প্রথম পাতা
মার্কিন ঘোষণা
টক অব দ্য পলিটিক্স
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
ওয়াশিংটনে পার্টনারশিপ ডায়ালগেই মার্কিন ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করে জারি করা স্বতন্ত্র নীতির কথা জানানো হয় বাংলাদেশকে। বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে সমুদয় কর্মসূচি শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন স্টেট ডিপার্টমেন্টে ওই পার্টনারশিপ বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডনাল্ড লু’সহ অন্য কর্মকর্তারা। সেগুনবাগিচার দাবি পার্টনারশিপ বৈঠকের সাইড লাইনে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বাংলাদেশকে বিষয়টি জানানো হয়। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ এটি আলোচনায় নয় বরং একতরফাভাবে মার্কিন নীতি হিসেবে প্রণীত, যা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক উদ্বেগের প্রেক্ষিতে খড়্গ হয়ে দেখা দেয়।
২০২১ সালে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে কঠোর ওই ভিসা নীতি আরোপ শুরু হয়। এ পর্যন্ত নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়ায় এটি কার্যকর হয়েছে। দুর্ভাগ্য, তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োগ করলো ডেমোক্রেটিক বাাইডেন প্রশাসন। অবশ্য পরপর দুটি গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না জানানো এবং ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন উত্থাপনের প্রেক্ষাপটে ‘খড়্গ’ নামার আশঙ্কা করছিলেন বিশ্লেষকরা।
সেগুনবাগিচা বলছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভিসা নীতি নিয়ে ব্রিফ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অ্যাপয়েনমেন্ট চাচ্ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী কোভিড আক্রান্ত হওয়া এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে কাতার যাওয়ার কারণে অ্যাপয়েনমেন্টে দেরি হয়েছে। যা ঘটনাচক্রে ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার হলো। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাল দাবি করেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেন তাকে চিঠি দিয়ে আগেই এটি জানিয়েছেন। সেগুনবাগিচা বলছে সেই ব্লিনকেনের চিঠিটি ঢাকায় বুধবারের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ মঙ্গলবারের। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভিসা নীতিটি ওয়াশিংটন সুবিধাজনক সময়ে প্রকাশ করবে বলে ঢাকাকে তা গোপন রাখার বার্তা দিয়েছিল বলে দাবি করেছে সেগুনবাগিচা। তবে ওই ঘোষণার গুঞ্জন আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল। বুধবার মধ্যরাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তা নিশ্চিত করেন। জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন মার্কিন ভিসা নীতির খবর। ছোট করে বললে যার মানে দাঁড়ায়, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে, গণতান্ত্রিক আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে যারাই বাধা হবে তারা মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। কারা হতে পারেন তারা? সেটাও স্পষ্ট করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইনপ্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ক্যাটাগরি দেখেই বুঝা যায়, এটি অত্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে বিপুল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। কেউ কেউ বলছেন, কারও বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। আবার মনে হয়, সবাই নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তের মধ্যে কোনো কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাও স্পষ্ট করা হয়েছে বিবৃতিতে। এরমধ্যে রয়েছে, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতায় বাধা দেয়া, রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখা।
আপাতদৃষ্টিতে পুরো বিবৃতিতে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ঘিরে মার্কিন কঠোর অবস্থানই স্পষ্ট হয়েছে। আমরা মাঝে-মধ্যেই এ শিরোনাম ব্যবহার করি। এক্ষেত্রেও এটা বলা চলে, মেসেজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। বাংলাদেশের নির্বাচনে আমেরিকা কী চায়, কীভাবে চায় তা যেন অনেকটাই স্পষ্ট করা হয়েছে। সম্প্রতি নাইজেরিয়াতেও ভোটকেন্দ্রিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেখা গেছে। সেখানেও যারা অবাধ ভোটের পথে বাধা হয়েছেন তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন বিবৃতির আরেকটি অংশকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে এ ধরনের খোলামেলা কথা যুক্তরাষ্ট্র আগে কখনো বলেনি। বিশেষত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কথা একেবারেই পরিষ্কার। বুধবার রাতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমাদের বার্তা হচ্ছে, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে আছি এবং আপনাদের দেশে গণতন্ত্রকে সহায়তার জন্য আমরা এই নীতি ঘোষণা করছি। বাংলাদেশে যদি কেউ জনগণের ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে চায়, তাদের এই বার্তা দেয়া হচ্ছে যে ওয়াশিংটন ঘটনার ওপর চোখ রাখছে, যাতে জনগণ ভরসা পায়। আমরা মনে করি, আইনের এই ধারা প্রয়োগের সামর্থ্যরে পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এমন সংকেত পাঠানোও গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে আছি, আর আমরা অ্যাকশন নিতে প্রস্তুত।’
