অনলাইন
বৃটেনে প্রচণ্ড দাবদাহ, অতিষ্ঠ জনজীবন
আরিফ মাহফুজ, লন্ডন থেকে
(৬ ঘন্টা আগে) ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮:০৫ অপরাহ্ন

বৃটেনের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন যাত্রা। একটু স্বস্তি পেতে সাগর পাড় আর পার্কে ছুটছেন অনেকেই। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার উঠানামা করেছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো জুলাই জুড়েই তাপমাত্রা উচ্চমাত্রায় থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। জারি করা হয়েছে, হিট অ্যালার্ট বা হলুদ সতর্ক সংকেত। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর ইংল্যান্ডে চলছে চার দিনের সতর্কতা।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দুই সপ্তাহেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে জুলাই মাস পর্যন্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। শুক্রবার থেকে অ্যাম্বার স্বাস্থ্য সতর্কতা কার্যকর হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় অ্যাম্বার স্বাস্থ্য সতর্কতা। লন্ডন, পূর্ব মিডল্যান্ডস, দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে এই সতর্কতা থাকবে।
গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই সুইমিং পুল, সমুদ্র সৈকত এবং স্থানীয় পার্কগুলিতে সময় কাটাচ্ছেন। ইংল্যান্ডে ১৯৭৬ সালে ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ভাটা পড়েছে। নিজেদেরকে গরম থেকে বাঁচাতে অনেকেই আর কেনাকাটা কিংবা রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন না।
রেস্টুরেন্ট মালিক মেহেদী হাসান বাবর বলেন, রেস্টুরেন্টে কাস্টমার একেবারেই কম। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি অলস সময় কাটাচ্ছেন স্টাফরা। পরিস্থিতি যাই হোক বিশেষ করে শুক্র -শনিবারে রেস্টুরেন্টে ভিড় থাকেই। কিন্তু এবছর এই গরমের সময়টাতে শুক্র-শনিবারেও কাস্টমার খেতে আসছেন না।