অনলাইন
র্যাব হেফাজতে ফের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তেমন প্রভাব ফেলবে না: মোমেন
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২৪ অপরাহ্ন

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাব-এর হেফাজতে ফের অনাহুত মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম সব অভিযোগ উত্থাপন করে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। সেই স্যাংশন শিথিলে এক বছরের বেশি সময় ধরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেনদরবার করছে ঢাকা। অবশ্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার পরিকল্পনা এবং মানবাধিকার সমুন্নত রেখে কাজ করার সদিচ্ছার নজির স্থাপনে প্রস্তুতি সত্ত্বেও নতুন করে স্যাংশন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এ অবস্থায় বগুড়ায় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামের এক সরকারি কর্মচারির মৃত্যুর ঘটনা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? প্রশ্ন ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে বুধবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী মোমেন বলেন, হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনি প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের দুর্ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন। এই সপ্তাহে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণগুলিতে শিশু নিহত হয়েছে। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? আমি মনে করি না একটি দুর্ঘটনা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই দিন পরে, তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ২৪শে মার্চ তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মোমেন বলেন, গণতন্ত্র সম্পর্কে অন্যদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সংগ্রামে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। অন্য দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে আমাদের কোনো পাঠের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন খুবই শক্তিশালী দাবি করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের একগাদা সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, তাদের গণতন্ত্র খুবই দুর্বল। তাই তারা দেশে ও বিদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে ওকালতি করার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র দেশে ও বিদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের বিষয়ে আরও সোচ্চার হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। এ নিয়ে তারা এবং আমরা সেম পেজে আছি। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোও গত এক দশকে ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা ভুয়া ভোটারদের মোকাবিলা করার জন্য ছবিসহ ভোটার আইডি তৈরি করেছি। বিগত ১৪ বছরে নির্বাচন কমিশন হাজার হাজার নির্বাচন পরিচালনা করেছে। তাদের প্রায় সবগুলোই ছিল স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য। এবং ভবিষ্যতেও আমাদের নির্বাচন হবে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য।
পাঠকের মতামত
Momen may be so. There is a day night difference between the children killed by guns in US and that of the Jasmine Sultana by RAB. It's like our midnight vs daylight election.
প্রত্যেকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিস্টদের উপর স্যাংশন আসতে পারে । একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি বরদাস্ত করবে না আমেরিকা।