গত কিছুদিন থেকে বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর বক্তব্য দিয়ে আসছিলো। তবে মার্কিন ঘোষণার পর সে ধরনের প্রতিক্রিয়া আসেনি। বরং বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সেজন্য মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি আমাদের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে।” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে প্রায় একই ধরনের সুর রয়েছে।
মার্কিন ঘোষণার নানারকম তাফসির হবে এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে আগামী নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের ওপর যে ওয়াশিংটন সবসময় খেয়াল রাখছে সর্বশেষ ঘোষণায় এটা স্পষ্ট করা হয়েছে। এটি সবার জন্যই বার্তা। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার জন্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠছে বাংলাদেশের নির্বাচন। সামনের দিনগুলোতে এটি আরও স্পষ্ট হবে। এদিকে মার্কিন ঘোষণার পর দেশের রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। নানা সমীকরণ ঘুরপাক খাচ্ছে। বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এখন দেশের টক অব দ্য পলিটিক্স হয়ে উঠেছে।
পাঠকের মতামত
আমিরিকার এই ঘোষণা সকল রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বলা যায়। ক্ষমতায় থাকিয়া কিংবা ক্ষমতার বাহিরে থাকিয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে দলীয় সন্ত্রাসীরা সাধারণ ভোটারের উপর শক্তি প্রয়োগ করে। (উধাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চট্টগ্রামে এক উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে তাতে মার্কাযুক্ত কোনো প্রার্থী ছিলনা। এমপি সাহেব প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে ঐ নির্ধারিতরাই শপথ নিয়ে আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে তবে ওয়ার্ড মেম্বারের জন্য মার্কা বরাদ্দ করা হয়েছে বটে কিন্তু ভোট কেন্দ্রে ভোটারেরা যাইতে হয় নাই কারণ তারা এমপি সাহেবের নির্ধারণ করা ছিল। শুনা যায়, প্রত্যেক চেয়ারম্যান পদের জন্য ১৫ থেকে ২৫ লাখ (শর্ত এবং দর কষাকষি আছে) এবং মেম্বার পদের জন্য ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে একমাত্র তারাই চেয়ারম্যান মেম্বার হতে পারবে অর্থাৎ অন্য কোনো দলের লোকতো প্রশ্নই আসেনা, নিজ দলের মধ্যেও চেয়ারম্যান/মেম্বারের পদ বিক্রি হয়েছে) আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলের পর জাতীয় নির্বাচনের খবর তো সবাই জানে কিন্তু স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে কি হয়েছে সেটি দেশের এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তের লোকেরা জানেনা কারণ সাংবাদিকের জেনেও জানাইতে পারে নাই। মজার বিষয় হচ্ছে বহিঃবিশ্বের দুতাবাস গুলো এখানে ঘাস কাটতে আসে নাই, এরা প্রত্যেক পাড়া মহল্লার খবরও রেখেছে এবং জানে। সুতরাং আমিরিকার এই ঘোষণা ভোট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং জনগনের পক্ষে গিয়েছে।
স্বাদে বদল আনতে মুরগির মাংস রান্না করে ফেলতে পারেন একটু ভিন্ন রেসিপিতে। সরিষার তেলে কীভাবে কষা মুরগির মাংস রান্না করবেন জেনে নিন। ১ কেজি মুরগির মাংসের সঙ্গে ১টি পেঁয়াজ ও টমেটো কুচি মিশিয়ে নিন। ২০০ গ্রাম টক দই, ১ চা চামচ জিরার গুঁড়া, ধনে গগুঁড়া ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন মাংস। ব্লেন্ডারে রসুন ও শুকনো মরিচের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে ঘন ও মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। কড়াই বসিয়ে দিন চুলায়। সরিষার তেল গরম করে রসুনের পেস্ট ও ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। ভালো করে কষিয়ে নিন। আলুর টুকরো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে মাঝারি আঁচে রেখে মাংস কষাতে থাকুন। কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে সেদ্ধ করে নিন। মাংস সে দ্ধ হয়ে গেলে ১ চা চামচ বিরিয়ানি মসলা দিন। অল্প পরিমাণে গরম পানি ঢেলে দিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন। (banglatribune.com)
বাংলাদেশে চলমান নোংরা রাজনীতির উদ্দেশ্য হল-১) যে কোন অবৈধ উপায়ে ক্ষমতার আসনে বসা,এবং ক্ষমতা আকরে ধরে রাখা ,২) দেশ-জাতির অর্থ-সম্পদ লুট পাট-পাচার করা।রাষ্টের সকল প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করা।দ্রব্য মুল্য ,সেবা মুল্য বৃদ্বি, আয় তুলনায় ব্যয় বেশী,বেকারত্ব ,দারিদ্র,বৈষম্য বাড়ছে।ভারতের রাক্ষুসে রাজনীতি এখানে ভর করেছে,জালেম শাসক গোষ্টির স্বার্থ রক্ষা করে দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধি পদক্ষেপ গ্রহন করছে। এই কারনে- মিডিয়া-জনগ্ণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এবং ভয়,আতংক সৃষ্টি,মুখ বন্দ্ব করার জন্য গুম-খুন করা হচ্ছে।মিথ্যা মামলা,জেল দেওয়া হচ্ছে।হে আল্লাহ জালেম শাসকদের দুঃশাসন থেকে রক্ষা করুন, আমীন।
Looks like door is closing faster than I thought. Swimming with the Sharks can be fatal. Before picking a fight it is very wise to know your own strength.
যেসব দেশ এইসব হুদাই জিনিস নিয়ে পড়ে থাকে তারাই পিছিয়ে যাবে আর আমেরিকা সেটাই চাই।
১৯৭১ এ দেশে সংকট ছিল। হানাদারদের দখলে ছিল দেশটা। জনগনের শাসন ছিল না দেশটাতে। তখন মুক্তিযোদ্ধারা একটা ব্রিজ বা ভবন উড়িয়ে দিয়ে দেশের ক্ষতি করতে পারলে জনগন খুশিতে আত্মহারা হতো।
আমরা আমেরিকা যাবনা যাবনা।। এ কথাটা বলার কারো সাহস হোলনা। আর পাবলিকের উপর সবার চোটপাট। আমজনতা কি বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠিত? মোটেও না।।