ঢাকা, ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

অনলাইন

প্রথম আলোর সেই সংবাদের নিন্দা ঢাবি শিক্ষক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

(২ মাস আগে) ৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৪৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর করা বহুল আলোচিত ‘মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেই প্রতিবেদনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সরকারের প্রতি শিক্ষক সমিতির দাবি, প্রথম আলোসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে যেন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জিনাত হুদা এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম আলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় মহান স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের নামে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা পরিচালিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে।

প্রতিবেদনটিতে মূলত একজন শিশুর ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে, যে বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাপশনে একজন দিনমজুরের বক্তব্য হিসেবে উক্ত মন্তব্য প্রকাশ করা হলেও ছবিতে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দেখা যাচ্ছে না।

অন্য একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সূত্রের’ বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই শিশুকে তার দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একাধিক পক্ষ থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বক্তব্য না নেয়া, অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া এবং অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ছবি তোলা কিংবা তার বক্তব্য ধারণ করা সংবাদপত্রের নীতিমালা পরিপন্থি। একজনের ছবির সঙ্গে আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। অথচ আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে এ সকল রীতি-নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

শিক্ষক সমিতি বলছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যদিও বাস্তবতা হলো, প্রকৃতপক্ষে অসৎ উদ্দেশ্যে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে একজন শিশুকে সংবাদের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মোকাবিলা করে যে মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেই মুহূর্তে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

বিজ্ঞাপন
এ ধরনের সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেই সঙ্গে উক্ত সংবাদপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
 

পাঠকের মতামত

সম্মানিত শিক্ষক গণকে মন্তব্য গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো, যাদের জাতির বিবেক বলে, যাদের জাতি গঠনের কারিগর বলে তারা যদি পা চাটা দালালি শুরু করে তাহলে বলবো এই জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার.লজ্জা!! ধিককার এই শিক্ষক সমিতি কে।

Jalal Ahmed
১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ৪:২০ পূর্বাহ্ন

আমার গৌরব তাতে সামান্যই কমে তোমার গৌরব তোমাকে একেবারেই ছাড়ে ।

zakiul Islam
১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

নিন্দা করার আগে ভেবে দেখেছিলেন কি নিন্দা টা কার উপরে এসে পড়লো ?

zakiul Islam
১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

এরা শিক্ষক হয় কি করে!!!??? অবশ্য বর্তমান পা চাটাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। ছি ছি, লজ্জা। মানলাম নাবালকের ছবি নিয়ে আপত্তি তাঁদের। কিন্তু মূল বিষয় নিয়ে পজেটিভ কথা বলাও তো শিক্ষক হিসেবে উচিত ছিল। শিক্ষক বৃন্দ অনেক তো চেটে খেলেন এবার একটু বিবেক দিয়ে খেটে খান। অবশ্য বিবেক যদি আপনাদের থেকে থাকে।

ruboais
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১১:২৯ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগনকে কমেন্টগুলো পড়ার অনুরোধ করছি। সমাজে আপনাদের অবস্থান জেনে যাবেন।

Nader
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৪৫ অপরাহ্ন

এরা কি শিক্ষক নাকি দলীয় ক্যাডার?

Gaffar
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৪৪ অপরাহ্ন

তাদের কোন সন্তান, স্ত্রী, বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন, ছাত্র ও বন্ধুবান্ধব আছে?, তারা কি আমার মতো লজ্জাবোধ করছে?

Zaman
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৩২ অপরাহ্ন

বাহ ঢাবির শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের। এদের সবাই লীগের কর্মী ছিল

আব্দুল মালেক
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৪:০৩ অপরাহ্ন

জ্ঞানপাপী। এসব কিছু চাটুকার শিক্ষকের কারনে অন্নান্য ভালো শিক্ষকরাও আজ সম্মান হারাচ্ছে।

Zahurul
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন

What do you learn from these whores! These are the real shame of this country.

Naimul Hassan
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১২:৪২ অপরাহ্ন

বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর মানুষের মাঝে যখন শুধু জীবিকা সবকিছুর উর্ধ্বে স্হান পায়, বুদ্ধি যখন সংকীর্ণ স্বার্থে পঁচে যায় ..... তখনই বিপত্তি ঘটে। এই শ্রেণীর মানুষেরা যদি নিরপেক্ষতা বজায় রাখেনা নীচ স্বার্থে ..... আপত্তিটা সেখানেই ।।

মোঃ মাহফুজুর রহমান
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

Shame on this type to teachers. They do not have backbone to stand and how are they going to make future leaders.

SAIFUL SARKER
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

ধিককার এই শিক্ষক সমিতি কে। রাতের ভোটের জন্য তারা নিন্দা জানাই নি,,,সাধীনতা মানে কি? খুব জানতে ইচ্ছে করে। একটা সত্য প্রতিবেদনের জন্য আজ সে নিপিরিত নির্জাতিতো,,, সে যদি আপনাদের পরিবারের হতো,,, নিন্দা অনেক সস্তা হয়েছে নিন্দার থেকে বাজারের পণ্যস্ত্রীর দাম অনেক বেশী। বঙবন্দুর মৃত্যুর পর দেশ সাধীনতাও হারিয়েছে

Engr Tariqul Islam
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ১০০ বছর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। কারণ তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের চাষাভূষার (রবীন্দ্রনাথের উক্তি) সন্তানেরা সেদিন পড়ালেখা করে মানুষ হয়ে নিজেদের অধিকার চিনেছিল। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পড়ালেখা লাগেনা ; তৈলপ্রিয় রাজা-বাদশাদের তৈলমর্দন করলেই হয়। এদের বিবৃতি শোষণ শাসনের পক্ষে। কারণ এরা চাষাভুষার সন্তান নয়, রাজদরবারের গোপাল ভাঁড়।

আতংকিত আমি।
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

লজ্জা!! লজ্জা!!! হে! শিক্ষক!!

Unknown
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

এই সুবিধা ভোগী শিক্ষক নামের কলংক এদের লজ্জা হাওয়া উচিত

MirAhmed
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

Govt determined to ensure freedom of media: info minister !!!!!!!!!!!

selim siddiqui
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

এসব তেলবাজ শিক্ষকদের কারণে এখন অনেকে ঢাবিতে ভর্তি হতে চান না।

জুনায়েদ
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন

Shame! Shame! Shame!......

No name
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

এই শিক্ষকরা? কী বাজারে যায়, না-কী সেটাও অন্য কেউ করে দেয়!

রুহেল
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

শিক্ষকই বটে!

মো হেদায়েত উল্লাহ
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন

লজ্জা!! লজ্জা!!! হে! শিক্ষক!!

Nimu Mahbub
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন

These DU teachers are worse than Hookers. At least they don't sell their souls.

Shobuj Chowdhury
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status