অনলাইন
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি
প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদের অপসারণ দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের
অনলাইন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৭ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‘বিকৃতিমূলক লেখনীর’ অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদের অপসারণ দাবি করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ দাবি করে সংগঠনটি। শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও ‘সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ’-এর পরিচালক প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ তার ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ বইয়ের ৪০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিজে হাজির হয়ে বঙ্গবন্ধুকে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শুনেছেন। ওই বইয়ে প্রফেসর ইমতিয়াজ বোঝাতে চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘প্রফেসর ইমতিয়াজ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘একটি মৌলিক প্রশ্ন হলো, আসলেই কি ত্রিশ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছিল, না কি মৃতের সংখ্যা কম ছিল?’ তার এমন দুঃসাহসিক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ লেখনীর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার অপরাধে প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। জানতে চাইলে প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘বক্তব্যটি সম্পর্কে ভুল বুঝেছে। যে বই নিয়ে তারা অভিযোগ তুলেছে, সেটি ১৪ বছর আগের।
পাঠকের মতামত
It is not necessary for everyone to accept only Awami League version of history.
কত পরিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান,দয়া করে কেই জানাবেন কি?
কারো মতামতের সাথে আমার মতের মিল নাও থাকতে পারে। তাই বলে তাকে ধ্বংস করতে হবে, অপসারণ করতে হবে, তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতে হবে এগুলো স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
Government could publish list of sahid but they did not.
কারো মতামতের সাথে আমার মতের মিল নাও থাকতে পারে। তাই বলে তাকে ধ্বংস করতে হবে, অপসারণ করতে হবে, তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতে হবে এগুলো স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
শহীদের সংখ্যা ত্রিশ হোক কিংবা ত্রিশ লক্ষ হোক,আমাদের এই আত্মত্যাগ জাতির গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। কিন্তু,যে সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে,সেই সংখ্যাটা কি কোন স্বীকৃত সংস্থা দ্বারা জরিপকৃত,নাকি অনুমান নির্ভর,নাকি কোন ব্যক্তির ঘোষণা? ইতিহাসের এই চরম সত্যটি জাতির সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রকাশ করা খু্বই জরুরী। এতে বিভেদ এবং বিভ্রান্তি,দুটোই সমাধান হবে।
"যে বই নিয়ে তারা অভিযোগ তুলেছে, সেটি ১৪ বছর আগের।" ইমতিয়াজ সাহেবের ইতিহাস কি সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যায়? আমরা কি ওনাকে পল্টিবাজ বলবো?
Truth prevails.