাই জনসমর্থন হীন একটি দলকে অতিতের মত অন্যায় ভাবে টিকিয়ে রাখার চেস্টা করলে তাদের জন্য ও হিতে বিপুরিত হবে।
সত্যিই যদি ভারত নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তাকে, তাহলে এই সরকার এবার পড়ে যাবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ভারতীয়দের বোজা উচিৎ এক আওয়ামীলীগ দলের সাথে সম্পর্ক রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি সাধারণ জনগনের প্রায় দু -তিন বারের ভোটের অধিকার খর্ব করেছে! যার ফলে বাংলাদেশে একটা গ্রাম্য ইউপি ভোটও আজ আওয়ামীলীগ নিজেদের প্রার্থী জেতাতে প্রহসন করে জিতে ! যা বাংলাদেশের ভোটারদের মারাত্মক বিষিয়ে তুলেছে। এই উপলবদির জন্য ভারতীয় শীর্ষ মহলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
ভারত এবার ফেইল মেরেছে তাহলে।
ভারতের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে মনে হচ্ছে
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]