ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মত-মতান্তর

অতঃপর ঋণ সমাচার

সৈয়দ সাফিউল হাসান চিশতী

(১০ মাস আগে) ২৪ মে ২০২৩, বুধবার, ৯:২১ অপরাহ্ন

mzamin

কয়েকদিন আগে স্টাটিস্টায় আরন ও’নীলের জিডিপির বিপরীতে মোট জাতীয় ঋণের পরিসংখ্যানটি দেখলাম। ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এই বিষয়টিতে তার পূর্বাভাস রয়েছে। ২০২৩ সালে সেখানে জিডিপির বিপরীতে মোট জাতীয় ঋণ ৪২.০৬ শতাংশ দেখানো হয়েছে। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমি’ও এর কাছাকাছি দেখিয়েছে। এখানে মোট ঋণে দেশের যাবতীয় সব ঋণ অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণের সুদও অন্তর্ভুক্ত। এটি আইএমএফ-এর স্ট্যান্ডার্ড। আইএমএফ অবশ্যই জিডিপির বিপরীতে ৬০শতাংশ পর্যন্ত ঋণকে ঝুঁঁকিমুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ডক্টর আলী রীয়াজ যখন ফরেন পলিসিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটে বলেন, তখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, জানতে ইচ্ছে করে এবং অবশ্যই বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত হয়। ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর আলী রীয়াজ আমার প্রিয় সমালোচকদের মধ্যে একজন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রখ্যাত এ শিক্ষক অর্থনীতির ছাত্র নন, যদিও আমিও পিওর ইকোনমিক্সের ছাত্র না।

বিজ্ঞাপন
তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঋণ নির্ভরতা কি, কেন, স্বস্তির না শঙ্কার, করণীয় কি- এ বিষয়গুলো বুঝতে হলে আপনাকে পিওর ইকোনমিক্সের ছাত্র না হলেও চলবে।

বাংলাদেশের সর্বমোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭,৫৯,০৪৫ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি ৭,১৯,৫৩৯ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণগুলো আসছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, জাপান, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। এদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের সুদের হার অত্যন্ত কম। অভ্যন্তরীণ ঋণের সিংহভাগই সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া, যা জনগণ সঞ্চয় হিসেবে রাখে এবং এর বিপরীতে সরকার ব্যক্তিকে সুদ প্রদান করে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকেও ঋণ নেয়া হয়েছে এবং এর বিপরীতে সুদের হারও অনেক গুণ বেশি। কিন্তু দেশে বিদেশি উৎস থেকে যে ঋণটি আমরা নিচ্ছি তা কোথায় ব্যবহার হচ্ছে। লিটারেলি এর উল্লেখযোগ্য অংশ চলে যাচ্ছে বাজেট ঘাটতি পূরণে। যেমন ২০২২-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা আছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকার মধ্যে বিদেশে অনুদানের সাহায্য থেকে ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

এই যে ঘাটতি সেটা বোঝাও সহজ। ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ পুরো টাকাটা যদি আদায় হয় অর্থবছর শেষে তাহলে ওই পরিমাণ ঘাটতি থাকবে, আর সেটা পূরণ হবে ওইসব উৎস থেকে। কিন্তু রাজস্ব আদায় যদি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করে, বাস্তবিক পরিস্থিতিতে সেটাই ঘটছে যেমন মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ টার্গেট পূরণের জন্য গড়ে প্রতিদিন ১৫৫৮ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। শেষ প্রান্তিকে যদিও আদায় কিছুটা বাড়ে কিন্তু তা কখনোই টার্গেট পূরণ করতে পারছে না। এক্ষেত্রে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হবে বলে ধরে নেয়া যায়।

কিন্তু আইএমএফ এখানে হাজির হয়ে গেল। তারা বলছে, পরবর্তী বছরের টার্গেট থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় করতে হবে। সরকার আপাতত ২০২৩-২৪ সালে তা নির্ধারণ করে রেখেছে চার লাখ ত্রিশ হাজার কোটি টাকা। সেটা নিশ্চয়ই বেড়ে যাবে, কারণ আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের শর্তে এসব বলা আছে। এর প্রথম কিস্তি ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি।

আইএমএফ যদিও বলছে শঙ্কার কিছু নেই। ঋণ জিডিপি অনুপাত ৬০-এর ঘরে না পৌঁছানো মানে ঝুঁঁকিমুক্ত। কিন্তু ২০১০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ঋণ বেড়েছে ১৬১শতাংশ, সুনির্দিষ্টভাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২১৯শতাংশ বেড়েছে, কিছুটা অস্বস্তির কারণ এটা। সমস্যাটা কোথায় দেখুন। ঋণ জিডিপি অনুপাতে বাড়লেও কর জিডিপি অনুপাতে কমছে এবং তা বর্তমানে নয়-এর ঘরে। যেভাবেই হোক সেটা বাড়াতে হবে এবং তা হতে হবে কমপক্ষে ১৭শতাংশ থেকে ১৮শতাংশ। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের কোন বিকল্প নেই। প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়াতে হবে।

