ঢাকা, ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

সম্পাদক পরিষদের আলোচনা সভা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সাংবাদিক সুরক্ষায় ধারা যুক্তের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
৩ মে ২০২৩, বুধবার
mzamin

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো আপত্তি থাকলে আইনটি সংশোধন করে সাংবাদিক এবং মুক্ত মত প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না- এমন ধারা যোগ করার আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার জন্য নতুন আইনেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এ ছাড়া স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেসব আইন প্রক্রিয়াধীন আছে, সেগুলো এখনই স্থগিত করতে হবে। 

আজ বিশ্বব্যাপী বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকল প্রকার মানবাধিকারের চালিকাশক্তি’ শীর্ষক সভায় এই দাবি জানান পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক ও দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন। এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিকসহ মত প্রকাশের ব্যাপারে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা হচ্ছে। শুধু আইনেই নয়, সরকার, প্রশাসনসহ নানাভাবে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য করা হয়েছে। তাহলে সেখানে এটা যুক্ত করা হোক, এই আইন সাংবাদিকদের ওপর প্রয়োগ করা হবে না। সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য যদি এই আইন ব্যবহার করা হয়, তাহলে তো অন্যকথা। কিন্তু এখন স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর ব্যবহার করা হচ্ছে, মত প্রকাশের ওপর ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই এটা বাতিল করা হোক। অথবা সেখানে একটা ধারা যুক্ত করা হোক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর প্রয়োগ করা হবে না। এটা আমরা অফিসিয়ালি আপনাকে (সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু) প্রস্তাব দিচ্ছি।

মাহফুজ আনাম বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে যেসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলা করা হয়েছে তা যেন বাতিল করা হয়। এ আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে সাংবাদিকতায় যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, আমরা কিছু লিখতে দ্বিধাগ্রস্ত, সেলফ সেন্সরশিপের মধ্যে বাস করি; ভয়ের মধ্যে যে সাংবাদিকতা এটাতে আমরা থাকতে চাই না।
সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় পজেটিভ একটা আইন হতে পারে। সেটা আমাদের সংবিধানে ৩৯ অনুচ্ছেদে আছে। সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো  হলো-
১. স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেসব আইন প্রক্রিয়াধীন আছে, সেই প্রক্রিয়া এখনই স্থগিত করা। আইনগুলোর মধ্যে যেসব ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ব্যাহত করতে পারে, সেগুলো আইন থেকে বাদ দেয়া।
২. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। আর যদি তা বাতিলে সরকারের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাহলে এমন একটি ধারা যুক্ত করতে হবে, যেখানে বলা থাকবেÑ এই আইন গণমাধ্যম, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য প্রযোজ্য নয়। সাংবাদিকতার কারণে আজ পর্যন্ত যেসব মামলা করা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুক্তি দিতে হবে।
৩. যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, সেটি সরকার উদ্যোগী হয়ে যেন একেবারেই মুছে ফেলে।
৪. সাংবাদিকতার সুরক্ষার জন্য আইন হতে পারে, যা সংবিধানের চেতনার মধ্যে রয়েছে। আর হুইসেল ব্লোয়ারদের রক্ষা আইন করা।

অনুষ্ঠানে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি মনে করি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল নয়, সংশোধন করা হোক। আইনমন্ত্রী যখন বলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে এখানে কিছু সমস্যা আছে। আমি সরকারকে বলবো এটার সংশোধনী করতে হবে। অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। মামলা হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। অবশ্যই এই আইন পর্যালোচনা করতে হবে। আমি সরকারকে বলবো- আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিয়ে এটি সংশোধন করুন, গণমাধ্যমবান্ধব করুন। সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোথায় কোথায় সংশোধন করতে হবে সেগুলো করে দেন। সাইবার জগতের নিরাপত্তা বিধান করুন। আবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও যেখানে যেখানে সংশোধন করা দরকার সেটা করুন। এটা ঝুলিয়ে রাখা ঠিক না। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রশ্ন তুলে বলেন, কিছু গণমাধ্যম রাজাকারের পক্ষে, সামরিক শাসনের পক্ষে কাজ করছে। গণতন্ত্রবিরোধীদের পক্ষে কথা বলছে। এটা কি স্বাধীনতার পক্ষে যায়? 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের একমাত্র বিপদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়। মুক্ত গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ কতোটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করছে নাকি অন্য কিছু আছে সেটা আপনারা বলুন। করপোরেট হাউজ, মালিক পক্ষ, সম্পাদকরা, আন্তর্জাতিক সেক্টর, গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকার কতোটা করে সেগুলো বলুন। এর বাইরে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসন, বিভিন্ন বাহিনী ও মালিকপক্ষ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, গণমাধ্যমকে তা নিয়ে ভাবতে হবে। বিজ্ঞাপন আসবে না, তাই অনেক ক্ষেত্র নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন না আপনারা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কোনো দরকষাকষি চলতে পারে না। সাইবার জগতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, একই সঙ্গে বাকস্বাধীনতাও নিশ্চিত করতে হবে। বক্তব্যের শুরুতে সবার অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, নূরুল কবীর বলেছেন- সেই ইনু ভাই আজকের ইনু ভাই এক নয়। আমাকে চিনতে পারছেন না। আসলে এতে আমি বিব্রতবোধ করছি না। 

