শেষের পাতা
রাস্তায় রাস্তায় ট্যাংক
হামাস-ইসরাইল তীব্র লড়াই
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবাররাস্তায় রাস্তায় ইসরাইলি ট্যাংক। আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলা। স্থল বাহিনী অবস্থান নিয়েছে সড়কে সড়কে। তা উপেক্ষা করে রাফায় ইসরাইলি সেনাদের মুখোমুখি তীব্র লড়াই করছে গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। তাদের হামলায় ইসরাইলের কমপক্ষে ৫০ জন সেনা আহত হয়েছে। এ খবর দিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম। তিনি মধ্য গাজার দিয়ের আল বালাহ থেকে বলেন, রাফা সিটির উত্তরাঞ্চলে তীব্র লড়াই চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। তার মধ্যদিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ট্যাংক গাজার ভেতর প্রবেশ করেছে। তারা অবস্থান নিয়েছে আল জনাইনা এবং আস-সালাম এলাকায়। সেনাবাহিনীর ট্যাংক গাজার যত ভেতরে প্রবেশ করছে লড়াই তত তীব্র হয়ে উঠছে। এসব এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বাধার মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। তাদেরকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ট্যাংকবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুখে দেয়ার চেষ্টা করছে গাজার মারমুখী যোদ্ধারা। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার লড়াইয়ে তাদের কমপক্ষে ৫০ জন সেনা আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরাইলিরা যুদ্ধকে আরও ছড়িয়ে দিতে এবং লড়াই আরও তীব্র করার পথ করে নিচ্ছে। ওদিকে দক্ষিণের রাফায় অবস্থিত কুয়েতি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল স্টাফদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্কতা দিয়ে বলেছে, অল্প কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়তে পারে। গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় তীব্র লড়াই হচ্ছে। রোববার দিবাগত রাতভর সেখানে আকাশ থেকে হামলা চালানো হয়েছে। রাফায় অভিযান চালানোর খবরে কমপক্ষে তিন লাখ ৬০ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সরে গেছে বলে তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। গাজার উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি দক্ষিণের এ শহরেও হামলা বিস্তৃত করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছে মিশর। ওই মামলায় ইসরাইল ‘জেনোসাইড কনভেনশনে’র অধীনে বাধ্যবাধকতাকে লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা পরিচালিত ৬টি স্কুলে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত কয়েক শত পরিবারকে সরে যেতে বাধ্য করে। গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ওই স্কুলগুলোতে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল ওইসব মানুষকে। সেখান থেকে উৎখাত হয়ে দলে দলে মানুষ পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন। ওদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা এক্সে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, খান ইউনুসে এই সংস্থার স্কুলগুলোকে ফিরছে কিছু পরিবার ও তাদের সন্তানরা। কিন্তু তা এখন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই শহরে কোনো পানি নেই। ওদিকে লেবানন থেকে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে ইসরাইলে। এতে চারজন সেনা আহত হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই ট্যাংক সীমান্ত অতিক্রম করে লেবাননের দক্ষিণে প্রবেশ করেছিল। গত বছর ৮ই অক্টোবর থেকে নিয়মিতভাবে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী এবং ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে গোলা বিনিময় হচ্ছে।
আল্লাহ পাক কাফের ইসরাইলী বাহিনীর উপর মুসলিমদের বিজয়ী করুন। আমীন।
হে আল্লাহ হামাস বাসীদের মাফ করে দিন। তাদের জন্য বিজয় এনে দিন। ইসরাইলীদের ধ্ব্অস করে দিন।
ইসরাইল এটাই চেয়েছিলো যাতে হামাস সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
মহান আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না হে আকাশ ও জমিনের মালিক সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ আপনি বলেছেন আপনি মজলুমের পাশে জালিমের ধ্বংস আপনার হাতে আপনার পবিত্র ঘর বায়তুল মুকাদ্দস মুসলমানদের প্রথম কেবলার জন্য জিহাদে আপনার বিজয় দান করুন আপনার সাহায্য এ বিজয় অসম্ভব আপনি মজলুমের পাশে সাহায্য করুন আমিন।
হামাস জিন্দাবাদ, ইসরাইল নিপাত যাক।
জুলুমের পরিণতি ভালো হবে না, মজলুমের ফরিয়াদ বৃথা যাবে না। অবশ্যই ইসরাইল তাদের কর্মের উচিত শিক্ষা পাবে। আল্লাহ তায়ালা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। হামাস জিন্দাবাদ, ইসরাইল নিপাত যাক।
বিজয় হামাসের হবে ইনশাআল্লাহ।
বিজয় হামাসের হবে ইনশাআল্লাহ।
বিজয় হামাসের হবে ইনশাআল্লাহ।
বিজয় হামাসের হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ মজলুম জনগোষ্ঠি ফিলিস্তিনির জনগণের উপর তোমার খাস রহমত নাযিল করো। এই ফিলিস্তিনি জনগণকে তুমি তোমার দ্বীনের জন্য কবুল করো এবং তাদেরকে এই বর্বর ইসরাইলের হামলা থেকে রক্ষা করো।