তবে আশার কথা ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধে আমরা কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি না। সুদ সমেত তা পরিশোধ করছি। গত কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী মহোদয় বললেন, এ বছর সুদসমেত বৈদেশিক ঋণ বিশ হাজার কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ৬০ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ঋণ আদায় কয়েক গুণ না বাড়ালে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এখানে আপনাকে সুদের হার অনেক বেশি প্রদান করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জুনের শেষার্ধে ব্যাংক থেকে প্রদত্ত ঋণ পুরোপুরি সুদ করে দেয়ার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। পরবর্তীতে নেয়া যেতে পারে। সঞ্চয়পত্র থেকে যে ঋণ নেয়া হচ্ছে, তার সুদের পরিমাণ হ্রাস করতে উদ্যোগী হতে হবে, এমন কি ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রেও। কারণ, করের ক্ষেত্রে স্ল্যাব থাকলে সুদের ক্ষেত্রে কেন নয়? সরকার যে টাকা নিবে তার বিপরীতে নগণ্য সুদ দিবে।

অবশ্য অবশ্যই বিদেশি অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে, ঋণের ক্ষেত্রেও তা। কারণ বৈশ্বিক অর্থনীতির ধারা থেকে আমরা চাইলেও সরতে পারছি না। আজকে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ধারা ঋণনির্ভর বা সুদনির্ভর অর্থনীতিকে উৎসাহিত করছে। ইসলামি অর্থায়ন বৃদ্ধি উৎসাহিত করা যেতে পারে। তবে কোনো কোনো দেশ তা পুরোপুরি মানতে পারছে না। সৌদি, কুয়েত, ব্রুনাই মালয়েশিয়া, কাতার, ইউএই এসব দেশে ইসলামি মুডে অর্থায়ন বেড়েছে। তবে তা মোট অর্থনীতির ২৫ ভাগ অতিক্রম করেনি। এই অর্থনীতি অপচয় রোধ করে, ব্যবসায় শুধু লাভ নয়, ক্ষতির অংশও ব্যক্তিকে ভোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ একটি মাধ্যম হতে পারে। যাকাতনির্ভর অর্থনীতিকে উৎসাহিত করে। অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা সাম্যকে প্রাধান্য দেয়, উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যক্তির অংশগ্রহণ এবং লভ্যাংশে সমান ভাগে উৎসাহিত করে। এ ধরনের অর্থনীতিতে আমরা চাইলেও হয়তো যেতে পারবো না, কিন্তু এই অর্থনীতিগুলোকে অনুসরণ করে ভিন্ন কিছু দীর্ঘমেয়াদে অর্জন সম্ভব।

এবার আসা যাক বিদেশি অর্থায়নের দিকে। ঋণের ঝুঁকি এড়াতে ভেবে-চিন্তে এগুতে হবে। আজকে বিশ্বব্যাংকসহ চারটি ব্যাংক আমাদের নগণ্য সুদে ঋণ দিচ্ছে, ঋণ পরিশোধের সময়সীমাও ২৫-৩০বছর। কিন্তু বিদেশী ঋণ যত বাড়বে, বিশ্বব্যাংক তাদের সুদের পরিমাণ তত বাড়াতে থাকবে। অতিসম্প্রতি অবশ্য ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের অনুষ্ঠানে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫টি প্রকল্পের বিপরীতে ২২৫ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করেছেন। বিশ্বব্যাংকসহ আরো চারটি ব্যাংক আর জাপান ছাড়া কেউ এরকম নগণ্য সুদে আমাদের ঋণ দিচ্ছে না। মোদ্দাকথা প্রথমে আমাদের নজর দিতে হবে সুদবিহীন অর্থায়নের দিকে। যেকোনো বিদেশি বড় ঋণের দুই-একটি কিস্তি যদি সুদবিহীন হওয়া যায়, তবে তা কিছু মাত্রায় অন্তত: ভালো হয়। যেমন আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তিটি সুদবিহীন ছিল। এ ক্ষেত্রগুলোতে অর্থনৈতিক কূটনীতি ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন রপ্তানির ক্ষেত্রসমূহ সম্প্রসারিত করা, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রাষ্ট্র এবং ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে দেন দরবার, পণ্য প্রবেশে অগ্রাধিকার, নি¤œ শুল্কহার, আমদানির ক্ষেত্রে প্রাধান্য নেয়া, ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ কূটনীতি অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে গেছে। যদিও ঋণ কূটনীতির কোন স্বীকৃত পন্থা নেই। চীনের ঋণ ফাঁদ কূটনীতি ঋণ কূটনীতিরই অংশ।

