ঢাকা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

মত-মতান্তর

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন কি প্রযুক্তি দ্বারা প্রভাবিত হবে?

ফজলে রাব্বী খান
১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
mzamin

নির্বাচন রাজনৈতিক নেতাদের কারবার হলেও নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ সেবা বা ‘ইলেক্টোরাল কনসালটিং’ সেবার ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯২০-৩০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম পলিটিক্যাল কনসালটেন্টের আবির্ভাব হয়। সেসময়ে মূলত প্রিন্ট মিডিয়া, রেডিও এবং সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় কৌশলী সহযোগিতা প্রদানই ছিল রাজনৈতিক পরামর্শকের মূল কর্মপরিসর। ১৯৫০-৯০ সাল নাগাদ ‘পলিটিক্যাল কনসালটিং’ ব্যক্তি পর্যায়ে পরামর্শ প্রদানের গণ্ডি পেরিয়ে ‘কনসালটিং ফার্ম’ হিসেবে রূপ লাভ করতে থাকে এবং ক্রমশ তা মার্কিন মুল্লুকে ইন্ডাস্ট্রি বা শিল্পে পরিণত হয়। এ সময়ে তাদের কলাকৌশলে যুক্ত হয় টিভি বিজ্ঞাপন, মিডিয়া হ্যান্ডেলিং, ওপেনিয়ন পোল, অপজিশন রিসার্চ ইত্যাদি। ২০০০ সালের পর থেকে এ খাতে আসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ‘পলিটিক্যাল কনসালটিং’ সেবায় এ সময় ডেটা এবং ডিজিটাল যুগের সূচনা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বারাক ওবামা পৃথিবীর বুকে শুরু করেন নতুন এক অধ্যায়ের, তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত করেন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন, ডেটা এনালেটিক্স এবং মাইক্রো টার্গেটিং গ্রুপের মতো অভাবনীয় সব ধারণার। 

২০১০ সালের পর থেকে পলিটিক্যাল কনসালটেন্টদের নতুন হাতিয়ার হিসেবে যুক্ত হয় ‘বিগ ডেটা’র ব্যবহার। ২০১৬ সালে ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের ক্ষেত্রে ক্যামব্রিজ এনালেটিকা নামের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক ব্যবহারকারী ভোটারদের ডেটা লিকের ঘটনা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ সময় ব্যবহারকারীদের ডেটা থেকে ‘সাইকোগ্রাফিক প্রোফাইল’ তৈরির মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারকে তাদের মনস্তত্ত্ব ও পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে আলাদা আলাদাভাবে টার্গেটেড ক্যাম্পেইন করা হতো। পশ্চিমা বিশ্বে নির্বাচনে প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন হরহামেশাই হচ্ছে। 

বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভারতেও ‘পলিটিক্যাল কনসালটিং’ বেশ শক্তিশালী সেক্টর হিসেবে গড়ে উঠেছে। প্রশান্ত কিশোর বা সুনিল কানুগোলুর মতো নির্বাচন কৌশলীরা ডেটা এনালেটিক্স, গ্রাউন্ড রিসার্চ, ডিজিটাল মিডিয়া বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতেও নির্বাচনী যুদ্ধে এনেছে নতুন দিনের ছোঁয়া। বিজেপি, কংগ্রেস, আম-আদমি পার্টি বা ডিএমকে-এর মতো দল সবাই কমবেশি নির্বাচন জয়ের জন্য পলিটিক্যাল কনসালটেন্টদের পেছনে ছুটছে। প্রশান্ত কিশোরের প্রতিষ্ঠান আইপ্যাকের বদৌলতে ২০১৪ সালে বিজেপি’র অভাবনীয় জয়ের পর থেকেই ভারতে এই সেক্টর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।  

