আধুনিক বৃটিশ আইনের ভাল দিক অনুসরণ করলে বাংলাদেশও দৃষ্টান্ত হতে পারে

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের আয়োজনে বাংলাদেশে বৃটিশ ল’ এবং লিগ্যাল সিস্টেমের তাৎপর্য বিষয়ক এক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগীব আলী ভবনের গ্যালারী- ১ এ আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে কী-নোট স্পিকার ও গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিসিং ব্যারিস্টার, লন্ডন বারা অব নিউহ্যামের প্রাক্তন ডিপুটি স্পিকার এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, বাংলাদেশের আইনগত পদ্ধতি বিকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ব্রিটিশ নিয়মে। এদেশের অনেক মৌলিক আইন যেমন দণ্ডবিধি, দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি, চুক্তি আইন এবং কোম্পানি আইন বৃটিশ সাধারণ আইন দ্বারা প্রভাবিত। তিনি বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থায় বৃটিশ ল’ ও লিগ্যাল সিস্টেমের তাৎপর্য এবং উভয় দেশের আইনের তুলনামূলক পর্যালোচনা করেন। তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক সময় বৃটিশরা আইন তাদের স্বার্থে বানিয়ে গেলেও এখন বৃটেনের আইনগুলো আধুনিক, যুগোপযোগী এবং জনবান্ধব। আইনের শাসন পুরোপুরি সেখানে প্রতিষ্ঠিত যা পূরো বিশ্বে সমাদৃত। আধুনিক বৃটিশ আইন ও পদ্ধতির ভাল দিক অনুসরণ করলে বাংলাদেশও আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত হতে পারে।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রাসঙ্গিক প্রশ্নোত্তর পর্বে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দেওয়ানী, ফৌজদারি,  সাংবিধানিক এবং অন্যান্য আইন বিষয়ে আইন বিভাগের  শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের আইনগত ব্যাখ্যাসহ উত্তর দেন ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ জানান। লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। আইন বিভাগের প্রভাষক মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।