সমাপনী বক্তব্যে হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যের কিছু অংশের বিরোধিতা করেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ‌ফুজ আনাম। কোন কোন গণমাধ্যম অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করেছে, সামরিক শাসনের জন্য কাজ করে সরকারকে বিব্রত করেছে, তার প্রমাণ চান তিনি। গণমাধ্যম সম্পর্কিত আইনগুলোতে সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান ডেইলি স্টারের সম্পাদক। মাহফুজ আনাম বলেন, ২০১৮ সালে আইন প্রণয়নের সময় বলা হয়েছিল- এগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না। কিন্তু পাঁচ বছর পর আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ আইন প্রয়োগ হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুক্ত গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর রোধ করে এমন ৯টির মতো আইন বর্তমানে দেশে কার্যকর রয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত প্রেস কাউন্সিল আইনসহ এ ধরনের আরও ৪টি আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, আমার এখন কথা বলতে ভয় লাগে। কারণ মিস ইন্টারপ্রেট (ভুল ব্যাখ্যা) করা হয়। তিনি বলেন, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ আজ নতুন কিছু না। যুগে যুগে সব শাসকরাই সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করে এসেছেন। বিভিন্ন সময় ইত্তেফাক পত্রিকাও বন্ধ করা হয়েছিল। সবসময় যারা রাষ্ট্র চালায় বা যাদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তাদের দ্বারাই কণ্ঠরোধ করা হয়। আমরা বাঙালিরা সবসময়ই সংগ্রাম করেছি, করে যাচ্ছি। সংগ্রাম চলবে। 

অনুষ্ঠানে সমকালের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পেশাজীবী হিসেবে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও ঐক্য দরকার। আজকে স্বাধীন সাংবাদিকতা বিপন্ন হয়েছে। সাংবাদিকতা পেশাই আজ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এটা রক্ষা করতে হলে সাংবাদিকদের ঐক্য হওয়া দরকার। পাকিস্তান আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও আমাদের সেই লড়াই করতে হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তৈরি করা হয়েছে ভয় দেখানোর জন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, সাংবাদিকদের অবস্থা এখন করুণ। তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে; একটা আইন করে, আর এটা করা হয়েছে খুবই সূক্ষ্মভাবে। আমাদের মধ্যে যে বিভাজন এটা দূর হবে কিনা সন্দেহ আছে। আমরা দেখেছি, অনেক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক পক্ষ দাঁড়ায়, আরেক পক্ষ কিছুই বলে না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সরকারের মধ্যেও একটা অস্বস্তি তৈরি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটা আইনমন্ত্রী বারবার বলছেন, কতোগুলো ধারা আছে সেগুলো অস্বস্তি তৈরি করছে। এটা সংশোধন করা দরকার। এটা যদি সরকার ভেবে থাকে তাহলে তা তাড়াতাড়ি সংশোধন করা উচিত। তারা বলছে- এটা সংশোধন করবে, কিন্তু করছে না।
নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, যারা মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করতে চায় ও স্বচ্ছভাবে দেশের অসঙ্গতিগুলো পত্রিকায় তুলে ধরতে চায় তারাই এর (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ভিকটিম। একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে ভিন্ন মত পোষণ করা যায় না। তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক আমলে যে আইনগুলো ছিল সেগুলো এখনো আছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সামনের সারিতে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হাসানুল হক ইনু। উনাকে এই অলোচনা সভায় পেয়ে আমি একটু অবাক হয়েছি। সম্পাদক পরিষদের যে মিটিংয়ে উনাকে আনবার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই বৈঠকে আমি ছিলাম না। থাকলে বিরোধীতা করতাম। কারণ সেই ইতিহাস আমি জানি। ৮০’র দশকে আমি যখন স্বৈরতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলাম, তখন উনারা জাতীয় পর্যায়ে সংগ্রাম করছেন তাদের ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে। তখন যারা সংগ্রাম করেছেন তারা ছিলেন সবচেয়ে সাহসী ও ত্যাগী ছাত্র কর্মী। স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ও একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যে ইনু ভাইকে দেখেছি। আজকের সেই ইনু ভাইকে আমার অচেনা লাগে। করণে যে আইনটাকে নিয়ে আজকে আলোচনা, তার সময়েই এটা বাস্তবায়ন হয়েছে। এই ইনু ভাইকে আমি চিনি না। 

তিনি বলেন, আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে, কিন্তু কিছুই বদলায়নি। এ আইন হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী, এমপি পর্যায় থেকে বারবার বলা হয়েছে সংশোধন করা হবে, কিন্তু হয়নি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সঙ্গে নিয়ে জনগণকে সমন্বয় করে আন্দোলন করতে হবে। যে আইনের জন্য সবাইকে ভুগতে হচ্ছে, অনুনয় করে লাভ হবে না। 

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে বলা আছে, কিন্তু কীভাবে ক্ষমতাসীনেরা বিরক্ত হবেন না, সেটার ব্যাখ্যা পরিষ্কার করা নেই। যে কারও বিরুদ্ধে যেকোনো সময় ডিএসএ’তে মামলা হতে পারে।

সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বড় বড় দেশে যখন কোনো আইন হয় তখন ছোট দেশগুলোতে সেটার কপি হয়। কতিপয়ের কাছে অধিকাংশ গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ। তেমনি নানা ধরনের আইন ও বিধিনিষেধ মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮৩ শতাংশ ভুক্তভোগী হচ্ছে নারীরা। আর ২৭ শতাংশ ভুক্তভোগী হচ্ছে সাংবাদিকরা।

 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

রাস্তায় রাস্তায় ট্যাংক/ হামাস-ইসরাইল তীব্র লড়াই

সমমনাদের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক/ যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতকে নেয়ার পরামর্শ

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status