প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্বব্যাপী পলিটিক্যাল কনসালটিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এই সেক্টরে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি কেন? এর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে বিগত ১৫ বছরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে। কার্যত ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, বরং নির্বাচনের নামে প্রহসন ও কলঙ্কজনক ভোট ডাকাতি ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একেবারেই খর্ব করা হয়। সরকারের কর্তৃত্ববাদী আচরণে ভোটে জিততে জনগণের রায়ের প্রয়োজন হয়নি। এসব কারণেই নির্বাচন যে একটি প্রতিযোগিতা ও জনগণের সমর্থন আদায় করেই তা এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে হয়, এই ধারণাকেই কবর দেয়া হয়েছে এবং নির্বাচনে জয়ের জন্য কৌশলী পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি। ফলশ্রুতিতে বহির্বিশ্বসহ পার্শ্ববর্তী গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে এই পলিটিক্যাল কনসালটিং ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গড়ে উঠলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা সম্ভব হয়নি।  

বাংলাদেশে পলিটিক্যাল কনসালটিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে কিনা তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো দু’টি প্রশ্নের মাধ্যমে। প্রথমত, বাংলাদেশের জনমিতিক কাঠামোর স্বরূপ কেমন? এবং দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব ও এর ভবিষ্যৎ গতিধারা কেমন হতে পারে?  

বাংলাদেশের জনমিতিক কাঠামোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, আমাদের ‘পপুলেশন পিরামিড’টি যথেষ্ট তারুণ্যনির্ভর। বিবিএস’র তথ্যমতে, (এসভিআরএস ২০২৩) বাংলাদেশে ১৫-৩৯ বছরের জনগোষ্ঠীর আকার প্রায় ৪০.৮৮%। এই জনগোষ্ঠীকে প্রো-অ্যাকটিভ হিসেবে বিবেচনা করলে রাজনীতি বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের ক্ষেত্রে এরাই অন্যতম ক্রিয়ানক। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর (১৫-৬৪ বছর) আকার প্রায় ৬৫.৮%। তারুণ্যনির্ভর জনমিতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি, উৎপাদন ও রাজনৈতিক পরিসরে বিশেষ গতিশীলতার সঞ্চারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৩৩-৪০ সাল থেকে বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের প্রভাব স্তিমিত হতে শুরু করবে। তখন থেকে বাংলাদেশের জনমিতিতে বার্ধক্যের প্রভাব পড়তে শুরু করবে, কিন্তু এর আগ পর্যন্ত জনমিতিতে তারুণ্যই প্রভাব বিস্তার করবে। ভোটের হিসাবে বাংলাদেশে এখন ভোটার সংখ্যা ১২.৩৬ কোটি, সর্বশেষ হালনাগাদে নতুন যুক্ত হয়েছে ১৮.৩৩ লাখ ভোটার। বাংলাদেশের মোট ভোট ব্যাংকের একটি বড় অংশও তারুণ্যনির্ভর। 

আমরা যদি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাই, অর্থাৎ বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব ও এর ভবিষ্যৎ গতিধারা কেমন হতে পারে? এর উত্তর লুকিয়ে আছে বর্তমান জনমিতির আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও মনস্তত্ত্বের ভেতরে। বাংলাদেশের তারুণ্যনির্ভর জনগোষ্ঠীর বড় অংশই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিচরণশীল। বাংলাদেশের নেটিজেন বিষয়ক বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট রেজিস্ট্রার্ড মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় ১৮.৬ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি, এর মধ্যে ১১.৬ কোটি মানুষ মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে দিনে অন্তত একবার ইন্টারনেটে প্রবেশ করেন শতকরা ৭৫.৪% ব্যবহারকারী। এই বিপুল নেটিজেনরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমে যুক্ত। মার্চ ২০২৫ এর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬.৭ কোটি, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩৭.৬%। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বড় অংশই তরুণ, ১৮-২৪ বছর বয়সী ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.৩ কোটি। বাংলাদেশে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম নয়, প্রায় ৪.৪৬ কোটি। 

