খেলা
‘ফাইফার’ নিয়েও কেন উদ্যাপন করেননি হাসান মাহমুদ!
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বল হাতে তাণ্ডব চালান হাসান মাহমুদ। সেরা বোলিং ফিগারে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ‘ফাইফার’। পাঁচ উইকেট নিলেও বাধভাঙা উদ্যাপন করতে দেখা যায়নি হাসান মাহমুদকে। কারণ কী? টাইগার পেসার জানালেন, প্রতিপক্ষের মন খারাপ হবে ভেবেই সংযত ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আইরিশদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হন হাসান মাহমুদ। ৮.১ ওভারে ৩২ রান দেন তিনি। এর মধ্যে এক ওভার মেডেন দেন। ম্যাচ শেষে উদ্যাপন না করার প্রশ্নে হাসান বলেন, ‘করি না, এটাই আরকি। ব্যাটারকে আউট করার পর উদ্যাপন করলে তার মন খারাপ হবে আরও, এই ভেবেই করি না।’
হাসান জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে বোলিং করেছেন তিনি, ‘আসলে আগেই বলা হয়েছিল, শেষ ম্যাচে খেলব, নতুন বলে বোলিং করব। সেটিরই প্রস্তুতি নিয়েছি গত ২-৩ দিন ধরে। আসলে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে আলাদা মানসিকতা থাকে। কীভাবে শুরু করছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করি দুই সংস্করণেই ভালো একটা ফোকাস রাখার জন্য- নতুন বলে, এরপর মাঝে, এরপর ডেথে। সব মিলিয়ে ভালো হচ্ছে আরকি।’
তৃতীয় ওয়ানডেতে সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে হাসান মাহমুদ টাইগার পেসারদের সাফল্যের নেপথ্যে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের অবদানের কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনেও তার কৃতিত্ব দিয়েছেন হাসান। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে তিনি তার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন, পরামর্শ দেন। কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থেকেছেন তিনি। কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। আর স্কিলের ব্যাপারে তো অসাধারণ। ভালো কাজ করেন আমাদের নিয়ে, কঠোর পরিশ্রম করেন।’
বোলিংয়ে উন্নতি নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গেও আলোচনা করেন হাসান মাহমুদ। বিশেষ করে তাসকিনের কাছ থেকে পরামর্শ নেন তিনি। হাসান বলেন, ‘একটা কথাই বলি আমরা- সবাই নিজেদের সেরাটা যাতে দিই। তাসকিন ভাই আমাদের সবার সিনিয়র, আমাদের আগলে রাখেন উনি। ভালো দিকগুলো নেয়া, খারাপ দিকগুলো এড়িয়ে চলা, কী কী দরকার ম্যাচে, কী কী করলে উন্নতি হবে- সেগুলোই কথা হয়।’
নিজের উন্নতির জায়গা নিয়ে হাসান বলেন, ‘ফিটনেসটা আরেকটু ভালো করতে হবে। আর বোলিংটা আরেকটু গোছালো করতে হবে।’