শেষের পাতা
জেলা শিক্ষা অফিসের জরিপ
ঝিনাইদহে এসএসসি পরীক্ষার আগেই ২১৩ ছাত্রীর বিয়ে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারবাল্যবিবাহ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসনে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। এসএসসি পরীক্ষার জন্য ২১৩ জন ছাত্রী ফরম পূরণ করেও তারা পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত ছিল। এত ছাত্রী কেন অনুপস্থিত সে বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসের এক জরিপে বাল্য বিবাহের এই চিত্র উঠে আসে। ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ১৫ নারী শিক্ষার্থীর ১৫ জনই বিয়ের কারণে পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত ছিল। প্রশ্ন উঠেছে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির তৎপরতা নিয়ে। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসের পাঠানো জরিপের তথ্য থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত এসএসসি পরীক্ষায় ৬০ জন ছাত্রী হলে অনুপস্থিত ছিল। এরমধ্যে ৪৬ জন বিয়ের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি। একইভাবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় অনুপস্থিত ১৯ জন নারী পরীক্ষার্থী মধ্যে ১৪ জন, মহেশপুরে অনুপস্থিত ৬৮ জনের মধ্যে ৫০ জন, শৈলকুপায় অনুপস্থিত ৭১ জনের মধ্যে ৪১ জন, কোটচাঁদপুরে অনুপস্থিত ২৫ জনের মধ্যে ২০ জন ও কালীগঞ্জে ৭২ জন নারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪ জন পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত ছিল। জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, শৈলকুপার ফাজিলপুর পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩৫ জন নারী পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এরমধ্যে ১৪ জনই বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।
শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৫ জনের মধ্যে ৪ জন, গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন, শৈলকুপা রাহাতন নেছা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৮ জনের মধ্যে ৫ জন, কাতলাগাড়ি কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৩ জনের মধ্যে ২ জন, বাগুটিয়া গোপালপুর কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৫ জনের মধ্যে ৪ জন ও উমেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৩ জনের মধ্যে ২ জনের বিয়েজনিত কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি।
এই লেখাপড়া শিখে তারা কোনো চাকরি পাবে না। শুধু টাকা আর সময় নষ্ট তার থেকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি এখন তারা সংসার করবে সেটাই ভালো। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা রুরাল ডেভলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী প্রধান আব্দুর রহমান জানান, এসএসসি পরীক্ষার পর বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে যাওয়ার বিষয়টি তিনি তুলেছিলেন। ওই সভায় জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিস ৬ উপজেলায় জরিপ চালিয়ে বাল্য বিয়ের এই সত্যতা পান। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে রোধ করতে না পারা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। শৈলকুপা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা খানম বলেন, এই বিয়ের বিষয়ে প্রশাসনের বিন্দুমাত্র গাফিলতি নেই। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটিতে যারা আছেন সবাই খুবই আন্তরিক। কিন্তু গোপনে ও স্থান পরিবর্তন করে বিয়ে দেয়ার কারণে এ সব খবর আমরা জানতে পারিনি। তিনি বলেন, তরপরও এই ব্যর্থতা তো আমাদেরই। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার নাজমা সামাওয়াত বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের পাঠানো তথ্য মোতাবেক এই রিপোর্ট তৈরি করে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাতে অনুপস্থিত ৩২৪ জন নারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১৩ জনের বিয়ে হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এসএসসি পাশ করতে এখন ১৬ বছর পার হয়ে ১৭ বছরে পা রাখে এইচএসসি পরীক্ষার সময় ১৯ বছর হওয়ার কথা কেউ সার্টিফিকেট বয়স কম দেখালে ভিন্ন কথা। এই বয়সে বিয়ে দিবে কিনা সে বিষয় বিবেচনা করবে অভিবাভক'রা তবে আমি উচ্চ শিক্ষার পক্ষে। এখানে উল্লেখ্য অনেক মেয়েরাও বিয়েতে আগ্রহী থাকে। ২০ কোটী জনসংখ্যার দেশে ২১৩ মেয়ের বিয়ে এটা কোন বড় বিষয় নয় আমি মনে করি। আমি আমার মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়েছি সব অভিবাভকের দৃষ্টি ভঙ্গী এক রকম হবেনা এটাই স্বাভাবিক।
২১৩ জন অবৈধ যৌন সম্পর্ক হতে বেঁচে গেছে।
যাক আল্লাহ তায়া’লা ওদের কে ভালো গৃহিণী হবার মর্যাদা দান করুন।
বাহ! বাহ! ১৫,১৬ বছরের মেয়েদের বিয়ে হলে মহাপাপ হবে । তাই অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত বাল্যবিবাহ বন্ধ করা । কিন্ত এই মেয়েরাই যখন পরকীয়া করবে তখন শুধু নেকী আর নেকী,যা পরকালে আমাদের অনেক কাজে আসবে।
১০ টাকার জিনিস এখন ৬০ টাকা আর এরা আছে ১৬ বছরের মেয়ে বিয়ে করছে কিনা এইটা দেখতে। ১৬ বছরের মেয়ে প্রেম করে সেক্স করতে পারলে বিয়ে কেন করতে পারবে না? হুদাই কমেন্ট করলাম কারন এপ্রুভ হবে না।