খেলা
তামিমের চোখে ‘পারফেক্ট সিরিজ’
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
পূর্বে বেশ কয়েকটি সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনবান্ধব উইকেটের সমালোচনা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের পর আয়ারল্যান্ড- দুই সিরিজেই উইকেট নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তথাকথিত স্পিনের রাজ্যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন টাইগার পেসাররা। বোলারদের তুলনায় ব্যাটারদের ছন্দ এক কাঠি উপরে। সব মিলিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডের সাফল্যমণ্ডিত লড়াইকে ‘পারফেক্ট সিরিজ’ বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিয়ে দশ উইকেটের জয়ে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের প্রথম ১০ উইকেটের জয়। ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। এটিকে পারফেক্ট সিরিজই বলতে পারি।’
প্রথম দুই ওয়ানডেতে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রান তুলে ১৮৩ রানের জয় পায় টাইগাররা। ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪৯ রান তোলে বাংলাদেশ। এতে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ভেঙে দেয় টাইগাররা। বৃষ্টির কারণে সেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত না হলে হয়তো ফের বড় জয়ই পেতো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের পারফেক্ট সিরিজে পরিত্যক্ত ম্যাচ নিয়েই কিছুটা আক্ষেপ তামিমের। তিনি বলেন, ‘যদি খামতি জোর করে বের করতে হয়, তাহলে বলবো দ্বিতীয় ম্যাচটা পরিত্যক্ত না হলে ভালো হতো। এর বাইরে আমাদের নিয়ন্ত্রণে যা যা ছিল, আমরা সবই করেছি।’ তামিম বলেন, ‘আপনারা আজকেও (বৃহস্পতিবার) উইকেটটা দেখেছেন, প্রথমে ব্যাট করা আসলেই সহজ ছিল না। বিশেষ করে প্রথম ১৫-২০ ওভার খুব কঠিন। কিন্তু আমরা প্রথম দুই ম্যাচে সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি, বড় সংগ্রহ করেছি। দিন শেষে অধিনায়ক হিসেবে আমি খুবই সন্তুষ্ট যে, আমরা প্রায় সব বক্সেই টিক দিয়েছি।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচে দু’বার সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই সেটি ভেঙে ফেলে টাইগার ব্যাটাররা। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের রহস্য কী? তামিম জানালেন, অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের রানের সীমা বেঁধে দেন না তিনি। তামিম বলেন, ‘দলের প্রতি আমার বার্তাটা খুবই সাধারণ থাকে। আপনি যদি খেয়াল করেন, দু’বার টসে আমাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছে, আপনারা কত রান করার কথা ভাবছেন? আমি এমন একজন যে লক্ষ্য ঠিক করে দিই না। আমি কোনো দিন আমার দলকে বলি না যে, আমাদের ৩৫০-৩৬০ করতে হবে। আমি যা বলি, তা হলো আমাদের প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে হবে। তা করে আমরা ২৬০-২৭০ রান করি, তাও ঠিক আছে। ওটা অনুসরণ করে যদি ৩৫০ করি, তাহলেও খুশি।’ তামিমের মতে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে হাই স্কোরিং ম্যাচ খেলা যায় না। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না, কেউ এসে বলে দিলো আমরা ৩৫০ করব এবং সেটিই হয়ে যাবে। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে হবে। শেষ (দ্বিতীয়) ম্যাচের কথাই ধরুন, আমরা ৩৫০ (৩৪৯) রান করেছি। কিন্তু এখন কাউকে বললে বুঝবে না যে, শুরুর দশ ওভারে ব্যাট করাটা কত কঠিন ছিল। কারণ আমরা শেষ পর্যন্ত ৩৫০ রান করেছি। শুরুর দশ ওভারে কোনো উইকেট হারাইনি, এটা ৩৫০ রান করার বড় একটি অংশ ছিল। তাই প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে হবে।’