অনলাইন
চার নয়, দুটি দেশের রাষ্ট্রদূত এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাচ্ছেন
মানবজমিন ডিজিটাল
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত স্থায়ী পুলিশ এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে মানবজমিন জানতে পেরেছে এ সম্পর্কিত ফাইল ও মোবাইল বার্তা চালাচালির পর আপাতত দুটি দেশকে এই সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ১৪ই মে এক আকস্মিক সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতদের স্থায়ী এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ঐদিন সকাল ৬টার দিকে পুলিশের তরফে মার্কিন দূতাবাসকে জানানো হয়, আজ থেকে রাষ্ট্রদূত পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন না। অন্যান্য দূতাবাসকেও পর্যায়ক্রমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, লোকবল সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা চাইলে পুলিশের পরিবর্তে আনসার নিতে পারেন। এই যখন অবস্থা, তখন সরকার ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের এসকর্ট সুবিধা ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ইয়াসমীন সাইকা পাশা মানবজমিনকে বলেন, এটি একেবারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।
পাঠকের মতামত
কথায় বলে - সেই তো খেলি তবে কেন লোক হাঁসালি?
আগেই জানতাম এই দুটি দেশ আই ওয়াশ ছিলো!
ক্ষমতার লোভ মানুষকে এতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ করে তুলে তা বাংলাদেশের অবৈধ সরকারের দিকে তাকালে বোঝা যায়।
ভারত কে সুবিধা দিতেই সৌদি কে সুবিধার আওতায় আনা হলো। সেবাদাস এই সরকার ভারতের উপর ভর করে এবারো পার পেতে চাই।
ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত স্থায়ী পুলিশ এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাচ্ছেন।---সামনে ভোট, অন্য কোন রাষ্ট্র না হোক অন্তত ভারতের সমর্থন এখানে অতিব জরুরী। এই কাজ করার আগে দশবার ভাবা উচিত ছিল; দুইজন কে সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া মানে বাকি দুইজন কে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে- যেটা একটা সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাকর ও নতজানু হওয়া।
" সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, লোকবল সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।" মাশাল্লাহ, লোকবল সংকট তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সরকার কাটিয়ে উঠেছে দেখা যাচ্ছে।
আসলে ভারতের এসকর্ট সুবিধা ফিরিয়ে দিতেই হবে কিন্তু শুধু ভারতকে কিভাবে দেয় তাই সৌদি আরবকে যুক্ত করা হয়েছে। ভারত আর সৌদি আরব এসকর্ট সুবিধা পাবে আর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য পাবেনা- এটা কিভাবে যৌক্তিক?
সরকার যে খেলা শুরু করেছে এই সব খেলা আমরা ছোট বয়সে খেলতাম। অর্থাৎ এ খেলা নাবালক নাবালিকা খেলা।
বাংলাদেশ সরকার যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি একক পরাশক্তির সাথে সরাসরি সংঘাতে যেতে চায়, তাহলে সেটি সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না বলেই প্রতীয়মান হয়। ভারতের অতো মুরোদ নেই যে, সরকারকে রক্ষা করতে পারবে।
হুশ হলে ভাল। এরা বাংলাদেশে এসে এত দেওয়ানি দেখায় যে মনে হয় তারা দুধে ধোয়া তুলসী পাতা।
জল খাবি তো খাবি,ঘোলা করে খাবি।চেতনাবাজগুলার গেরুয়া উত্তেজনা কমে গেলে ভয়ে থাকে।
US will be better off getting US Marine to protect the Ambassador.
সরকার কি করবে না করবে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা সুবিধা ফিরিয়ে দিবে, তাহলে প্রত্যাহার করেছিল কেন? ঐসব সুবিধা ফিরিয়ে দিলেও বাংলাদেশ দায়িত্বহীন কান্ড করেছিল সেটি এখন ইতিহাস হয়ে থাকবে।