এ সকল পরিসংখ্যান আভাস দেয় আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর বড় অংশ প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবিত। চলমান সময়ের নেটিজেনদের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বের দিকে আলোকপাত করলে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পদচারণা সব থেকে উল্লেখযোগ্য। বিশেষত জুলাই অভ্যুত্থানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইন্টারনেটভিত্তিক বার্তা আদান-প্রদান ইত্যাদির ব্যাপক ব্যবহার থাকায় অভ্যুত্থান পরবর্তী সমাজ ব্যবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব গড়ে উঠেছে। বর্তমানে কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক ইস্যুকে ঘিরে মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক আন্দোলন গড়ে উঠছে, পরবর্তীতে তা আবার ক্লাউড বা বাস্তবিক জনসমাগমে রূপ লাভ করছে। বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক ইনফ্লুয়েন্সারদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের ভাইরাল ভিডিও মুহূর্তেই জনমত সৃষ্টি করছে। সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক বিভিন্ন গ্রুপ বা ইনফ্লুয়েন্সাররা এখন ‘ডিজিটাল প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।    

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক নেটিজেন বা ডিজিটাল প্রেশার গ্রুপের অভাবনীয় উত্থানের বিপরীতে একটি শঙ্কাজনক প্রেক্ষিতও রয়েছে। ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রতিপক্ষকে ভয়ানকভাবে বুলিং বা অসত্য-অর্ধসত্য তথ্য প্রচার করে প্রতিপক্ষের ক্যারেক্টার এসাসিনেশন চরিত্র হনন প্রকট আকার ধারণ করেছে। একইসঙ্গে উত্থান ঘটেছে ফেইক আইডি বা বট আইডির মাধ্যমে দলবেঁধে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অশোভন চর্চার। মূলত এ ধরনের অপকৌশল ভিন্নমত দমন, পক্ষান্তরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার ডিজিটাল সংস্করণ।  সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে ‘ডিপ ফেইক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরির প্রারম্ভিক সূচনা। এটি আলামত দেয় ভবিষ্যতে ন্যারেটিভ তৈরি ও প্রোপাগান্ডার ক্ষেত্রে ‘ডিপ ফেইক’ বড় পরিসরে জায়গা করে নেবে।   

গত এক দশকে বিগ ডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, সেন্টিমেন্ট এনালাইসিস, ক্লাউড কম্পিউটিং ও ডেটা এনালিটিক্সসহ অন্যান্য ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে নির্বাচন পরিচালনার ধরনই বদলে গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রচারণা এখনো মূলত প্রচলিত প্রচারণা ধ্যান-ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ যেখানে পোস্টার, মাইকিং, জনসভা এবং তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের জনসংযোগের মাধ্যমে ভোটারদের যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের জনমিতিক বৈশিষ্ট্য, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও বর্তমান রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব ইঙ্গিত দেয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রযুক্তির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতির চূড়ান্ত রূপ অর্থাৎ নির্বাচনেও এর ব্যাপক পরিসরে ব্যবহার সদাসন্ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের মধ্যেও প্রযুক্তিনির্ভর ন্যারেটিভ সৃষ্টি এবং জনসম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা ও প্রারম্ভিক পদচারণা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধারণা করা যায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এ দেশে পলিটিক্যাল কনসালটিং সেক্টরের উন্মেষ ঘটবে। রাজনৈতিক শক্তিগুলো ক্রমশ ‘টেক ড্রিভেন ডেমোক্রেসি’ বা প্রযুক্তিনির্ভর গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হবে। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ চর্চা আরও ব্যাপকভাবে পাকাপোক্ত হবে। পরবর্তীতে হয়তো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও আমরা এক ব্যাপকতর ভূমিকা প্রত্যক্ষ করতে পারি।  

রাজনীতিতে এই প্যারাডাইম শিফটের ফলে গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি কেমন হবে? এর সবটুকুই কি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে? এ ধরনের প্রশ্ন আসতেই পারে। দুষ্টু বুদ্ধির মানুষ এই প্রযুক্তিভিত্তিক রাজনীতিকে ভুলপথেও ধাবিত করতে পারে, সেই শঙ্কা এবং উদাহরণও রয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, দীর্ঘদিন গণতন্ত্র বিবর্জিত বাংলাদেশে ‘টেক ড্রিভেন ডেমোক্রেসি’ অন্তত রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে জনসমর্থন আদায়ের প্রতিযোগিতাই সৃষ্টি করবে। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশে গুণগত পরিবর্তন আসবে, এমনটা আমরা আশা করতেই পারি!    

লেখক: প্রকৌশলী ও কলামিস্ট 
[email protected]

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status