বাংলাদেশ ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করে। জমি অধিগ্রহণ, মাটির গুনাগুন বিশ্লেষণ করে মাটিকে উপযোগী করে তোলা, চুল্লির প্রিপারেশন এসব বাবদ ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়। ২০১৬ সালের এক লাখ কোটি টাকার ঋণ চুক্তি হয় রোসাটমের সঙ্গে। শুধুমাত্র রাশিয়ার আন্তরিকতার কারণে এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়নযোগ্য হয়েছে। প্রথমে পঞ্চাশ কোটি ডলারের মধ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ৪০ কোটি ডলার পরিশোধ করে ফেলেছে। বাকি ১ লাখ+ কোটি টাকা ২০২৭ সাল থেকে পরিশোধ করতে হবে বছরে দুই কিস্তির মাধ্যমে। এই যে কয়েক বছরের গ্রেস পিরিয়ড, বছরে দুইবার ঋণ পরিশোধ করা, চীনের মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধ করা, এসব কিছুই দু’পক্ষের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে আর এটিই ঋণ কূটনীতি।

অন্যদিকে, চীনেরও কয়েকটি বড় প্রকল্প বাংলাদেশে চলমান। শুধুমাত্র দু’টি প্রকল্পে চীনের দুটি ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে। এখানে ২.৭৫শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যদিও বিশ্বব্যাংক ০.৭৫শতাংশ সুদে আমাদের ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু এ দু’টি প্রকল্পের বাইরের প্রকল্পগুলোতে উচ্চ সুদ হার, চীন থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু উপকরণ ও যন্ত্রপাতি কেনার বাধ্যবাধকতা, এ বিষয়গুলোর কারণে একে ঋণ ফাঁদ বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নেগোসিয়েশনের জায়গাটা এখানেই।

আবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, যা জাইকার সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে। এখানে জাইকার ঋণের সুদ এবং গ্রেস পিরিয়ড, আবার মেট্রোরেলের এমআরটি ৬-এ জাইকার ঋণের সুদ এবং গ্রেস পিরিয়ড অবশ্যই সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য ভালো। মাতারবাড়িও যৌথ বিনিয়োগের প্রকল্প।

দেশের অর্থনীতিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে মেগা প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া হয়। পদ্মাসেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা তা অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের। দেখুন ফিডব্যাকও কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে। ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত টোল থেকে এসেছে ৬০৩ কোটি টাকা। পায়রা বন্দর নিয়েও যথেষ্ট সমালোচনা দেখা গেছে। কারণ পুরো টাকাটাই রিজার্ভ থেকে নেয়া। ইতিমধ্যে বড় জাহাজ ভিড়তেও শুরু করেছে এখানে। বিদেশী কয়েকটি রাষ্ট্র ইতিমধ্যে এখানে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে। দেশে চলমান ২০টি মেগা প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে বিদেশি ঋণ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকী অর্থের সংস্থান অভ্যন্তরীণ উৎসের। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি এত বড় বিনিয়োগ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে হবে। কিন্তু তা কোনোভাবেই যেন অর্থনীতির ওপর চাপ না হয়ে যায়। কারণ মোট বাজেটের এক তৃতীয়াংশ যাচ্ছে এ প্রকল্পগুলোতে। যেসব প্রকল্প ২০১৪ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে নেয়া হয়েছে সেগুলোর গ্রেস পিরিয়ড বৃদ্ধি করা, কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, সুদের পরিমাণ হ্রাস করার ন্যুনতম সুযোগ থাকলে সেটাও ব্যবহার করা উচিত। আরেকটি বিষয় প্রকল্প শুরুর পর ড্রয়িং, ডিজাইন জনিত কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি এ বিষয়গুলোও এড়ানো উচিত। শুধুমাত্র ভেরিয়েশন জনিত কারণে গত অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে।

ঋণ কূটনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দেন-দরবারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বাণিজ্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও থাকবেন। কিন্তু বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে ঋণ কূটনীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রস্তাবটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে হতে হবে, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সঙ্গে থাকবেন। পরবর্তীতে ঋণ গ্রহণকালে এ বিষয়গুলো বিবেচনার আশা রাখছি।

লেখক: আহ্বায়ক, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ (একটি আন্দোলন)
ইমেইল:[email protected]
 

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

   

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবদলই সরকার সমর্থিত / ভোটের মাঠে নেই সরকারি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো বিরোধীদল

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status