শেষের পাতা
ক্ষমা চাইলেন সিলেটের মেয়র প্রার্থী আনোয়ার
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
ক্ষমা চাইলেন সিলেট আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ক্ষমা চান। তবে, নির্বাচন কমিশন থেকে এ ব্যাপারে তাকে কোনো শোকজ কিংবা ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছিল গত মঙ্গলবার। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বেষ্টিত অবস্থায় মনোনয়ন জমা দিতে আসেন সিলেট সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের এ মেয়র প্রার্থী। অন্য প্রার্থীরা নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। একই অভিযোগ তোলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। এদিন অবশ্য নিয়ম মেনে কমসংখ্যক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আনোয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার বৈঠকস্থল মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাসের অডিটোরিয়ামে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার অভিযোগ করার মতো কিছু নেই। আমি কারও বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেই না। অভিযোগ করার মতো কিছু দেখিনা। আপনারা সাংবাদিকরা আছেন খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেন। আর যদি আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ই্যয়ে... হয়। তাহলে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’
আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৫ জন আমরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম। এখানে সাংবাদিকরা ছিলেন। অনেক কাউন্সিলর ঢুকে গিয়েছেন। অনেক মানুষ ঢুকে গিয়েছেন। এটাও সত্য কিছু লোক সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু সবাই আমাদের লোক না। একসঙ্গে ঢুকতে গিয়ে সবাই ঢুকে গেছেন।’ ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জানান, ‘আমি ইভিএম নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখি না। যারা ভোট চায় না। যারা নির্বাচন চায় না তারাই এ নিয়ে মানুষের মনে শঙ্কা সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন যারা প্রার্থী আছেন তারা সবাই শক্তিশালী। নির্বাচনে যারা আসে নাই তাদের নিয়ে আলোচনারও কিছু নেই।’ এদিকে- ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল গতকাল শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, কমিশন চাইলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তিনি।’ এদিকে, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে গতকাল সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। মেয়র পদে মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র হাফিজ মাওলানা মাহমুদুুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুন নুর তালুকদার, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন, মো. শাহজাহান মিয়া, মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তাফার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৩ দিনের ভেতর তারা আপীল করতে পারবেন।
৩৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী মতবিনিময়: আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সিলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ। নৌকার জয় নিশ্চিতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস ছোবহানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. গুলশান মিয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক তালুকদার আব্দুস ছোবাহান এবং নজরুল ইসলাম নজুর যৌথ পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সহ-সভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাস, জেলা আওয়াশী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর কমিটির সদস্য সুদীব দে, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এমরুল হাসান প্রমুখ।